পূজায় একদিন রেঁধে নিন অষ্টমঙ্গলা ঝোল
খাবার ছাড়া পূজা ঠিক জমে না। ঝাঁ-চকচকে মন্দিরের রং-বাহারী সাজসজ্জায় উৎসবের আমেজ তৈরি হয় বটে, তবে পূজার আভিজাত্য প্রকাশিত হয় খাবারে। নিরামিষ, আমিষ, যত ধরনের মিষ্টির নাম আমরা জানি, তার প্রায় সবই; তারপর আছে পূজার জন্য বিশেষ বিশেষ খাবার। সব মিলিয়ে পুরো পূজার সময় আধ্যাত্মিক মুক্তির আবেশ যেমন থাকে, তেমনি থাকে স্বাদমুক্তিরও প্রাণান্ত প্রচেষ্টা, সাধ্যমতো। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজার বেশির ভাগই রাজসিক পূজা। ফলে, খাবারদাবার ছাড়া এ অনুষ্ঠান কল্পনা করাটাই কষ্টকর। তাহলে আজ জেনে নিন পূজার জন্য বিশেষ একটি পদ অষ্টমঙ্গলা ঝোল। জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণ:
আলু (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, কুমড়ো (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, রাঙা আলু (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, বেগুন (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ
পটল (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, ঝিঙে (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, বাঁধাকপি (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ, ফুলকপি (লম্বা ডুমো করে কাটা) - ১ কাপ
মটর ডালের বড়ি- ১ মুঠো, নারকেল কুচি- ১ মুঠো, তেজপাতা- ২-৩টি, শুকনো মরিচ- ২-৩টি, পাঁচফোঁড়ন- ১ চামচ, কাঁচামরিচ চেরা- বেশ কয়েকটি, ধনেপাতা কুচি- ১ মুঠো, লবণ স্বাদমতো, চিনি- স্বাদমতো, সরিষার তেল, ঘি
প্রণালী:
আলু, কুমড়ো, ঝিঙে, রাঙা আলু এবং পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। তবে পটল এবং ঝিঙের সমস্ত খোসা ছাড়াবেন না। মাঝে একটু করে রেখে দেবেন। এবার বেগুনসহ সবজি লম্বা ডুমো করে কেটে নিন। ফুলকপির ফুল ছাড়িয়ে ছোটো টুকরো করে কাটুন। বাঁধাকপি এবং নারকেল যতটা সম্ভব মিহি করে কুচিয়ে নিন। কাঁচামরিচ চিরে রাখুন। কড়াইতে তেল এবং ঘি একসঙ্গে গরম করুন। তাতে প্রথমে নারকেল কুচি ভেজে নিন। তারপর তাতে ভেজে নিন বড়িগুলো। প্রয়োজনে কড়াইতে আরও কিছুটা তেল বা ঘি দিন। ঘি দিলে খেতে বেশি সুস্বাদু হবে। গরম তেলে তেজপাতা, শুকনো মরিচ এবং পাঁচফোঁড়ন দিন। মশলার সুগন্ধ উঠলে প্রথমে তাতে শক্ত সবজিগুলো ভেজে নেবেন। সেই অনুযায়ী প্রথমে আলু ও ফুলকপি ভাজুন। মিনিট পাঁচেক ভাজার পর তাতে পটল, রাঙা আলু এবং বাঁধাকপি দিয়ে ভাজতে থাকুন।
তারপর তাতে সবচেয়ে নরম সবজি মানে কুমড়ো, ঝিঙে এবং বেগুন দিয়ে ভাজুন। এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং কাঁচা মরিচ চেরা দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকুন। এই পদটি মাঝারি আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করতে হবে। রান্নার মাঝে মাঝে জল ছিটিয়ে দিতে হবে। না হলে সেটি পুড়ে যেতে পারে। সবজি নরম হয়ে গেলে তাতে ধনেপাতা কুচি, চিনি দিয়ে খুব ভালো করে মেশান। শেষে এতে নারকেল কুচি ভাজা এবং বড়ি ভাজা দিয়ে মেশাতে থাকুন।
এই সবজি একেবারে শুকনো হবে না। খুব সামান্য ঝোল থাকবে। তাই জলের পরিমাণ বুঝে দেবেন। আর সাবেকি নিয়ম অনুযায়ী এই রান্নায় আদা, হলুদ বা অন্য কোনও মশলা পড়ে না। সম্পূর্ণ নিরামিষ এই রান্না পূজার দিনেও খেতে পারবেন অনায়াসে।
আরটিভি/এফআই
মন্তব্য করুন