আইডেব এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪
ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো আইডেব এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর আয়োজন করতে যাচ্ছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইডেব)।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ (এপিবিএল) এবং আইডেব এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
এমওইউ অনুযায়ী—এক্সক্লুসিভ পেইন্ট পার্টনার হিসেবে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ এই আয়োজনের সাথে থাকবে। উক্ত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এপিবিএল-এর কান্ট্রি হেড বুধাদিত্য মুখার্জি এবং আইডেব এর জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ কামরুল আহসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন উভয় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা। এই উদ্যোগ দেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরতদের স্বীকৃতি, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামাজিকভাবে তাদের সম্মান জানাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
সকালের ডায়েটে থাক একমুঠো ভেজানো মুগ
মুগের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এ ছাড়াও থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, ফাইবার। প্রতিদিন সকালে এক বাটি অঙ্কুরিত মুগ খেতে পারলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি। আর সুগার রোগীদের জন্য খুব ভালো ব্রেকফাস্ট হলো মুড়ি আর অঙ্কুরিত মুগ। সবুজ মুগ ডাল প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। ২০০ গ্রাম মুগ ডাল সেদ্ধর মধ্যে ক্যালোরি- ২১২, ফ্যাট- ০.৮ গ্রাম, প্রোটিন- ১৪.২ গ্রাম, কার্বস- ৩৮.৭ গ্রাম, ফাইবার- ১৫.৪ গ্রাম, এছাড়াও থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১ ইত্যাদি।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালের খাবার মোটেই বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং সেখানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপযুক্ত সমন্বয় থাকা দরকার।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একমুঠো ভেজানো মুগে কী উপকার পাওয়া যাবে জেনে নিন—
ডায়াবেটিসের সুরক্ষায়: পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস রয়েছে? তাহলে প্রতিদিন ভেজানো মুগ খান। কারণ এতে সুগার একদম নেই। আর আপনার গ্লুকোমিক ইনডেক্সও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও মুগডালে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমে: ওজন কমাতে চাইলে আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন একবাটি সবুজ মুগ। থাকে ফাইবার, প্রোটিন। যা আমাদের কোশ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও মুগ ডালের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই মুগ ডাল দিয়ে খিচুড়ি কিংবা চিল্লা বানিয়ে নিন, কিংবা বানিয়ে নিন মুগ পোলাও। এতে যেমন পেট ভরবে তেমনই ওজনও কমবে।
হিট স্ট্রোক: যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে বাড়বে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। গরমের দিনে আজকাল হিট স্ট্রোক খুবই কমন। সবিজ মুগের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি বৈশিষ্ট্য। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গরমের দিনে শরীরকে আর্দ্র রাখে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার হাত থেকেও শরীরকে বাঁচায়।
হজমের সমস্যায়: অল্পতেই অনেকের গ্যাস হয়ে যায়। তারা যদি প্রতিদিন এই ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ মুগ খেতে পারেন তাহলে খুবই ভালো। এতে পেট পরিষ্কার হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও থাকে দূরে। আর হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ এসবও থাকে নিয়ন্ত্রণে। ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
আরটিভি/এফআই/এআর
যেসব ঘরোয়া উপায়ে গজাবে নতুন চুল
চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। অল্প বয়সেই মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে নারী-পুরুষ উভয়েরই। নানা কারণে চুল পড়তে পারে। ধুলাবালু, বায়ুদূষণ ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেও চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। দিনে একশোটা পর্যন্ত চুল পড়া কিন্তু স্বাভাবিক। সারাদিনে ৫০-১০০টা চুল পড়তেই পারে। আবার সেই জায়গায় নতুন চুলও গজিয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় তখনই, যখন চুল পড়ার পর আর নতুন করে চুল ওঠে না, বা অত্যাধিক চুল পড়তে থাকে।
এই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য নানা পদ্ধতি আমরা মেনে চলি। কখনও দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কখনও বা ঘরোয়া উপায়ও কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। আসলে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমাদের আগে জানা প্রয়োজন যে, চুল পড়ার কারণ। সেই মতো ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন আপনি।
যেভাবে বুঝবেন অত্যধিক চুল পড়ছে:
মাথার সামনের দিকে এবং স্ক্যাল্পে চুলের ঘনত্ব কমতে শুরু করেছে।
১০০টা পর্যন্তও চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু চুল পড়ার পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়লেই মুশকিল।
ভ্রুর চুল কিংবা চোখের পাতা, সর্বত্রই চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
মাথার ত্বকে খুশকির সমস্যা বেড়েছে বা স্ক্যাল্প ইনফেকশন দেখা দিচ্ছে।
তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই সমাধান হতে পারে এই চুল পড়ার সমস্যা। জেনে নিন সেই উপায়গুলো কী কী—
ঘি এবং অলিভ অয়েল: প্রথমে ছোট একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ ঘি এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি হালকা গরম করে নিন। খুব গরম তেল কিন্তু মাথার ত্বকে মাখা যাবে না। এ বার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার ত্বকে এই মিশ্রণ মেখে নিন। বিশেষ করে মাথার যে যে অংশ একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, সেখানে ভালো করে মাসাজ করুন। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ঘি এবং অলিভ অয়েল থেকে যা পাওয়া যায়: খাঁটি ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। অন্য দিকে ভিটামিন ই এবং কে-র পাশাপাশি অলিভ অয়েল মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। এই সমস্ত উপাদান চুলের জন্য ভালো। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা, পিএইচের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ফলে চুল মজবুত হয়। রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক থাকে।
নারিকেল তেল, কালোজিরা ও মেথির মিশ্রণ: কালোজিরা এবং মেথি কড়া রোদে শুকিয়ে একসঙ্গে গুঁড়া করে নিন। এরপর নারিকেল তেলের সঙ্গে গুঁড়ো করা মেথি ও কালোজিরে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর একটি কাঁচের বোতলে রেখে দিন। এটি অন্তত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। মিশ্রণটি চুলে লাগানোর আগে এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশ্রিত করে মাথার ফাঁকা স্থানে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করবেন। কয়েক মাসের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাবেন। এসব উপকরণ চুল পড়া বন্ধ করবে দ্রুতই।
নিম পাতার রস: নিমপাতার উপকারিতার কথা কম-বেশি সবারই জানা। এটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক যা নতুন চুল গজাতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং খুশকি দূর করে। নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর সেই পেস্ট থেকে রস বের করে মাথার পুরো অংশে, চুলের গোড়াতে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। চাইলে পেস্টটি সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। কমপক্ষে ৩০ মিনিট রেখে তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন করুন। চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে মাসখানেকের মধ্যেই।
নিম পাতার পানি: আরেকটি উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন নিমপাতা। পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। এই পানি ঠান্ডা করে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবেও উপকার পেতে পারেন।
