• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
logo

বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৫১
ছবি: সংগৃহীত

আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশের ১১ থেকে ১৩টি জেলা। বন্যা-কালীন সময়ে ত্রাণ ও দুর্গতদের সাহায্য গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার পানি নেমে গেছে। এবারের ভয়াবহ বন্যায় ঘর বাড়ি ডুবে গেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। পানিবন্দী অবস্থায় দিনের পর দিন কাটাতে হয়েছে অসংখ্য মানুষের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার পর পানি যখন কমতে শুরু করে তখন বেশি সতর্কতার প্রয়োজন হয়। বন্যার পর স্বাস্থ্য সুরক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বন্যার পানি বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণু বহন করে যা মানুষের শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা যা করবেন, চলুন জেনে নেই—

> পানি নেমে গেছে তাই নিজেই বাড়ি চলে গেলে হবে না। বন্যা নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ বাড়ি ফেরা নিরাপদ বললেই বাড়ি যান। বিশেষত বৈদ্যুতিক তার, গ্যাস লিক বা অন্যান্য বিপজ্জনক অবস্থার জন্য।

> বন্যার পানি গোসল বা গায়ে লাগানো থেকে বিরত থাকুন। কেননা এ পানি বিভিন্ন জীবাণুর ধারক ও বাহক। তাই এ পানির সংস্পর্শে বিভিন্ন চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। সব সময় পানির সংস্পর্শে থাকার জন্য হাতে-পায়ে স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বক বা ত্বকের খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিস জাতীয় নানা ধরনের ত্বকের অসুখ হয়ে থাকে।

> বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস এবং বুট ব্যবহার করুন। আবার বন্যার কারণে পোকামাকড় ঘরে বা শুকনো জায়গায় উঠে আসে। তাই পরিষ্কার করার সময় গ্লাভস এবং বুট ব্যবহার করুন।

> বন্যা পরবর্তী সময়ে ভেজা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন, এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে।

> বাড়িতে পৌঁছেই মেইন সুইচ চালু করে দেবেন না। সবকিছু ভালোমত পরীক্ষা করে তারপর বিদ্যুৎ চালু করা উচিত। ভালো হয়, পুরো বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। সংযোগ নিরাপদ হলেই মেইন সুইচ অন করতে হবে।

> বন্যা-দূষিত প্রতিটি ঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক উপাদান ব্যবহার করুন। এরপর শুকিয়ে নিন। শুকনো ঘর ও আঙিনায় ছিটিয়ে দিন ব্লিচিং পাউডার।

> বন্যার পরও বিশুদ্ধ পানির অভাব থাকে। আবার সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। তাই বোতলজাত পানি না পেলে, পানি বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে নিতে হবে।

> বন্যায় টিউবওয়েল ডুবে গেলে সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এ কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন।

> পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে তারা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে নানা রোগে শিশুরা আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী শিশুদের খাবার আলাদা করে রাখতে হবে। শিশুরা দুর্বল অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

> ত্বকের সংক্রমণ এড়াতে বন্যার পানির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধোয়া অত্যন্ত জরুরি।

> বন্যার নোংরা ময়লা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করবেন না। অপরিষ্কার হাত চোখে লাগাবেন না। ঘুমানোর সময় যে চোখ উঠেছে সেই কাতে ঘুমান।

> বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ যেমন- ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি পানিবাহিত রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। যেকোন সমস্যায় চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হোন।

> প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অ্যান্টিসেপটিক সঙ্গে রাখুন। ছোটখাটো সমস্যাকেও এড়িয়ে না গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কলকাতা থেকে যে বার্তা দিলেন বন্যা ও তারিন
ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে নৌবাহিনীর সহায়তা
ঘর পেলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হতদরিদ্র পরিবার
চাঁদপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান