আনারসের জ্যাম তৈরি করবেন যেভাবে
নাস্তায় আনারসে জ্যাম খেতে পারেন। এটা বেশ সুস্বাদু এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর। দেখুন আনারসের জ্যাম কীভাবে তৈরি করবেন-
উপকরণ
আনারস- ১টি, লেবু- অর্ধেকটা, চিনি- ১ কাপ, পানি- আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি
আনারসের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। মিক্সারে ভালো করে মিক্স করুন। একটি প্যানে রসসহ আনারসের মিশ্রণ দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ৫ মিনিট রাখুন চুলায়। চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে অর্ধেকটি লেবুর রস দিয়ে নেড়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করুন মজাদার আনারসের জ্যাম।
ডি/
মন্তব্য করুন
ডার্ক সার্কেল দূর করতে চোখের ওপর রাখুন টি ব্যাগ
মানসিক চিন্তা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের পাশাপাশি হরমোনার ইমব্যালেন্স ডার্ক সার্কেলের অন্যতম কারণ। ডার্ক সার্কেল অনেক সময়ই সৌন্দর্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঝটপট ডার্ক সার্কেল দূর করতে চাইলে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিতে পারেন। একমাত্র সঠিক জীবনযাপনই আপনাকে এনে দিতে পারে শিশুর মতো কোমল ও দাগমুক্ত ত্বক। তবে, আরও একটি উপায় রয়েছে, যা নিয়ম করে মেনে চললে আপনি ডার্ক সার্কেল ও ফোলাভাব থেকে মুক্ত পাবেন। তা হল টি ব্যাগ বা চা পাতা। চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দেন তা হলে দুর্দান্ত উপকার মিলবে।
• চা পাতার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে, যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। যার জেরে চোখের নীচের ফোলাভাব কমে যায়। পাশাপাশি এটি ত্বককে শান্ত করে এবং চোখের চারপাশের ত্বকের প্রদাহ কমায়। তবে, এমনই চা পাতা বেছে নিতে হবে যার মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে।
•টি-ব্যাগ ফ্রিজে ঘণ্টাখানেক রেখে ঠান্ডা করে চোখের ওপর লাগিয়ে রাখলে ক্লান্তি কাটিয়ে আসবে প্রশান্তি।
• ব্যবহারের পরের ঠান্ডা টি-ব্যাগকে সামান্য কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে গিয়ে ব্রণ থেকে মিলবে মুক্তি।
• ব্যবহারের পর ঠান্ডা টি-ব্যাগকে অল্প কুসুম গরম পানি দিয়ে ভিজিয়ে যে রঙিন পানি বের হবে, তাতে এক চা–চামচ সুজি, এক চা–চামচ যেকোনো ডালের বেসন আর আধা চা–চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে অনায়াসেই তৈরি করে ফেলা সম্ভব ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবার। এবার আলতো ঘষে মুখ ধুয়ে ফেললেই বাজিমাত।
• একইভাবে বের করে নেওয়া রাঙা পানি আইস বক্সে জমিয়ে রাখতে পারি। পরে প্রয়োজনমতো টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে যেকোনো দিন।
• কুসুম গরম পানিতে ধোয়া রঙিন পানিতে ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার আর কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। মিশ্রণটি প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে চোখের ওপর এক ফোঁটা করে আলতো মালিশ করে লাগিয়ে নিলে ক্লান্তি আর চোখের কোণের ও নিচের কালো দাগ দূর হবে।
• চা পাতার মধ্যে ট্যানিন রয়েছে, যা ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। যারা ড্রাই আইসে ভোগেন এবং চোখের চারপাশের চামড়ায় জ্বালাভাব, প্রদাহ কিংবা লালচে ভাব দেখা দেয়। তারাও চোখের ওপর ভেজানো টি ব্যাগ রাখতে পারেন। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাবে এবং শুষ্কভাব দূর করবে।
• চোখের চারপাশের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে ডার্ক সার্কেল বেড়ে যায়। চা পাতা এই কালচে দাগ দূর করতেও উপযোগী। চা পাতার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত চোখের উপর ব্যবহৃত চায়ের ব্যাগ রাখলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল হবে। এই টোটকায় আপনি চোখের চারপাশে বলিরেখাকেও প্রতিরোধ করতে পারবেন। এটি অ্যান্টি-এজিং হিসেবেও কাজ করে।
• যখনই চোখের ওপর ভেজানো বা ব্যবহৃত টি ব্যাগ রাখবেন, ত্বক অনেক বেশি শান্ত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, একটা কুলিং এফেক্ট অনুভব করবেন। তারপর যখন ওই টি ব্যাগ সরিয়ে ফেলবেন আগের থেকে অনেক বেশি সতেজতা অনুভব করবেন। সারাদিনের কাজকর্মের পর এই টোটকা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