দীর্ঘস্থায়ীভাবে চুল পড়া রোধ করতে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি অগোছালো জীবনযাত্রার পরিবর্তন করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমাণমতো পানি পান ও সময়মতো খেতে হবে। তালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর সব খাবার। তাজা ফল ও শাক-সবজি থাকুক পাতে। চুল সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রচেষ্টা থাকতে হবে আপনারই।
আরটিভি/এফআই
কাঠবাদামের সঙ্গে যেসব খাবারে মিলবে দ্বিগুণ শক্তি
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ছোটবেলা থেকেই অনেকে শুনে আসছি। ভিন্ন রকমের বাদামের মধ্যে আমন্ড বা কাঠবাদামের গুণাগুণ দারুণ। হুটহাট ক্ষুধা পেলে অফিসে কাজের ফাঁকে কিংবা বিকেলের নাস্তায় খাওয়া যায় এমন একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হলো আমন্ড। আমন্ডে রয়েছে একাধিক উপকারী ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস হওয়ায় যে কেউ আমন্ড খেতে পারেন। সঠিক পরিমাণে এগুলো খেলে শক্তি পাওয়া যায়। অনেকের অজানা আমন্ড কিছু জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে, তা শরীরে শক্তি বাড়ায়।
জেনে নিন কী কী দিয়ে এই বাদাম খেলে মিলবে দ্বিগুণ উপকার—
আমন্ড ও দুধ: বাদাম ও দুধের মিশ্রণ খুবই ভালো এবং শরীরের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, তাই এটি সব বয়সের নারী-পুরুষ উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। বাদামের দুধ পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকবে, স্মৃতিশক্তিও উন্নত হবে, আপনি পর্যাপ্ত শক্তি পাবেন তাই আপনি ক্লান্ত ও দুর্বল বোধ করবেন না।
কাঠবাদাম স্মুদি: এছাড়াও আমন্ড যোগ করে পছন্দের স্মুদি তৈরি করতে পারেন। এর জন্য দুধ, কলা, প্রোটিন শেক উপকারী বীজ এবং আমন্ড মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি আসবে।
আমন্ড এবং ওটস: ওটসকে কার্বোহাইড্রেটের সেরা উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ওটসে আমন্ড যোগ করে খুব ভালো কম্বিনেশন তৈরি করা যেতে পারে। আপনি এই খাবার থেকে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন তিনটিই পাবেন।
আরটিভি/এফআই/এআর
গোলাপ জল নাকি শসার রস, কোন ত্বকে কোনটি কার্যকর
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান বেশ কার্যকরী। তাই তো বাঙালির ঘরোয়া রূপটানেও প্রাকৃতিক উপাদানের কদর তুঙ্গে। যারা প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নিতে ভালোবাসেন, তারা গোলাপ জল এবং শসার রসের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বা পিএইচের সমতা বজায় রাখতে এই দু’টি জিনিসই প্রায় একই রকম ভাবে কাজ করে। কিন্তু এই গরমে কোন উপাদানটি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী, আর কোন উপাদানটি কোন ধরনের ত্বকে মাখা যাবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ২ উপাদানের ব্যবহার ও উপকারিতা।
ত্বকের জন্যে উপকারী এই উপাদান: গোলাপ জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। তাই নিয়মিত গোলাপ জল মাখলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে। ত্বক হঠাৎই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক হয়ে যায় না। এমনকী ত্বক টানটান রাখতেও সাহায্য করে। গোলাপের নির্যাসে ভিটামিন সি মেলে, যেটি আপনার ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। তাই নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না। এদিকে গোলাপের গুণে ত্বকের প্রদাহ থাকে নিয়ন্ত্রণে। ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি হয় না। এমনকী ত্বকে প্রকট হয় না লালচে ভাব। তাই তো আপনার রূপটান রুটিনে গোলাপ জল থাকা মাস্ট।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে একটি কটন প্যাডে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিন। তারপরে সেটি আপনার সারা মুখে বোলান। নিয়মিত এই স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করলেই মিলবে উপকার।
শসার রসের জুড়ি মেলা ভার: গরমের দিনে ঘরোয়া রূপটানে শসার রস সত্যিই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত কুলিং এজেন্ট মুহূর্তেই আপনার ত্বককে তরতাজা করে। আর ত্বকের জ্বালা পোড়া কমিয়ে শীতলভাব অটুট রাখে। শসায় উপস্থিত জলের পরিমাণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে একাই একশো।
