অন্যের চিরুনি ব্যবহারে সতর্ক হবেন যে কারণে
চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সকলেই কম বেশি দুশ্চিন্তায় ভোগেন। হেয়ার ফল, ড্যামেজ, খুশকি ইত্যাদি যাবতীয় সমস্যার জন্য প্রায় সকলেরই দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। তবে এসব নিয়ে যতই গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে থাকি না কেন, একদিন চুল না আঁচড়ালে মনে হয় সারাদিনের কাজের কিছু একটা অসমাপ্ত থেকে গেছে। তবে শুধু চুল আঁচড়ালেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত চিরুনিও। সঙ্গে অন্যের চিরুনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই ভালো। এই হেয়ার ব্রাশ ময়লা থাকা মানে চুলেও ময়লা। আর এ ময়লা কেউ সেফটি পিন দিয়ে পরিষ্কার করেন কেউ আবার ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করেন অথবা সাবান পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। কীভাবে সহজে পরিষ্কার হবে চিরুনি, কত ঘন ঘন চিরুনি পরিষ্কার করবেন জেনে নিন সেই তথ্য।
জেনে নিন—
প্রথমেই চিরুনিতে আটকে থাকা চুল ফেলে দিন। এবার পাত্রে গরম পানি ঢালুন। সঙ্গে মিশিয়ে নিন শ্যাম্পু। চাইলে স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিতে পারেন চিরুনি। এতে কোনও জীবাণু থাকবে না।
চামচ দিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে নিন শ্যাম্পু। সেই পানিতে ফেলে দিন চিরুনিটিকে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। গরম পানি এবং শ্যাম্পুর সংস্পর্শে এসে চিরুনির খাঁজে জমে থাকা ময়লা ফুলে ওঠে এবং গলে যাওয়ার অবস্থা হয়। ফলে কাজ সহজতর হয়ে ওঠে। ১০-১৫ মিনিট পর পানি থেকে তুলে নিন চিরুনি। পুরনো ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন চিরুনি। সব ময়লা পরিস্কার হয়ে যাবে। এবার ধুয়ে নিন পানি দিয়ে।
চুল যদি রং করেন, তাতেও ময়লা জমে চিরুনিতে। তাই চিরুনি পরিষ্কার রাখা যেমন জরুরি, অন্যের চিরুনি ব্যবহার না করাও উচিত।
ধুলো-মাটির সংস্পর্শে এসে আমাদের চুলে ময়লা জমে। চুলে তেল লাগালে, জেল লাগালে সেই ময়লা আরও জমাট বাঁধে। চিরুনিতেও ওই ময়লা আটকে যায়, যা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। তাই চিরুনি পরিষ্কার রাখা দরকার।
সাধারণত মাসে একবার পরিষ্কার করি আমরা। কিন্তু চুল যদি বড় হয় এবং কিছু দিন পর পরই ময়লা জমে যায় চিরুনিতে, সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে চিরুনি পরিষ্কার করতে পারেন।
চিরুনি ঘন ঘন পরিষ্কার যদি নাও করতে পারেন, চিরুনিতে আটকে রাখা চুল জমিয়ে রাখবেন না। চুল আঁচড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আটকে থাকা চুল ফেলে দিতে হবে।
মন্তব্য করুন