প্রতিদিন ‘কাল্পনিক চেয়ারে’ বসলে যে উপকার পাবেন
সহজ ভাষায় এটাকে বলে ‘কাল্পনিক চেয়ারে’ বসা। আর ব্যায়ামের ভাষায় স্কোয়াট। ভেঙে বললে, চেয়ারে বসার মতো করে হাঁটু ভাঁজ করে কোমর ও পিঠ সোজা রেখে দাঁড়ানো। হাত দুটো সামনের দিকে টানটান করে ছড়িয়ে রাখা। প্রতিদিন শরীরচর্চার সময় না পেলেও অন্তত মিনিট পাঁচেক এভাবে দাঁড়ানোর অভ্যাস আপনার শরীরে কী উপকার করতে পারে দেখে নিন-
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ শরীরচর্চার সময় না পেলেও নিয়ম করে মিনিট পাঁচেক স্কোয়াট আপনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে পারে। লাফানো, দৌড়ানো, হাঁটাহাঁটিতে পায়ের পেশীর যে উপকার মেলে, স্কোয়াট তার অনেকটাই পুষিয়ে দেয়।
শুধু পেশীর জোর বাড়ানোই নয়, টেস্টোস্টেরন ও গ্রোথ হরমোন নিঃসরণে বিশেষ কার্যকর এই ব্যায়াম। যার জেরে পেশীর বৃদ্ধি ও ভরকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। সারা শরীরে শক্তির সমান বণ্টনের ক্ষেত্রেও বিশেষ কাজ করে এই ব্যায়াম।
স্কোয়াট করলে শুধু পেশীর উপকার নয় বরং হাঁটাহাঁটিতে যে পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন হয়, তার চেয়েও বেশি ফ্যাট ঝরাতে পারে এই ব্যায়াম। স্কোয়াটের ফলে যেসব মাংসপেশি সুগঠিত হয়, তার প্রতি পাউন্ডের জন্য অতিরিক্ত ৫০-৭০ ক্যালোরি বার্ন হয়। ফলে মাত্র ১০ পাউন্ড পেশী থেকেই মিলতে পারে ৫০০-৭০০ ক্যালোরি বার্ন।
এই ব্যায়াম মাসখানেক করলে দৌড়ানো, লাফানো বা পরিশ্রম করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। যারা খেলোয়াড়, তাদের ক্ষেত্রেও জোরে দৌড়াতে কিংবা বেশি লাফাতে সাহায্য করে স্কোয়াট।
এই ব্যায়ামের প্রভাবে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। হরমোন ক্ষরণ, কোষে কোষে পুষ্টিগুণ পৌঁছানোর কাজও সহজ হয়ে যায়। ফলে পেটের সমস্যা প্রতিরোধ, সারা শরীরে উপকারী বডি ফ্লুয়িড পৌঁছনোর মতো প্রয়োজনীয় জৈবিক কাজও অনেক সহজ করে তোলে এই স্কোয়াট অভ্যাস।
ডি/এসএস
মন্তব্য করুন