আরটিভি/এফআই
পুষ্টিগুণে ভরপুর আতা ফলে রয়েছে দারুণ কিছু উপকারিতা
খেতে যেমন সুমিষ্ট এই দেশি ফলটি, তেমনি এতে ঠাসা আছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। কাস্টার্ড অ্যাপেল, চেরিমোয়া বা অন্য অনেক নামেই পরিচিত এই ফলটি। তবে বাংলায় একে বলে আতা ফল। সাধারণত যেসব ফলের নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত তার তুলনায় এর নাম একটু কম শোনা গেলেও পুষ্টিগুণ কিন্তু ভরপুর রয়েছে এই ফলের মধ্যে। আতা আদতে মধ্য-ক্রান্তীয় অঞ্চলের একটি ফল। মূলত শীতকালে এর ফলন হয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফল আতা খেলে পাওয়া যাবে অনেক উপকার।
কোন কোন পুষ্টি উপাদান রয়েছে আতা ফলে: প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন (সি, বি৬, এ), থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে আতায়।
আতা খেলে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক—
আতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপকরণ রয়েছে। এই ফলের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনল। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ার ফলে আতা খেলে আমাদের শরীরের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ হয় না। কিংবা এই জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পূরণ হয়ে যায়।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য যেকোনও সবুজ রঙে শাকসবজি এবং ফল কাজে লাগে। আতা ফল খেলেও দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, প্রখর হয়।
আতার মধ্যে থাকে ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেট লুটেইন। এই উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো করে। চোখের দৃষ্টি নষ্ট হতে দেয় না। চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সলিউয়েবল ফাইবার। এই উপকরণ অন্ত্রের সমস্যা দূর করে এবং হজমশক্তি ভালো করে।
হজমশক্তি ভালো হয় বলে আতা ফলের সাহায্যে প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে এই ফল।
একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে আতা ফলের মধ্যে। এই তালিকায় আছে ভিটামিন বি৬ এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। ব্লাড প্রেশারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এইসব উপকরণ। এছাড়াও হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
আতা ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামি এ, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি। এই সমস্ত ভিটামিন আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কারণ এগুলো ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
বিবাহিত দম্পতিদের ভালো রাখবে যে বিষয়গুলো
যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ধাপ যেখানে একে অপরের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ে সফল করতে এবং সারাজীবন এটিকে স্থায়ী করার জন্য, দম্পতিকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হয়। যেমন প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। এই সম্পর্ক কখনো প্রেম আবার কখনো দ্বন্দ্বে ভরা। তবে ফাটল খুব বেশি বেড়ে গেলে সম্পর্কে থাকা দুই জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় পারস্পরিক মতপার্থক্য দুই ব্যক্তির মধ্যে এত বড় ব্যবধান তৈরি করে যে তা থেকে সম্পর্ক ভেঙে যায়। ফলে দম্পতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বিবাদ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায়, কয়েকটি জিনিস বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।
সঙ্গীকে সময় দিন: প্রতিটি সম্পর্ককে মজবুত রাখতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে, একজন কর্মরত স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের জন্য সময় বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এটাই আপনার সম্পর্ককে ভালো রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব একটা ফাটল সৃষ্টি করে যা ভবিষ্যতে সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। অতএব, আপনার সঙ্গীর জন্য সময় বের করার চেষ্টা করুণ।
কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে যুদ্ধের চেয়ে সংঘাত সমাধানের জন্য আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে কিছু খারাপ মনে করেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যেকোন সম্পর্ককে দুর্বল করার জন্য ইগো বা যোগাযোগের অভাবই যথেষ্ট। আপনি বুঝতেও পারবেন না যে এই ছোট্ট ভুলটি আপনার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।
ভুল স্বীকার করা: সাধারণত এমন হয় যে আমরা জেনে বা না জেনে এমন ভুল করি যা অন্যের হৃদয়ে আঘাত করে, কিন্তু রাগের বশে আমরা আমাদের সেই ভুলটি দেখতে পারি না। এটা করা মোটেও ঠিক নয়। যখনই আপনার সাথে এমন কিছু ঘটবে বা আপনার সঙ্গী আপনার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন, তখন একটি ছোট সরি বলতে দেরি করবেন না। আপনার ছোট ক্ষমা আপনার মধ্যে দূরত্ব তৈরির ঝুঁকি হ্রাস করে।
মানসিক সামঞ্জস্য: প্রতিটি সম্পর্কতেই মানসিক সামঞ্জস্য অত্যাবশ্যক। জীবনে উত্থান পতনের প্রতিটি মুহূর্তেই একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন একটি কঠিন সময় পার করতে থাকেন, তবে অপরজনকে মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে থাকা উচিত।
আরটিভি/এফআই/এআর
পুনরায় ফুটিয়ে চা পান, হতে পারে একাধিক রোগ
এক কাপ গরম চা একটা খারাপ দিনকেও ভালো করে দিতে পারে। গরম এক কাপ চায়ের চেয়ে আরামদায়ক আর কী আছে, শুধু একটি চুমুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মুহূর্তেই সতেজ করে তোলে। আড্ডা জমে যায় ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। কারও কারও কাছে চা হলো মন খারাপের ওষুধের মতো। খেলেই মুখে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে। আবার কারও কাছে চা নেশার দ্রব্য। সারাদিনে ৫-৬ কাপ চা না হলে মন ভরে না। তারা দিনে একবারই চা বানিয়ে নেন। তারপর সেটা ভরে রাখেন ফ্লাস্কে। গরম থাকলে ভালো, না হলে বারবার ফুটিয়ে গরম করে পান করেন। চা পানের অভ্যাস যে খুব ভালো, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে, এভাবে বারবার চা গরম বা ফুটিয়ে পানের অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। এই বদভ্যাসের জেরে আপনি একাধিক রোগ ডেকে আনতে পারেন।
জেনে নিন চা পুনরায় গরম করলে তা কীভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে—
বেশি সময় ধরে চা গরম করা হলে চায়ে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন দু’টিই নষ্ট হয়ে যায়। চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায় এবং শরীরের পক্ষেও ভালো নয়। বারবার গরম করা চা পান করলে খাদ্যনালিতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
চায়ের পাতায় এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক থাকে, যা গরম করলে সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ব্যাক্টেরিয়া-যুক্ত চা পানে চোখের গ্লুকোমায়, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। এতে স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
চা পুনরায় গরম করলে অ্যাসিডিটি এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। বিশষেজ্ঞদের মতে, যখন আমরা চা পাতা বেশি সময় রান্না করি, তখন সেগুলো অম্লীয় প্রকৃতির হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন দুধের সাথে মেশানো হয়। এই অম্লীয় যৌগ পেটে অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং জ্বলন্ত সংবেদন হতে পারে। এটি সারাদিন প্রচুর অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এটি এড়াতে পুনরায় গরম করা এড়ানোর পাশাপাশি দুধ ছাড়া চা তৈরি করার চেষ্টা করুন।
আপনি কি জানেন চা পুনরায় গরম করলে তা পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। কারণ চায়ে ক্যাফেইন থাকে এবং যখন আপনি এটি অতিরিক্ত রান্না করেন, তখন ক্যাফেইনের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ক্যাফেইন ছাড়াও একটি হালকা মূত্রবর্ধক। সুতরাং এই চা পানে আপনাকে বারবার বাথরুমে ছুটে যেতে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হতে পারে। এছাড়াও, এটি আপনাকে ডিহাইড্রেটেড বোধ করাতে পারে।
চায়ের মধ্যে থাকে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যাথেচিন। দুধে থাকে কেসিন জাতীয় প্রোটিন। দুধ মিশিয়ে চা বারবার গরম করলে ক্যাথেচিন ও কেসিন মিশে গিয়ে চায়ের উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। ডায়ারিয়া, পেটের সমস্যাও হতে পারে।
আরটিভি/এফআই/এআর
