বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণ চন্দন কাঠে
দেখতে সাধারণ কাঠের টুকরার মতো মনে হলেও চন্দন কাঠের রয়েছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণ। সৌন্দর্য চর্চায় সেই আদ্যিকাল থেকে সম্ভ্রান্ত মানুষ ব্যবহার করে থাকেন চন্দন কাঠ। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এ গাছের ফুল কিংবা পাতায় কোনও গন্ধ নেই, সুগন্ধ শুধু কাঠে। এই কাঠ ব্যবহার করা হয় ওষুধ শিল্পে, সুগন্ধি দ্রব্য তৈরিতে এবং অ্যারোমা থেরাপিতে। ভারতীয় একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে জেনে নিন চন্দনকাঠের বিস্ময়কর স্বাস্থ্য গুণ সম্পর্কে।
মূত্রনালীর সংক্রমণে
চন্দনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি বৈশিষ্ট্য আছে। এই উপাদান রেচনতন্ত্র বা ইউরিনারি সিস্টেমের জ্বালাভাবের উপশম করতে সাহায্য করে, আরাম দেয় এবং সহজেই প্রস্রাব বেরিয়ে যাবার পথ করে দেয়। এছাড়াও ক্ষতিকারক টক্সিন সহজেই বের করে দিয়ে মূত্রনালীর সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।
জীবাণুনাশক
চন্দন কাঠের তেল জীবাণুনাশক হিসেবে দারুণ কার্যকর। এই তেলের স্বতন্ত্র সুগন্ধ কীটপতঙ্গকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এই তেলকে ইনসেক্ট রেপেলেন্ট এবং কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গরুর মাংসের তেহারি
-------------------------------------------------------
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
এই সুগন্ধি কাঠ মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে এবং অকারণ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখে। চন্দন স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মনোযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রক্তক্ষরণ বন্ধ রাখে
চন্দন কাঠ রক্তক্ষরণ বন্ধ রাখে বলে আফটার শেভ ও ফেসিয়াল টোনারের প্রাথমিক উপকরণ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। স্যান্ডেলউড বা চন্দনের গুঁড়ার সাথে সামান্য কর্পূর ও পানি মিশিয়ে সেই মিশ্রন পোড়া, ফুসকুড়ি এবং অ্যালার্জিতে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
একজিমা নিরাময়ে
স্যান্ডেলউড অসাধারণ এক প্রকার অ্যান্টি-ভাইরাল এজেন্ট। ত্বকের সংক্রমণ ও চুলকানির ক্ষেত্রে এটা দারুণ কার্যকরী। এটা সফলভাবে একজিমার নিরাময় করে বলে জানা যায়।
হাঁপানি প্রতিরোধ করে
স্যান্ডেলউড অয়েল অ্যান্টিস্প্যাজম্যাটিক গুণ সম্পন্ন। এটা পেশী শিথিল করতে পারে। সেইসঙ্গে যেকোনও গুরুতর খিঁচুনি বন্ধ করার ক্ষমতাও আছে এর মধ্যে। সংবেদনশীল পেশীর সঙ্কোচন, ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি-কাশি থেকে হওয়া ক্রাম্প বা টান লাগার নিরাময়ে এই তেল ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/পি
মন্তব্য করুন