গোলাপের রয়েছে নানা প্রকারভেদ, তবে ভালোবাসা দিবসে লাল গোলাপের চাহিদা থাকে শীর্ষে। লাল গোলাপকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু এর পেছনের ইতিহাস কী জানেন?
এর সূত্র খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে পৌরাণিক যুগে। প্রাচীন গ্রিকরা ভালোবাসার দেবী হিসেবে অ্যাফ্রোদিতিকে পূজা করত, আর রোমানরা তাকে ডাকত ভেনাস নামে।
বিশ্বাস করা হয়, দেবী অ্যাফ্রোদিতি তার প্রেমিক অ্যাডোনিসকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। প্রেমিকের মৃত্যুর শোকে দেবীর বুকে রক্তক্ষরণ হতো, আর সেই রক্ত থেকেই গোলাপের রং হয়ে উঠেছিল লাল।
এই পৌরাণিক কাহিনি সপ্তদশ শতকে আরও জনপ্রিয় করে তোলেন সুইডেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস। পার্সিয়া সফরকালে তিনি "ফুলের ভাষা" নামে একটি সাংকেতিক ভাষার প্রচলন করেন, যেখানে বিভিন্ন ফুলের মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশ করা হতো।
উদাহরণস্বরূপ, হলুদ গোলাপ হতাশার প্রতীক, বেগুনি গোলাপ দুঃখ ও ক্ষমাপ্রার্থনার ইঙ্গিত বহন করত, আর লাল গোলাপ বোঝাত গভীর প্রেম ও অনুরাগ।
রাজা চার্লসের প্রচলিত এই ধারণা ও পৌরাণিক কাহিনি মিলিয়ে সতেরো শতক থেকেই লাল গোলাপ বিশ্বব্যাপী ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই ভালোবাসা দিবস বা প্রেমের প্রকাশে লাল গোলাপ আজও প্রেমিক-প্রেমিকার হাতে জায়গা করে নেয়।
আরটিভি/জেএম