ফোসকার চিকিৎসা করুন নিজেই
তীব্র গরম। একটু কাজ করতেই হাত পায়ে পড়তে পারে ফোসকা। কিছু টিপস জানলে আপনি নিজেই ঘরোয়া উপায়ে এর চিকিৎসা করাতে পারবেন। টিপসগুলো জেনে নেয়া যাক।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী
অ্যালভেরা ত্বকের যেকোনও সমস্যা প্রশমনে কাজ করে। এই ভেষজ একটু ঠাণ্ডা হওয়ায় ফোসকার জ্বালাভাব দূর করতে সাহায্য করে। প্রথমে ফোসকায় কিছুটা অ্যালোভেরা লাগিয়ে রাখুন। প্রাথমিকভাবে কিছুক্ষণের জন্য জ্বালা বা চুলকানি দেখা দেবে। পাত্তা দিবেন না। অ্যালোভেরা শুকিয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার একই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং হিলিং উপাদান ফোসকার জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে একটা গ্রিন টি-এর ব্যাগ ভিজিয়ে তার সঙ্গে বেকিং সোডা যোগ করুন। এরপর টি-ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে ফোসকার ওপর প্রয়োগ করুন। বেকিং সোডায় অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান থাকে, যা ইনফেকশন হতে দেয় না। দিনে দুই তিনবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার তুলা দিয়ে ভিজিয়ে ফোসকায় লাগিয়ে শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন। এটি লাগালে জ্বালা করতে পারে কিন্তু এই পদ্ধতিতে তিন-চার দিনের মধ্যেই ফোসকা সেরে যায়।
ক্যাস্টর অয়েল
রাতে ঘুমানোর আগে ফোসকায় ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাখুন। ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পাবেন ফোসকা সেরে গেছে। এছাড়াও একটি পাত্রে অর্ধেক পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল ও অর্ধেক সাদা ভিনেগার মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার ফোসকায় লাগালে সহজে ফোসকা নিরাময় হয়।
পেট্রোলিয়াম জেলি
রাতে ঘুমানোর আগে ফোসকায় পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। এর ফলে শুষ্কভাব এবং জ্বালা দূর হবে। এছাড়া গরম পানিতে পনেরো মিনিট পা ভিজিয়ে শুকনা কাপড়ে মুছে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন। গরম পানি ব্যথা কমাবে এবং ইনফেকশন দূর করবে আর পেট্রোলিয়াম জেলি পায়ের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
লবণ
ঠাণ্ডা পানিতে লবণ মিশিয়ে তার মধ্যে একটা কাপড় ভেজান। তারপর সেই কাপড় ফোসকার ওপর দিয়ে রাখুন। এছাড়া গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পনেরো মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
সূত্র: ফেমিনা ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন :
কেএইচ/এসআর
মন্তব্য করুন