কমাবে প্রদাহ: এটিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা আপনার ত্বকের প্রদাহ কমায়। তাই নিয়মিত শসা লাগালে প্রখর গরমেও ত্বকের জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকী ত্বকের টেক্সচারও উন্নত হবে। তাছাড়া শসা ত্বকের জন্যে এতটাই উপকারী যে, সংবেদনশীল কিংবা শুষ্ক ত্বকেও নির্ভয়ে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহার করতে পারেন।
শসা নাকি গোলাপ জল, কোনটি ব্যবহার করবেন:
শসা এবং গোলাপ জল দুটোই ত্বকের জন্যে উপকারী। শুধু সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা জরুরি। অর্থাৎ আপনার ত্বকের সমস্যা বুঝে এই ২ প্রাকৃতিক উপাদান মুখে লাগালেই মিলবে চটজলদি উপকার।
আপনার ত্বকে যদি প্রদাহ বাড়ে, তাহলে শসার রস ব্যবহার করে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া এটির কুলিং এজেন্ট গরমে ত্বককে সুস্থ রাখবে। জ্বালা-পোড়া এবং চুলকানি কাছে ঘেঁষতে দেবে না।
গোলাপ জল যেমন আপনার ত্বককে টোনড করবে, তেমনই ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করবে।
দুই উপাদানের উপকারিতা এবং ব্যবহারে সূক্ষ্ম বিভাজন রেখা রয়েছে। সেটিতে গুরুত্ব দিন। আপনার ত্বকের প্রকৃতি এবং সমস্যা বুঝে প্রাকৃতিক উপাদান দুটি ব্যবহার করুন। তাহলেই মিলবে উপকার।
যে ধরনের ত্বকের জন্য যেটি ভালো:
১) খসখসে, শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপ জল ভালো। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি খুব কাজের। গোলাপ জল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ, তাই পেলবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও গোলাপ জল মাখা যায়।
২) স্পর্শকাতর, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো শসার রস। মুখ বা চোখের তলায় ফোলা ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এই তরলটি। ওপেস পোর্সের সমস্যা থাকলেও শসার রস মাখা যায়।
আরটিভি/এফআই
একসঙ্গে টমেটো ও শসার সালাদ খেলেই হবে যে বিপদ
বর্তমানে, সকলেই কমবেশি সালাদ খায়। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ও পাচনতন্ত্র স্বাভাবিক রাখতে সালাদ খুবই কার্যকরী। তাছাড়া, ডায়েট ঠিক রাখতেও সালাদ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে সব পরিবারেই। শরীরকে আদ্র রাখতে, রক্তের ঘাটতি কমাতে এবং এনার্জি বাড়ানোর জন্য, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও সালাদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সবসময়। সাধারণত স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বিভিন্ন পুষ্টিকর সবজি ও প্রোটিনের সংমিশ্রনেই সালাদ বানানো হয়। যার মধ্যে থাকে টমেটো আর শসা। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে শসা ও টমেটো একসঙ্গে খাওয়া কখনও উচিত নয়। কারণ, এটি বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
পুষ্টিবিদরা জানান, শসা আর টমেটো একসঙ্গে খেলে হজমশক্তি নষ্ট হতে পারে। অ্যাসিডিক পিএইচ ভারসাম্যকেও ব্যাহত করতে পারে। যে কারণে গ্যাস, পেটের ফোলাভাব, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, বদহজমের মতো সমস্যা শুরু হয়।
পুষ্টিবিদরা আরও জানান, শসাতে খনিজ পদার্থ রয়েছে যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু তাদের একটি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা ভিটামিন সি শোষণে কাজ করে। পুষ্টিবিদদের মতে শসা এবং টমেটোর সংমিশ্রণ এড়ানোই কাম্য। যেহেতু উভয়েরই হজমের সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায় রয়েছে, তাই এই দুইয়ের কম্বিনেশন একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস এড়ানোই উচিত কারণ এর ফলে পেট খারাপও হতে পারে।
শরীরের ভিতরে ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াও শুরু করে দেয় শসা ও টমেটো। এই কারণে শুধু পাকস্থলী নয়, পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর এই দুটি একসঙ্গে খাওয়া। এ কারণে পেটে নানা ধরনের সমস্যাও হয়।
এ ছাড়াও শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা টমেটোর ভিটামিন সি’র সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এতে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে দইয়ের সঙ্গে টমেটো, শসা, পেঁয়াজ মিশিয়ে রায়তা করে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু তাও পেটের মারাত্মক ক্ষতি করে।
তাহলে কী এই ফল আর সবজি খাবেন না?
