উৎসবে আনন্দ হোক সুগার ফ্রি মিষ্টিতে
উৎসব মানেই খুশি উৎসব মানেই আনন্দ। আর আনন্দের দিন থাকে নানা রকম মিষ্টির বাহার। আর এই রকমারি মিষ্টি নিয়ে সমস্যায় পড়েন ডায়াবেটিক রোগীরা। উৎসবের মিষ্টি অনেকে ডায়াবেটিক রোগীরাই খাওয়ার সুযোগ হারিয়ে ফেলেন। তবে এবার থেকে মিষ্টি প্রেমীরা উৎসবে রাখতে পারেন সুগার ফ্রি মিষ্টি। জেনে নিন সুগার ফ্রি তিনটি মিষ্টির রেসিপি।
মিষ্টি আলুর পান্তুয়া
উপকরণ: ১ কিলো মিষ্টি আলু, ৪০০ গ্রাম ময়দা, ৪০০ গ্রাম চিনি, ৪০০ মিলিমিটার পানি, ৬টি ছোট এলাচ, ১ টেবিল চামচ ঘি, সাদা তেল, ১/২ চা চামচ বেকিং পাউডার
প্রণালী: মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়ানোর পর ভালো করে মেখে নিতে হবে। এরপর তাতে ময়দা, বেকিং পাউডার আর আধা টেবিল চামচ ঘি দিয়ে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে। হাতের তালুতে অল্প করে ঘি মাখিয়ে নিন। ছোট ছোট লেচি কেটে গোল করে নিন। একটি পাত্রে পানি, ছোট এলাচ দিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে। এবার সাদা তেলে হাল্কা থেকে মাঝারি আঁচে বলগুলো দিয়ে ভেজে নিয়ে রসে ডুবিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন। রস বানানোর সময় চিনির পরিমাণ যেন অল্প থাকে। কারণ, মিষ্টি আলুর নিজস্ব একটা স্বাদ থাকে চিনি বেশি দিলে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
বাদাম বরফি
উপকরণ: ৫০০ গ্রাম বাদাম, ২০০ গ্রাম চিনি, ১ কাপ ঘি, ৪ টি এলাচ
প্রণালী: একটি পাত্রে প্রয়োজন মত কনডেন্সড মিল্ক এবং ড্রাই ফ্রুট নিন। ২ ঘন্টা মতো প্রথমে বাদামগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভিজিয়ে রাখা বাদামগুলো ব্লেন্ডারে বেটে নিতে হবে। তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি গরম করে তাতে বেটে রাখা বাদাম দিয়ে দিতে হবে ও ভালোভাবে ভাজতে হবে ঘিয়ে। ভাজা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণ মতো চিনি ও এলাচ দিয়ে আবার ভালো করে নাড়াতে হবে যতক্ষণ না চিনির পানি শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে মন্ড মতো হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। একটা থালার মধ্যে একটু ঘি গ্রিজ করে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে ওপর দিয়ে ড্রাই ফ্রুট দিয়ে গারনিশ করতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে বরফি আকার কেটে নিলেই তৈরি বাদাম বরফি।
বেসনের লাড্ডু
প্রণালী: ১ কাপ বেসন, ১ কাপ চিনি, ১ কাপ ঘি, বড় এলাচের গুঁড়ো, ছোট ছোট টুকরো করে কাটা বাদাম
উপকরণ: প্রথমে চিনি আর ১ কাপ পানি নিয়ে ওভেনে বসান। ফুটে গাঢ় হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে নামিয়ে নিন। বাড়িতে জাফরান থাকলেও দিতে পারেন সামান্য, রসে সুন্দর গন্ধ হবে। এবার একটি নন স্টিক ফ্রাই প্যানে বেসন নিয়ে কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন কিছুক্ষণ। আঁচ কিন্তু বাড়াবেন না। না হলে বেসন পুড়ে যাবে। বাদামের কুচি আর এলাচের গুঁড়ো দিয়ে দিন। সুগন্ধ বেরোলে ঘি মিশিয়ে দিন। পুরোটা মিশে গেলে রসটাও একইভাবে মিশিয়ে দিন। এবার স্প্যাচুলা দিয়ে নেড়ে ভালো করে মেশাতে হবে। ধারে ঘি ভেসে উঠলেই বুঝবেন মিশ্রণ রেডি। নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করেই হাতে অল্প ঘি মাখিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিন। ফ্রিজে দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। বাইরেও বেশ কিছুদিন ভালো থাকে।
আরটিভি/এফআই
মন্তব্য করুন