বিরক্তিকর সহকর্মীকে এড়িয়ে চলবেন যেভাবে
যারা চাকরি করেন তাদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে অফিসে। এজন্য এই জায়গার পরিবেশ হওয়া উচিত নিজের মনমতো। এখানে স্বস্তি বা শান্তির পরিবেশ না থাকলে চাপের মুখে কাজ করাও যেমন অসম্ভব, তেমনই পেশার প্রতি আসতে পারে বিরক্তি।
ভালোভাবে কাজ করতে সুস্থ পরিবেশ থাকা জরুরি। কিন্তু অনেককেই অফিসে নানা রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোনও সহকর্মীর বিরক্তিকর আচরণ।
কোনও সহকর্মী যদি একটু বেশিই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তার সঙ্গে কিছু কৌশল অবলম্বন করে চলুন। এতে তিনিও বিরক্ত করার সুযোগ পাবেন না এবং আপনিও ঝামেলা এড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে পারবেন।
- মনে রাখবেন, অফিসটা কাজের জায়গা। কোনও বিরক্তিকর সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে অন্য সহকর্মীরা আপনার পক্ষ নিলেও বা তা নিয়ে ওই সহকর্মীর সমালোচনা করলেও এ ধরনের অশান্তি বার বার হতে দেবেন না।
- কাজের প্রয়োজন বা দরকারি কথা ছাড়া এমন মানুষের সঙ্গে খুব একটা বাড়তি কথা বলবেন না। তার বলা কোনও কথাতেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
- তার বলা কথা বা মন্তব্য নিয়ে অকারণে মাথা গরম করবেন না বরং সেসব কথাকে মজার ছলে নিয়ে বুঝিয়ে দিন আপনি তার কথাকে কোনও গুরুত্বই দেননি। উপেক্ষাই এই ধরনের মানুষকে জব্দ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
- যদি তার সঙ্গে কোনও বিষয়ে সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে মন-মেজাজ ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত কোনও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে অংশ নেবেন না। বরং সংযত হয়ে তাকে জানান, এ বিষয়ে কিছুক্ষণ পরে আপনি তার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ডি/পি
মন্তব্য করুন
কাঁচা নাকি রান্না, পেঁয়াজ যেভাবে খেলে পাবেন উপকার
পেঁয়াজ রান্নাঘরের একটি অপরিহার্য সবজি। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না বাঙালির পক্ষে প্রায় অসম্ভব বললেও চলে। মাছ, মাংস, সবজি থেকে চচ্চড়ি বা ঝোল রাঁধতে গেলেও তার মধ্যে পেঁয়াজকুচি দেন। আবার অনেকে ফোঁড়নেও পেঁয়াজ দিয়ে থাকেন। এছাড়া ভাজাভুজির সঙ্গে আমরা অনেকে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে থাকি। কিন্তু পেঁয়াজ কি রান্নায় দিয়ে খেলে বেশি উপকার? নাকি কাঁচা খেলেই এর থেকে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়?
