আজ টেডি ডে, ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের চতুর্থ দিন। প্রতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
শৈশবে অনেকেরই একটি টেডি বিয়ার ছিল, কারণ এটি সবচেয়ে নরম খেলনাগুলোর মধ্যে একটি। টেডি বিয়ার ছোট বড় নির্বিশেষে সব মানুষের মন কেড়ে নেয়। সম্ভবত এ কারণেই ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে টেডি বিয়ারের জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা হয়, যখন ছেলে-মেয়েরা একে অপরকে টেডি বিয়ার উপহার দেয়।
টেডি বিয়ার একপ্রকার প্রতীকী উপহার, বিশেষ করে প্রেমিক যুগলদের জন্য। এ উপহারটির মাধ্যমে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের খুশি করার অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। যখন প্রিয়জন দূরে থাকে, তখন টেডি বিয়ারের মাধ্যমে তাদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়, এবং ব্যস্ত জীবনে একে জড়িয়ে রেখে শান্তি পাওয়া যায়।
পাশ্চাত্য সাহিত্যে অনেক গল্পে টেডি বিয়ারকে এক ধরনের গোপন রক্ষক হিসেবে দেখানো হয়, যেটি একাকিত্ব বা কষ্ট অনুভূত হলে প্রশান্তি এনে দেয়। তাই প্রিয়জনদের একটি টেডি উপহার দেওয়া হলে তারা খুশি হন এবং তাদের মন ভালো থাকে।
প্রিয়জনকে কেমন টেডি উপহার দেবেন
টেডি লাভ: যারা প্রিয়জনকে তাদের ভালোবাসার কথা বারবার মনে করিয়ে দিতে চান, তাদের জন্য টেডি লাভ একটি সেরা উপহার। এই টেডির হাতে একটি লাভ সাইন থাকে, যা বারবার দেখে প্রেমিকা ভালোবাসার অনুভূতি মনে করবে।
টেডি হাগ: এই ধরনের টেডি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন একে জড়িয়ে ধরে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায়। এটি একধরনের ইমোশনাল উপহার, যা প্রেমিকার বা প্রিয়জনের মন প্রশান্তি দিতে পারে।
জানেন কি এ দিনটির ইতিহাস?
টেডি ডে’র সঙ্গে অনেকটাই জড়িয়ে আছে একটি গল্প। টেডি উপহার হিসেবে খুব বেশি দিন বিখ্যাত হয়নি। গত শতক থেকে এটি উপহার হিসেবে জনপ্রিয় হয়। কিন্তু তার পেছনে আছে এক গল্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেই গল্পের নায়ক।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ শতকের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট একবার শিকারে যান। শিকারের সময় একটি ভাল্লুককে দেখে তার মত বদলে ফেলেন।
ভাল্লুকটিকে ছেড়ে দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। থিওডোরের এই ঘটনার কথা সঙ্গে সঙ্গে রটে যায়। তার এ মানবিক গুণ কার্টুনে ফুটিয়ে তোলেন ক্লিফোর্ড বেরিম্যান। কার্টুনে দেখা যায় একটা মিষ্টি ভাল্লুককে।
কার্টুনটি জনপ্রিয় হয়েছিল। একই সঙ্গে সেই ভাল্লুকটিও জনপ্রিয় হয়ে যায়। এর পর মরিস মিকটোম ওই কার্টুন ভাল্লুকের আকারে একটা খেলনা পুতুল তৈরি করেন। যেটি টেডি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
জনপ্রিয় উপহার হিসেবে টেডি’র চল
শুরু থেকেই টেডি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে জড়িত থাকায় সহজে জনপ্রিয়তা পায় ভাল্লুক। এর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টেডি জনপ্রিয় উপহার হয়ে ওঠে। টেডির চেহারার মধ্যেও আছে এক নিষ্পাপ আদুরে ভাব।
আর সেই থেকে প্রেমের একটি মিষ্টি উপহার টেডি। এদিন চাইলে রং-বেরঙের টেডি উপহার দিতে পারেন প্রিয়জনকে।
আরটিভি/জেএম