খাবার আগে বা পরে সালাদ খাবেন না। খাবার খাওয়ার মধ্যেই খাবেন। আর যদি অন্য সময় খেতে চান তবে হয় শসার আর নয় টমেটোর সালাদ আলাদাভাবে খেতে হবে।
আরটিভি/এফআই
অফিসে ইমোশনাল হয়ে গেলে যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
মানুষ মাত্রই তার ইমোশন থাকবে। ইমোশন এক্সপ্রেস করা অবশ্যই ভালো, তবে অফিসে কাজ করার সময় এই ইমোশনই আপনার জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। কর্মক্ষেত্রে ইমোশনাল হয়ে পড়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু এর মাত্রাতিরিক্ত প্রকাশ কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যখন আপনি কোনো ইমোশনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেন না, তখন সেটি আপনার পেশাগত দক্ষতা, মনোযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যা থাকে। এই সমস্যাগুলো বিভিন্নভাবে প্রফেশনাল লাইফে এফেক্ট ফেলতে পারে। ফ্রাস্ট্রেশন, দুশ্চিন্তা, রাগ, কাউকে অপছন্দ করা বা নিজে ভালো না থাকা- সবই কোনো না ভাবে ইমোশন। তাই আগে বুঝতে হবে আপনি কী ধরনের ইমোশনাল প্রবলেম ফেইস করছেন এবং কীভাবে সেটি কাটিয়ে উঠবেন।
ইমোশনাল হয়ে কাজের ক্ষতি না করে কীভাবে তা মোকাবিলা করা যায় চলুন দেখে নেওয়া যাক—
নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বোঝা: আপনি যে ইমোশনাল প্রবলেম ফেইস করছেন সেটা বোঝার জন্য আগে বুঝতে হবে আপনি কেমন আছেন। আমাদের মস্তিষ্কের আগে শরীর বুঝতে পারে আমরা কেমন আছি। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের তুলনায় বুকে ধড়ফড় বেশি হওয়া এগুলো ইমোশন এক্সপ্রেস করারই একটি লক্ষণ। যদি বুঝতে পারেন অন্য সময়ের তুলনায় বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে অথবা মন খারাপ হয়ে আছে, তাহলে যে কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার ভাবুন। এ সময়গুলোতে যদি একা থাকতে ভালো না লাগে তাহলে অফিসেই ক্লোজ কোনো সহকর্মীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।
রিল্যাক্স থাকা: কর্মক্ষেত্রে রিল্যাক্স থাকা অনেক জরুরি। সুযোগ পেলে চেষ্টা করুন নিজেকে একটু সময় দেওয়ার। ডিপ ব্রিদিং কিন্তু রিল্যাক্স হওয়ার খুব ভালো একটি উপায়। দুশ্চিন্তা, ফ্রাস্ট্রেশন, রাগ ঝেড়ে ফেলার জন্য এই পদ্ধতিটি বেশ কাজে দেয়। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এভাবে ১০ পর্যন্ত গুণে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। এছাড়া হাঁটাহাঁটি বা রিল্যাক্সিং মিউজিক শুনলেও বেশ আরাম লাগে। কারও সঙ্গে কথা বলতে যদি ভালো লাগে তবে সেটাও করতে পারেন।
পছন্দের কাজ করা: কাজের সময় মেন্টাল স্ট্রেস নতুন কিছু নয়। যে কোনো কারণেই স্ট্রেস হতে পারে। যে সময় এমন হচ্ছে, হতে পারে তখন কথা বলার জন্য আশেপাশে কাউকে পাচ্ছেন না। তখন আপনার নিজেকেই নিজের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। ছোট একটি জার্নাল পড়া, স্টিকি নোটে নিজের কথা লিখে রাখা, পছন্দের কোনো ভিডিও দেখা বা গান শোনা, কাগজে আঁকিবুঁকি- সে কোনো কিছুই হয়ে উঠতে পারে আপনার ইমোশন নিয়ন্ত্রণের উপায়।
কলিগদের প্রতি সম্মান থাকা: আপনি নিজেকে যেমন সম্মানিত হিসেবে দেখতে চান, আপনার কলিগকেও ঠিক একইভাবে ট্রিট করুন। যদি কেউ রুড আচরণ করে, জরুরি নয় আপনাকেও তার মতো হতে হবে। বরং রাগ না করে তাকে আপনার মতামত বোঝানোর চেষ্টা করুন।