কাঁচা পেঁয়াজ নাকি রান্না করা:
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজ কাঁচা খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে। এই যৌগগুলো রান্নার সময় উচ্চতাপে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে পৌঁছায় না। সালফার শরীরের একাধিক উপকারে প্রয়োজন হয়। তাই এই বিশেষ যৌগটি নষ্ট হয়ে গেলে পেঁয়াজ থেকে আর তেমন পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না। এই কারণেই পেঁয়াজ সবসময় কাঁচা খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া ভালো। কারণ পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার যৌগ কোয়ারসেটিন ও জৈব সালফার যৌগ অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার আরও উপকারিতা রয়েছে।
সর্দি-কাশি থেকে রেহাই দেয় অনেকটাই। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর পেঁয়াজ সাহায্য করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে। মজবুত করে হাড়ের স্বাস্থ্য।
ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে পেঁয়াজের রসের স্বাস্থ্যগুণ। হজমের সমস্যাও কম থাকে পেঁয়াজের দৌলতে।
তাপপ্রবাহ থেকে শরীরের অঙ্গকে রক্ষা করে। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো সুস্থ থাকে। তাপমাত্রা বাড়লেও সহজে ক্ষতি হয় না।
তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচিয়ে হিট স্ট্রোকের মতো বিপদকে প্রতিরোধ করে কাঁচা পেঁয়াজ। এছাড়াও, সান স্ট্রোক থেকে বাঁচায় এই সবজিটি।
সালফার যৌগ ছাড়াও, নানা জৈব যৌগ ও উপকারী খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ পেঁয়াজ। তাই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এই আবহে শরীর সুস্থ রাখতে অবশ্যই কাঁচা পেঁয়াজ খান। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
কাঁচা পেঁয়াজ শরীর ঠান্ডা রাখে। এর ফলে ব্রেনের থার্মোরেগুলেটরি অর্গ্যান শরীরকে গরমের সংকেত দেয় না। ফলে শরীর থেকে ঘাম বেরোয় না। যা ডিহাইড্রেশন ঠেকাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা বলেন, কাঁচা পেঁয়াজে ভিটামিন ও সালফার যৌগ বেশি, তবে রান্না করা পেঁয়াজ হজম করতে সুবিধা।
রান্না করা পেঁয়াজে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি হলেও ভিটামিন সি-এর যোগান কম। কারণ আগুনের উত্তাপে এই ভিটামিন অনেকটাই কমে যায়।
আরটিভি/এফআই
ডায়েট-জিম বাদেও ওজন কমানোর ৫টি উপায়
খেতে ভালবাসেন অনেকেই। কিন্তু, দেহের ওজন ঝরাতে গিয়ে তাদের সমস্ত লোভনীয় খাবার ত্যাগ করতে হয়, যা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের। আবার ইচ্ছা এবং সময় না থাকলেও অনেকে ব্যায়াম করতে বাধ্য হন। তবে জিম আর ডায়েটই ওজন কমানোর একমাত্র রাস্তা নয়। শরীরচর্চা এবং নিয়ম মেনে খাবার খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটাচলা করলেও ওজন কমানো সম্ভব। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানি খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। গরম পানি শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং হজম শক্তিতেও দারুণ সাহায্য করে।
অস্ট্রেলিয়ার পুষ্টিবিদ রাইজ উইথ টিগান জানিয়েছেন জিমে না গিয়ে কোনও কড়া ডায়েট না করেই ১৯ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি? নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই সিক্রেট ভাগ করে নিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
রইল সহজেই ওজন কমানোর ৫ টিপস—
