‘প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে
অধরেতে থরে থরে চুম্বনের খেলা
দুখানি অধর হতে কুসুমচয়ন
মালিকা গাঁথিবে বুঝি ফিরে গিয়ে ঘরে
দুটি অধরের এই মধুর মিলন’—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পংক্তিগুলো একটি প্রেমময় চুম্বনের সৌন্দর্যকে তুলে ধরে।
ভালোবাসার রঙে রাঙানো ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের শেষ দিন আজ, ‘কিস ডে’ বা চুম্বন দিবস। ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম সুন্দর মাধ্যম হলো এক আন্তরিক চুম্বন। এটি শুধু আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং শরীর, মন ও সম্পর্কের জন্যও দারুণ উপকারী। তাই দিনটি বিশেষ করে তুলতে সঙ্গীকে হৃদয়ছোঁয়া এক চুম্বনে ভরিয়ে দিন।
চুম্বনের উপকারিতা
- ক্যালরি বার্ন: গবেষণা বলছে, মাত্র আধা ঘণ্টার চুম্বনে প্রায় ৬৮ ক্যালরি ক্ষয় হয়। এমনকি গভীর চুম্বনের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বাড়লে ৯০ ক্যালরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।
- পেশির সক্রিয়তা: চিকিৎসকদের মতে, চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি এবং ১১২টি পস্ট্রুয়াল পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে, যা ফেসিয়াল পালসি বা মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- অ্যালার্জির বিরুদ্ধে সুরক্ষা: চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি ও হিস্টামিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়, ফলে অ্যালার্জির প্রকোপ কমতে পারে।
- হার্টের যত্ন: প্রেমময় চুম্বন হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মানসিক চাপ ও অবসাদ কমাতে সহায়তা করে।
- হরমোনের ভারসাম্য: চুম্বনের ফলে মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যা দুশ্চিন্তা ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে এবং আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে।
যারা আজ সঙ্গীর কাছ থেকে দূরে রয়েছেন, তারা ভালোবাসার বার্তা পাঠিয়ে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পারেন। চুম্বন হোক ভালোবাসার এক অনন্য প্রকাশ।
আরটিভি/জেএম