শীতে শ্বাসকষ্ট এড়াতে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
আসন্ন শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টের সাথে লড়াই করছে বহু মানুষ। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস এবং ঘরে বাইরে উড়ে বেড়ানো ধূলিকণার কারণে শীতকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তাই শীতে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ, উপসর্গ, প্রতিরোধের উপায় ও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখা উত্তম।
ঋতু পরিবর্তনের সময় ছোট, বড় সকলের শরীরেই নানা সমস্যা তৈরি হয়। ঘরে ঘরে কাশি, জ্বর, সর্দি লেগে থাকে। শীতে শ্বাসযন্ত্রেরও নানা সমস্যা তৈরি হয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অনেকটাই দায়ী করছেন শীতের বাতাসকে।
তাদের মতামত অনুযায়ী, ঋতু পরিবর্তনের সময়, শীত আসার সময় আমরা বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়ি। শীতের বাতাস খুব শুষ্ক। ঠান্ডা বাতাস। যা শরীরকে কষ্ট দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, আমাদের শ্বাসনালির ভিতরে ছোট্ট একটা ফিল্ম থাকে। তা এই ঠান্ডা বাতাস শুকিয়ে দেয়। ঠান্ডা বাতাস শ্বাসনালিতে ধাক্কা দিলে বেশি পরিমাণে কফ তৈরি হয়। শ্বাসনালি চুপসে যায়। সিওপিডি, অ্যাজমার রোগী, ছোট বাচ্চাদের শারীরিক সমস্যায় হয়। সিওপিডির রোগীদের শীতে বাড়াবাড়ি হয়।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, শীতে ঠান্ডা হাওয়া বাতাস এড়িয়ে চলা। কান, গলা ও নাক ঢেকে বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে। প্রয়োজনে স্কার্ফ নাকে ঢাকা রাখুন। ঠান্ডা শুকনো বাতাস যখন স্কার্ফের মধ্যে দিয়ে নাকের ভেতর যাচ্ছে, তখন সেই পরিমাণ ঠান্ডা থাকছে না। যার ফলে গলার চুলকানিও কমে।
আরটিভি/এফআই
মন্তব্য করুন