ক্যালোরি কমানো: নিজের সমাজমাধ্যমে টিগান জানিয়েছেন, তিনি দিনে ৫০০ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। যা তার নিজের শরীরের দৈনন্দিন চাহিদার থেকেও কম। সেই জন্যও ডায়েটেও বদল এনেছেন তিনি।
হাঁটা বাড়ান: মেদ ঝরাতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। তবে একদিনে অনেকটা হাঁটা যায় না। তাই ধীরে ধীরে সেই পরিমাণটা বাড়ান। প্রথমে ৫০০০ পা তারপর ১০,০০০ পা এইভাবে নিয়মিত একটু করে নিজের ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
বাড়িতেই শরীরচর্চা: মেদ ঝরাতে একটু ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। তবে তার জন্য অন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি শরীর না দিলে প্রতিদিন করতে হবে না। টিগান জানিয়েছেন তিনি সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ বার ৩০ মিনিটের জন্য কঠিন শরীর চর্চা করেন।
নিজের যত্ন নিন: রোগা হবেন নিজের শরীর, মন সম্পর্কে সচেতন হবেন না, যত্নশীল হবেন না তা কখনও হয় নাকি। টিগান জানান, মানসিক চাপ কমাতে, প্রতিদিন যোগা, শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করা এবং ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমোনো নিশ্চিত করতেই হবে।
নিজের দিকে মনোনিবেশ করুন: টিগান জানিয়েছেন, তিনি ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা করার পরে আর অন্যরা কী করছেন সেই দিকে নজর দেননি। এমনকি বাকিরা শুকিয়ে যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন না সেই ভাবনাও ভাবেননি। কেবল নিজের জীবন, নিয়মের দিকেই মন দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ নিজেরাও বাকিরাও তাই করুন, নিজের ওপর ভরসা রাখুন, আর নিয়ম মেনে চলুন, সাফল্য আসবে।
আরটিভি/এফআই
শীতের খসখসে চামড়ায় লাগান অ্যালোভেরার প্রলেপ
শীত এলেই ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। আর ত্বকের সমস্যা কম-বেশি প্রায় সকলেরই রয়েছে। আমাদের একেক জনের ত্বকের প্রকৃতি একেক রকমের। কারও ত্বক তৈলাক্ত, তো কারও শুষ্ক। কারও ত্বক আবার অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের সমস্যা বেড়েই চলেছে। শুষ্ক, নিস্তেজ ও রুক্ষ ত্বকে প্রাণ এনে দিতে সক্ষম তাজা অ্যালোভেরা জেল। এমনকী স্পর্শকাতর ত্বকেও কোনও সমস্যা তৈরি করে না অ্যালোভেরা জেল।
শীতকালে আর কী কারণে ত্বকে অ্যালোভেরা জেল মাখবেন, জেনে নিন—
ব্রণ দূর করে: নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাখলে ব্রণর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। এই প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে স্যালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি ব্রণ দূর করে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ব্রণর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ব্রণর ফোলা ভাব, ব্যথা, লালচে ভাবও এড়াতে পারবেন।
ক্ষত নিরাময় করে: ত্বকের যে কোনও ছোট কাটাছেঁড়ার ওপর অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের ক্ষত দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এমনকী রোদে পোড়া ক্ষতও সারিয়ে তোলে অ্যালোভেরা জেল।
ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়: অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বকের জন্য অপরিহার্য। শীতকালে ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। নিয়মিত মুখে অ্যালোভেরা জেল মাখলে ত্বক নরম ও কোমল হয়ে ওঠে। এড়ানো যায় শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। শীতকালে অ্যালোভেরা জেল না মাখলেও এমন ক্রিম মাখুন যার মধ্যে অ্যালোভেরার নির্যাস রয়েছে।
অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে: অ্যালোভেরার মধ্যে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং আর্দ্রতাও জোগায়। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অ্যালোভেরা জেল মাখুন।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে: শুষ্ক ত্বকে একজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা খুব কমন। এ সব সমস্যা শীতকালে এড়াতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, উপাদান রয়েছে, যা ত্বককে ফাঙ্গাল ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের হাত থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে শীতকালে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।
আরটিভি/এফআই
প্রথমবার ‘ব্লাইন্ড ডেটে’ যেতে মাথায় রাখুন ৫ বিষয়
মানুষটার সম্পর্কে কিছু জানেন না। কেমন দেখতে, কী নাম, পেশা কী, কোথায় থাকে, কিছুই না। প্রথমবার মানুষটাকে দেখবেন। চিন্তা করছেন আবার এক্সসাইটমেন্টও রয়েছে। ‘ব্লাইন্ড ডেট’-এ যাওয়ার জন্য আগে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। অনেক সিঙ্গল মানুষই এখন ‘ব্লাইন্ড ডেট’-এ যেতে পছন্দ করছেন। আগে মানুষটার বিষয়ে কিছু না জেনে তার সঙ্গে ডেটে যাওয়াই হলো ‘ব্লাইন্ড ডেট’। কিন্তু ব্লাইন্ড ডেটে গেলেই হবে না, কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
জেনে নিন বিষয়গুলো—
১) ব্লাইন্ড ডেটের জন্য কফি শপ, বই ক্যাফের মতো জায়গা বেছে নিন। যেহেতু মানুষটাকে আগে থেকে চেনেন না, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কথাটাও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। তাই এমন জায়গা বেছে নিন যেটা আপনি চেনেন এবং জায়গাটা সুরক্ষিত।
২) প্রথমবার দেখা করতে গেলে কি পোশাক নিয়ে সচেতন হওয়া দরকার? এই প্রশ্নটা অনেকেরই মনেই থাকে। প্রথমত, এমন পোশাক পরুন, যেটায় আপনি কমফর্টবেল। পোশাক পরে যদি আপনি নিজেই অস্বস্তিবোধ করেন, তা হলে সেটা না পরাই ভালো। এ ছাড়া আবহাওয়া বুঝে ড্রেস বেছে নিন।
৩) ব্লাইন্ড ডেটে প্রত্যাশা না রাখাই ভালো। কোনও এক্সপেকটেশন ছাড়াই ডেটে যান। সেখানে গিয়ে মানুষটার সঙ্গে যদি মনের মিল হয়, তখনই আগে এগোনোর কথা ভাববেন। কিন্তু প্রথমেই কোনও প্রত্যাশা রাখবেন না।
৪) ব্লাইন্ড ডেটে গিয়ে সামনের মানুষকে চেনাটাই হলো প্রথম কাজ। তাই দু’জন দু’জনের পছন্দের কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। চেষ্টা করুন মানুষটাকে চেনার, বোঝার। পাশাপাশি ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের বিষয়ে শেয়ার করার বদলে সামনের মানুষটার কথা শুনুন।
৫) ব্লাইন্ড ডেটে গিয়ে যে মানুষটাকে পছন্দ হবে কিংবা পছন্দ হবে না, এত কিছু প্রথমেই ভাববেন না। তা ছাড়া একবার আড্ডা দিলে বা দেখা করলে বোঝা যায় না, যে সে আপনার জন্য পারফেক্ট। তাই সময় নিন। তবে, পজিটিভ ভাবনার সঙ্গে ডেটে যান। ডেটে গিয়ে খারাপ লাগুক বা ভালো, সেটাকে গ্রহণ করুন।
আরটিভি/এফআই
জিব দেখে স্বাস্থ্যের অবস্থা বোঝার উপায়
মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হলো জিব। এটি আমাদের খাবারের স্বাদ উপলব্ধি করতে, স্পষ্টভাবে শব্দ গঠন করতে, খাবার চিবানো এবং গিলতে সহায়তা করে। কিন্তু স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার সময় এটি উপেক্ষা করে বেশির ভাগ মানুষই।
যখন তারা জিবে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করে, তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, মানুষের জিব শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ করতে পারে। পুষ্টির ঘাটতি থেকে দুর্বল রক্ত সঞ্চালন পর্যন্ত অনেক কিছুই নির্দেশ করতে পারে।