ক্ষমা চাওয়া: ইমোশনাল হয়ে রাগ করা খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। যদিও উচিত নয়, তবু কাজ করতে করতে এমন যদি কখনো হয়েও যায়, তবে চেষ্টা করুন দ্রুত ক্ষমা চাওয়ার। একদম ডিফেন্সিভ হয়ে যে কিছু বলতে হবে এমন নয় কিন্তু! ‘আমি আমার আচরণের জন্য দুঃখিত’ – এমন একটি কথাও অনেক কিছু বদলে দিতে পারে।
নিজের দোষ স্বীকার করা: যদি আপনার ভুলের কারণে কোনো মিস কমিউনিকেশন অথবা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই রিয়েক্ট করা যাবে না। নিজের ভুল স্বীকার করে নিতে হবে।
নেগেটিভ ইমোশন বাড়ি পর্যন্ত না নিয়ে যাওয়া: কথাটি শুনতে একটু অবাক লাগলেও চেষ্টা করুন দিনের যত রাগ, মন খারাপ আছে সেগুলো অফিসেই শেষ করে ফেলতে। যদি এই খারাপের রেশ বাড়ি পর্যন্ত থাকে, তাহলে ভিতরে ভিতরে আপনি নিজেই হতাশ হয়ে যাবেন। অফিস শেষ করে বাড়ি ফেরার আগে সম্ভব হলে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে বাইরে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে পারেন। এতে অনেকটা হালকা লাগবে।
নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া: কাজের শেষে পরিমিত বিশ্রাম ক্লান্তি যেমন দূর করে, তেমনই অনেক নেতিবাচক অনুভূতি ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। ঘুম ভালো হলে শরীর ভালো থাকবে, সাথে ইমোশন কন্ট্রোল করাও ইজি হবে। রাতে দেরি করে ঘুমানো, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, সকালে দেরি করে অফিসে যাওয়া – এগুলো টেনশন অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাই চেষ্টা করুন সময়মতো ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে পড়তে।
নিজেকে দোষ না দেওয়া: অনেকেই যে কোনো নেগেটিভ ঘটনার কারণে নিজেকে দোষী মানতে থাকেন। এমনটি করা একদমই উচিত নয়। সব সময় পরিস্থিতি আপনার হাতে থাকবে না এটা মেনে নেওয়া শিখতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, সেটা সামাল দিতে পারা জরুরি। এতে যে কোনো সময় নিজেকে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।
১০ পর্যন্ত গোণা: অফিসে ইমোশনাল হয়ে যদি কখনো রাগ হয় বা ফ্রাস্ট্রেশন কাজ করে অথবা তার চেয়েও খারাপ কিছু হয়, তখন মনে মনে ১০ পর্যন্ত গুণতে শুরু করুন। যদি বুঝতে পারেন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না তখন এই মেথড ইউজ করুন। যদি কোনো ঘটনার জন্য আপনি দায়ী হয়ে থাকেন, তবে কিছুটা সময় একা থাকুন। তবে হ্যাঁ, কিছু সময় পর অবশ্যই যে কারণে এমনটি হয়েছে সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
এক নজরে অফিসে ইমোশন কন্ট্রোল করার উপায়
নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বুঝতে পারা
বাড়তি চাপ না নিয়ে কর্মক্ষেত্রে রিল্যাক্স থাকা
১০ পর্যন্ত গোণা
স্টিকি নোটে কিছু লেখা অথবা পছন্দের গান শোনা, ভিডিও দেখা
নেগেটিভ ইমোশন বাড়ি পর্যন্ত না নিয়ে যাওয়া
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া
ইমোশন প্রতিটি মানুষের ইম্পরট্যান্ট একটি পার্ট। আবেগ না থাকলে আমরা কেউই টিকে থাকতে পারবো না। এর মানে এই নয় যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইমোশনকেই প্রায়োরিটি দিতে হবে। অফিসে যদি ইমোশন কন্ট্রোলে রাখতে পারেন, তবে কর্মস্থলে যেমন আপনি ভালো থাকবেন, তেমনই কাজ করাও আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
