আঁচিল নিয়ে যন্ত্রণার মধ্যে আছেন?
আপনার চাঁদমুখটিকে কলঙ্ক এনে দেয়ার জন্য একটি আঁচিলই যথেষ্ট। আঁচিল হয় মূলত তৈল গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকারিতার ফলে। এছাড়াও বয়ঃসন্ধিকালে ও গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও আঁচিল হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে আঁচিলের জন্য জেনেটিক কারণ ও অনেকাংশে দায়ী। আসুন জেনে নেই আঁচিল প্রতিরোধের বেশকিছু উপায়।
১. চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছোট একটি অপারেশন করে আঁচিল দূর করা হয়।
২. এক টুকরো তুলায় আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ে আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। ঘণ্টাখানেক রেখে আবার ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহার করুন যতদিন না আঁচিল দূর হয়।
৩. আধা কোয়া রসুন আঁচিলের উপর রেখে সারারাত ব্যান্ডেজ করে রাখুন। কিছুদিন পর আঁচিল মুছে যাবে।
৪. কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের উপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।
৫. এক চিমটি বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে আঁচিলের উপর সারারাত রাখুন। কিছুদিন ব্যবহারে আঁচিল দূর হবে।
৬. আঁচিলের উপর স্ট্রবেরি কেটে রাখলেও কাজে আসে।
৭. আঙ্গুর নিয়ে চিপে রস বানিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার আঁচিলের উপর লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল থেকে মুক্তি পাবেন।
৮. ত্বকের আঁচিলের উপর কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ত্বক সম্পূর্ণ জেল শুষে নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এটি দিনে তিনবার দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
৯. পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি এবং আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে সারারাত ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে পরদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটা আঁচিলের উপর ব্যবহার করুন। পরের দিন সকালে কুসুম কুসম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিরাতে ব্যবহার করুন।
মনে রাখবেন, আঁচিল কখনই খোঁচাখুঁচি করবেন না। এতে রক্তপাত হবে এবং পুনরায় ওই স্থানে আঁচিল হবে। আর উপরের সবগুলো প্রক্রিয়া একসঙ্গে শুরু করতে যাবেন না। একটা কাজ না করলে আরেকটা শুরু করবেন।
আরও পড়ুন :
এসএস
মন্তব্য করুন