জেনে নিন জিব দেখে স্বাস্থ্যের অবস্থা বোঝার উপায়—
ফোলা
আপনি জানেন কি মানুষের জিব ফুলে যাওয়া আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে? এই সমস্যা জিবে পুষ্টি ও অক্সিজেনের অপর্যাপ্ত সরবরাহ নির্দেশ করে, যার ফলে এটি ফোলা দেখায়। বিটরুট-আমলকির রস পান করলে উপশম হয় জিভের ফোলা। বিটরুট এবং আমলকি একসঙ্গে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং আয়রনের মাত্রা পূরণ করার শরীরের ক্ষমতাকে উন্নত করে।
সাদা আবরণ
মানুষের জিবে হঠাৎ সাদা রঙের হয়ে গেলে, সেটি জিবের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। এই আকস্মিক পরিবর্তন খারাপ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি, ডিহাইড্রেশন এবং মুখের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণেও হতে পারে। তাই জিহ্বায় সাদা আবরণ পড়লে একদমই অবহেলা করবেন না। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত আদা চা পান করতে পারেন।
লাল বিন্দু
জিবের আরেকটি সাধারণ সমস্যা হলো লাল বিন্দু। সাধারণ হলেও এটিকে হালকাভাবে নেবেন না। কারণ, এটি শরীরে অতিরিক্ত তাপ নির্দেশ করতে পারে। এই বিন্দুগুলো খুব গরম খাবার ও পানীয় গ্রহণের ফলেও হতে পারে। এটি সমাধানের জন্য পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা জিব এবং পাচনতন্ত্র উভয় ক্ষেত্রেই তাপ কমাতে সহায়তা করবে।
নীল-বেগুনি রং
জিবে হঠাৎ নীল-বেগুনি রঙে পরিণত হলে এটি শরীরের রক্তের স্থবিরতা এবং দুর্বল সঞ্চালন নির্দেশ করতে পারে। এটি দুর্বল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি এবং ভিটামিন বি২ এর অভাবের কারণেও হতে পারে। এক্ষেত্রে জিরা, ধনিয়া এবং মৌরি দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন। এই চা রক্তনালীতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, রক্তের স্থবিরতা প্রতিরোধ করে এবং টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করে।
আরটিভি/এইচএসকে
আপনার জুতার যে সমস্যাগুলো অসুস্থতা বাড়ায়
সুন্দর জুতার পাশাপাশি সেটা যাতে আরামদায়ক হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কারণ পায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও এটা উপকারী। বাজারে এখন বিভিন্ন লুকের, বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা বেরিয়েছে। দাম আর ব্র্যান্ড দেখেই মানুষ জুতা কিনে থাকেন। কিন্তু এই জুতার কারণেও আপনার শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন? হিল, সমান্তরাল, হাঁটা কিংবা অফিসে যাওয়ার জুতা যদি প্রথমেই পরতে গিয়ে অস্বস্তি হয় তাহলে সেটা পরা আর কখনও ঠিক হয় না। কারণ জুতার কারণেই বাড়তে পারে আর্থ্রাইটিস, হাঁটুর সমস্যা, ফ্ল্যাটফিটের মত সমস্যাগুলো।
বিএইচইউর একটি সমীক্ষা অনুসারে নিজের আরাম অনুসারে ঠিকঠাক মাপের জুতা না কেনার জন্য অনেক তরুণ খেলোয়াড় অনেক আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী এমন ১০০০ থেকে ১৫০০ জন খেলোয়াড়কে এই প্রশ্ন করা হয়েছে সমীক্ষার মাধ্যমে। তাদের সকলেরই বক্তব্য জুতোর কারণেই তাদের অনেক সময় পায়ের সমস্যা দেখা দিয়েছে, ব্যথা, আর্থ্রাইটিসের মত সমস্যা এসেছে।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পা-বিষয়ক চিকিৎসক জোডি আর.শোয়েনহাস বলেন, সঠিক মাপের জুতা দেহের ভারসাম্যে সামঞ্জস্য আনার পাশাপাশি সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে।
জুতা পরার অস্বস্তি থেকে পায়ে অস্বস্তি, আঙ্গুলে ব্যথা, পেশিতে টান ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আর দীর্ঘদিন এভাবে চললে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই সবসময় আরামদায়ক জুতা পরার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