আরটিভি/এফআই
কোটিপতিদের কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ও মিল
একসময় মিলিয়নিয়ার বা কোটিপতি শব্দের প্রচলন ছিল না। ১৭ শতকের কিছু সময় পর্যন্ত মিলিয়নিয়রের অস্তিত্ব ছিল না। ডে'জ অব্য দ্য ইয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ১৭১৯ সালে জন ল মিসিসিপি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর দারুণ সফলতা পান। আর তিনি প্রথম ব্যক্তি হয়েছিলেন যাকে মিলিয়নিয়ার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। জন ল'র এক মিলিয়ন ফ্রাঙ্কেরও বেশি অর্থ ছিল এবং তিনিই মিলিয়নিয়ার হিসেবে পরিচিত পাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন। পরবর্তী কয়েক বছর 'মিলিয়নিয়ার' শব্দটি ধনী ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
আর আজকের পৃথিবীতে অর্থের পিছে ছোটেন না, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। তবে জীবনভর ছোটাছুটি করেও আক্ষরিক অর্থে বিত্তবান হন না সবাই। যারা কোটিপতি হতে পারেন, তাদের ছোটাছুটি আর অন্যদের ছোটাছুটির মধ্যে নিশ্চয়ই বিরাট তফাত থাকবে। প্রায় সব কোটিপতিরাই পরিশ্রমী এবং মনোযোগী। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। এই সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো কোটিপতি হওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। আর কোটিপতিদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যা তাদের বাকিদের থেকে আলাদা করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোটিপতিদের ৫টি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য এবং তাদের মধ্যে মিলগুলো—
মিতব্যয়ী: কোটিপতিরা অর্থ ব্যয় করতে পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ কোটিপতি মিতব্যয়ী। তারা ডিসকাউন্ট এবং কুপনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কোটিপতিরা বিশ্বাস করেন যে, এটি সম্পদ ধরে রাখার একটি উপায়।
চশমা পরে না: চশমা পরাকে নির্বোধ হওয়ার লক্ষণ হিসাবে দেখা হয়। বেশিরভাগ কোটিপতি আসলে চশমা পরেন না। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে, মাত্র দুজন চশমা পরেন। তারা হলেন ওয়ারেন বাফেট ও বিল গেটস।
কুম্ভ রাশি: অধিকাংশ কোটিপতি কুম্ভ রাশির হয়ে থাকে। তাদের বেশিরভাগের জন্ম ২০ জানুয়ারি এবং ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। গো কমপেয়ার বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফোর্বসের শীর্ষ ১০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ কুম্ভ রাশির।
বড় পরিবার: বেশিরভাগ কোটিপতিদের তিন থেকে পাঁচটি সন্তান থাকে। তাদের বেশিরভাগই একটি বড় পরিবার বজায় রাখতে পছন্দ করেন। গো কমপেয়ার বিশ্লেষণ অনুসারে, প্রায় ২১ শতাংশ কোটিপতির তিন বা তার বেশি সন্তান রয়েছে।
সস্তা গাড়ি চালায়: বেশির ভাগ ধনকুবেররা দামি গাড়ি চালায় না। তারা সাধারণ বা সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি চালায়। কারণ তারা তাদের সম্পদ সঞ্চয় করে।
কোটিপতিদের মধ্যে মিল যেখানে:
কোটিপতিরা এতো সম্পদের মালিক হওয়ার পরে কেমন হয় তাদের জীবনধারা? অর্থের সঙ্গে তো দায়িত্বও বাড়ে। কী করেন তারা সারা দিন? কীভাবে ভারসাম্য রাখেন জীবনে? নিজ উদ্যোগেই ধনী হয়েছেন, এমন শতাধিক ব্যক্তিসহ সফল দুই শ জনের জীবনধারা বিশ্লেষণ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। এই বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, নিজের ভালো থাকাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। সময়ের ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করেন, যেন সবকিছু সামলানো যায় ঠিকঠাক। উল্লেখযোগ্য আর কী কী জানা গেল জেনে নিন।
মিরাকল মর্নিং: সকালটা হলো সারা দিনের ভিত্তি। ধনীদের একটা বড় অংশ তেমনটাই বিশ্বাস করেন। দিনের প্রথম আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা সময় তারা শরীর এবং মনের সতেজতার জন্য ব্যয় করেন। কেউ হাঁটতে হাঁটতে শোনেন পডকাস্ট, কেউ শরীরচর্চার সময় শোনেন কোনো অডিও অনুষ্ঠান। কেউ আবার ‘এক্সারসাইজ বাইক’ চালাতে চালাতে উদ্দীপনামূলক বার্তা পড়া দিয়ে শুরু করেন নিজের দিন। কারও কাছে সকালটা হলো ‘দ্য মিরাকল মর্নিং’।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ: ধনীদের মধ্যে কারও কাছে স্বাস্থ্যই সম্পদ, কারও কাছে সম্পর্কগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যিনি যে বিষয়কে গুরুত্ব দেন, সেই বাবদ সময় বরাদ্দ রাখেন ঠিকঠাক। যিনি সম্পর্ককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, তিনি কিন্তু হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও প্রিয়জনকে সময় দেন, সন্তানের আনন্দের প্রতি যত্নশীল হন, পারিবারিক আয়োজনের জন্য সময় রাখেন। বার্ষিক যে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে তিনি ছুটছেন, সেই লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যান একটু একটু করে। বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য রোজকার ছোট ছোট কাজ নির্দিষ্ট করে ফেলেন তারা। নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সকাল সকালই বসে যান পরিকল্পনা করতে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সকালটাই সেরা সময় তাদের কাছে; মাল্টিটাস্কিং না করে একদিকে মনোযোগ দেন তারা।
মিটিং করে সময় নষ্ট করেন না: কোটিপতিদের জীবনধারা বিশ্লেষণ করে ফোর্বস বলছে, তাদের মধ্যে মিটিং করার প্রবণতা কম। স্টিভ জবস বা মার্ক জাকারবার্গের হাঁটতে হাঁটতে মিটিং সেরে নেওয়ার কথা অনেকেই জানেন। মিলিয়নিয়াদের কাজের ধরন থেকে বোঝা যায়, কাজকে ফলপ্রসূ করতে লম্বা দৈর্ঘ্যের মিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না।
ই–মেইল প্রসেসিং টাইম: সারাদিন নিজের ই–মেইল আর মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখেন না মিলিয়নিয়াররা। বরং তারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখেন ই–মেইলের জবাব দেওয়ার জন্য। এভাবে কাজ ভাগ করে নেওয়ার ফলে অনেকটা সময় বেঁচে যায় তাদের।
কাজের সময় কাজ, বিশ্রামের সময় বিশ্রাম: অফিসের সময় শেষ হয়ে গেলেও হয়তো আপনার এমন অনেক কাজ রয়ে যায়, যা করা উচিত, যা করা প্রয়োজন কিংবা যা করলে ভালো হয়। তবে ধনকুবেররা কিন্তু এসব কাজ করার পেছনে বাড়তি সময় ব্যয় করেন না। কাজের সময় শেষ হলেই তারা বাড়ি চলে যান। সময়মতো খেয়ে নেন রাতের খাবার। রাত হলো তাদের ‘রিচার্জ’ হওয়ার সময়। রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন তারা। পরের দিনটা শুরু করেন পূর্ণ উদ্যমে।
সূত্র: ফোর্বস
আরটিভি/এফআই/এআর