সঠিক জুতা নির্বাচনের জন্য কয়েকটি বিষয় জেনে নিন —
প্রতি বছর পায়ের মাপ নেওয়া: শুনতে অবাক লাগতে পারে, তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও পায়ের গঠন পরিবর্তন হয়- একই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন মার্কিন চরণ-চিকিৎসক এলিজাবেথ ডর্থি।
তিনি বলেন, বয়সের সাথে পায়ের পাতার সংযোগ স্থলে পরিবর্তন, কোলাজেন’য়ের স্থিতিস্থাপকতা কমা ইত্যাদি থেকে পায়ের আকার পরিবর্তিত হয়। এছাড়া ওজন বাড়া বা কমা, নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণ ও প্রসবের পর পায়ের রূপান্তর হতে পারে। তাই বছরে একবার অন্তত পায়ের মাপ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেন ডা. ডর্থি।
পায়ের পাতার প্রস্থ বিবেচনা করা: শুধু লম্বায় নয় আরামদায়ক জুতা বেছে নিতে পায়ের পাতার প্রস্থের দিকেও নজর দিতে হয়ে। ডা. শোয়েনহাস বলেন, বেশি চিকন জুতা ব্যবহার করলে পায়ে ব্যথা হবে। সেই সাথে পড়বে পেশিতে চাপ। আবার কারও পায়ের পাতা সরু হলে সে চওড়া জুতা পরলে হাঁটায় ভারসাম্য থাকবে না। পিছলে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
দিনের শেষে জুতা কেনা: বয়সের সাথে যেমন পায়ের আকার পরিবর্তিত হতে পারে তেমনি সকালের চেয়ে বিকাল বা সন্ধ্যায় পায়ের পাতায় ভিন্নতা আসে। তাই ডা. ডর্থি পরামর্শ দেন, সবসবময় দিনের শেষভাগে জুতা কেনার চেষ্টা করুন। কারণ সারাদিন পর পা একটু ফুলে থাকতে পারে। যে কারণে দিনের প্রথমভাগে কেনা জুতা দিন শেষে পরলে অনেক সময় আঁটসাঁট লাগে।
পায়ের পাতার মাঝের অংশের ভারসাম্য রক্ষা: পায়ের পাতার মাঝের অংশ বাঁকা থাকে। যে কারণে এই অংশে জুতার সঠিক ভার বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে। অনেকের পায়ের পাতার মাঝের অংশ বেশি বাঁকানো হয়। এক্ষেত্রে কিছুটা উঁচু হিল’য়ের জুতা পরা উপকারী- বলেন ডা.শোয়েনহাস। যে জুতা পায়ের পাতার বাঁকানো অংশে ভালো ভারসাম্য দেবে না, সেটা ভালো হবে না।
আঙ্গুলের সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকা: জুতার অগ্রভাগ পায়ের আঙ্গুল লেগে থাকলে স্নায়ুতে চাপ পড়ে। সেই সাথে কড়া পড়া, আঙ্গুলে ব্যথা হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। জুতার সামনের দিক চওড়া বা আঙ্গুল যাতে স্বচ্ছন্দে থাকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আর সামনের দিকে সরু জুতা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে পায়ের সবচেয়ে বড় আঙ্গুলের থেকে অন্তত আধা ইঞ্চি যেন বাড়তি জায়গা থাকে সেটা খেয়াল করতে হবে।
আলাদা কুশন: পায়ের পাতায় আরাম দেওয়ার জন্য অনেক জুতার ভেতর আলাদা কুশন দেওয়া থাকে। এই কুশনগুলো অতিরিক্ত চাপ গ্রহণ করে পায়ের ওপর চাপ কমায়।
উপলক্ষ্যের ভিন্নতায় জুতা নির্বাচন: উদ্দেশ্যে অনুযায়ী জুতা বাছাই করতে হবে।। ডা. শোয়েনহাস বলেন, যেমন- খেলতে বা হাঁটতে গেলে গোড়ালিতে ভালো ভারসাম্য দেয় এমন জুতা পরা উচিত। এক্ষেত্রে স্নিকার্স উপকারী। আবার ভারোত্তলন বা এই ধরনের ব্যায়ামের জন্য সমতল জুতা ভালো। হাঁটার জন্য হালকা পাদুকা বাছাই করতে হবে।
জোর না করা: ডা. শোয়েনহাস’য়ের ভাষায়, যে জুতা প্রথমেই পরতে জোর দিতে হয় সেটা কখনই আর ঠিক হয় না। একটা কথা প্রচলিত আছে, কয়েকদিন ব্যবহারের পর জুতা আকার একটু বড় হয়। কথাটা ঠিক। তবে যেটা পরতে জোর দিতে হয় সেটা ছাড়লেও আরামদায়ক হয় না।
কেনার সময় পরতে গিয়ে জুতা জোর করে পায়ে গলাতে হলে, সেটা কেনা বাদ দিতে হবে। তাই দোকানে গিয়ে অতি পছন্দ হওয়ার পর, পায়ে আরাম না দিলে সেই জুতা কেনা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
সঠিক মাপের জুতা বাছাই: একইভাবে বাচ্চাদের মাপের চাইতে বড় জুতা পরানোর অভ্যাস রয়েছে অনেক অভিভাবকের, যা মোটেও ভালো নয়। এতে শিশুদের পায়ের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আরামদায়ক জুতা না পরলে অনেকক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আরটিভি/এফআই
দুধে কাজু ভিজিয়ে খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা
আমন্ড কিংবা আখরোট খেলে যে শরীর-স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয় সেকথা অনেকেই জানেন। এই তালিকায় রয়েছে কাজুবাদামও। আমন্ড কিংবা আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খেলে উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। তবে কাজুবাদাম পানির পরিবর্তে, দুধে ভিজিয়ে খেতে পারলে উপকার পাবেন অনেক।
সারারাত দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন খেয়ে নিন। তবে দুই থেকে তিনটার বেশি কাজুবাদাম একদিনে খাবেন না। তার ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। নিয়মিত দুধে ভিজিয়ে রাখা কাজুবাদাম খেলে শরীর-স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কী কী উপকার পাবেন, জেনে নিন।
দুধের মধ্যে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেতে পারলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে
ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে কাজুবাদামের মধ্যে। এই সমস্ত উপকরণ হাড়ের গঠন মজবুত করবে এবং ক্ষয় রোধ করবে। এর পাশাপাশি দূর করবে গাঁটের ব্যথাও। অন্যদিকে দুধেও রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই দুধের মধ্যে কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে খেলে হাড়ের গঠন সুদৃঢ় হবে।
কাজুবাদাম এবং দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলেও পাবেন অনেক উপকার। এই মিশ্রণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং জিঙ্ক থাকে। তার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
দুধে কাজুবাদাম মিশিয়ে বা ভিজিয়ে খেতে পারলে খাবার হজম করার শক্তি আরও ভালো হবে। এর পাশাপাশি শরীরে অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ সহজে প্রবেশ করবে দুধে কাজুবাদাম ভিজিয়ে খেতে পারলে। রাতে শোবার আগে কাজুবাদাম খেলে ভালো ঘুম হবে আপনার।
নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন ভাবে ভালো থাকবে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য। প্রতিদিন কাজু খেলে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। দুই থেকে তিনটা। নাহলে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা। রাতে ঘুমের আগে কাজুবাদাম খেতে পারলে আপনার গাঢ় ঘুম হবে। আসলে কাজুতে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামের একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই ট্রিপটোফেন আমাদের শরীরে মেলাটোনিন এবং সেরাটোনিন সঠিক মাত্রায় ক্ষরণ হতে সাহায্য করে। মেলাটোনিন এবং সেরাটোনিন হলো দুইটি হরমোন যা আমাদের স্লিপ সাইকেল নিয়ন্ত্রণ করে। অতএব এই দুই হরমোনের সঠিক ক্ষরণের ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে আপনার। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ২ থেকে ৩টা কাজু খেতে পারেন আপনি। রাতে শোয়ার আগে কাজু খেলে আপনার মন-মেজাজ রিল্যাক্স থাকবে। অর্থাৎ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে কাজুবাদামে থাকা উপকরণ। আর স্ট্রেস কমে গেলে যে ভালো ঘুম হবে সেটাতো সকলেই জানেন।
আরটিভি/এফআই