হঠাৎ মৌমাছি কামড়ালে যা করবেন
মৌমাছির কামড় অত্যন্ত বিষাক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক। তাই মৌমাছি দেখা মাত্রেই আমরা সতর্ক হয়ে যাই। সে সময় এমন কোনও কাজ করি না, যে কারণে মৌমাছির হুলে নাজেহাল হতে হয় আমাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময় মাঠে-ঘাটে চলতে গিয়ে মৌমাছির হুল বিঁধেছে অনেকের গায়ে। যারা এদের হুলের খোঁচা খেয়েছেন, তারা ভালো ব্যথাও টের পেয়েছেন। কারণ এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হুল ফোটানো বিপজ্জনক না-হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে এগুলো থেকে অ্যালার্জি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু মৌমাছির বিষ বিপজ্জনক। বড়দের তুলনায় শিশুদের মৌমাছি কামড়ালে প্রতিক্রিয়া হয় বেশি। তবে হঠাৎ মৌমাছি কামড়ালে দিশাহারা হয়ে যাবেন না। তাৎক্ষনিক জ্বলুনি কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান। মৌমাছির হুল খুবই বিষাক্ত, তাই ব্যথা ও জ্বলুনি কমার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
জেনে নিন মৌমাছি কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কী করবেন-
মৌমাছির হুল ফুটিয়ে বসে থাকলে তা তুলে ফেলুন। এরা সাধারণত ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে ধরে থাকে। তাই সরানোর জন্য ধীরে ধীরে এদের ওপরে এবং পাশে আঙুল বোলান, তারপর আচমকা ঠেলে ফেলে দিন।
খামচে বা চিমটি কেটে মৌমাছিকে তোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এর ফলে বিষের থলি থেকে সমস্ত বিষ বেরিয়ে পড়বে এবং হুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। তাই খামচে তোলার পরিবর্তে ঠেলে ফেলে দিন।
মৌমাছির কামড়ে জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হলে আক্রান্ত স্থানে বরফ চেপে ধরুন। এতে রক্ত বন্ধ হবে ও ব্যথা কমবে।
কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারে যদি আপনার ত্বকে ফুসকুড়ি না ওঠে তবে আক্রান্ত স্থানে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন এটি।
মৌমাছির কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। আক্রান্ত স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। জ্বলুনি কমার পাশাপাশি মৌমাছির বিষও দূর করবে এটি।
মৌমাছি কামড়ালে তুলসি পাতার রস, ইউক্যালিপটাস তেল লাগালে স্বস্তি পাবেন। আবার অ্যালোভেরা জেলও শীতলতা প্রদান করতে পারে। অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্যথা, চুলকানি, ফোলা ও জ্বালা ভাব কম করে।
বেকিং সোডার পেস্ট ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যেখানে মৌমাছি কামড়েছে সেখানে লাগান। আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। মৌমাছির হুলের বিষ দূর করবে এটি। এই ভিনিগার বিষের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় ভিজিয়ে এই ভিনিগার ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।
বাগানে কাজ করছেন এমন সময় মৌমাছি আক্রমণ করেছে? সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা মাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন আক্রান্ত স্থানে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
তুলার বল মধুতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরুন। ধীরে ধীরে ব্যথা ও জ্বালা কমে যাবে।
মৌমাছি কামড়ালে কয়েকটি রসুন ছেঁচে আক্রান্ত স্থানে লাগান। একটি টাওয়েল পেঁচিয়ে নিন ওপরে। আধা ঘণ্টার মধ্যে কমে যাবে জ্বালা।
মৌমাছি কামড়ালে ওই জায়গায় মধু লাগান। মধু বিষকে তরল করে দেয়। মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি কম করে। সামান্য মধু লাগিয়ে তা শুকোতে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়েও লাগানো যেতে পারে।
চন্দন ও হলুদ গুড়োও মৌমাছির কামড়ের কার্যকরী উপায়। চন্দন জ্বালা ভাব শান্ত করে, আবার হলুদ চুলকানো ও ফোলা ভাব কমায়। চন্দন ও হলুদের পেস্ট প্রভাবিত স্থানে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। আবার প্রভাবিত স্থান চুলকাতে পারে, চাকা হয়ে ফুলে যেতেও পারে। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরটিভি/এফআই/এআর
মুচমুচে সুস্বাদু স্ন্যাকসের রকমারি রেসিপি
আবহাওয়া যেরকমই হোক না কেন বাঙালির বিকেলে চা এবং তার সাথে টা না হলে যেনো চলেই না। চায়ের সাথে পাকোড়া, সমুসা, আলুর শিঙাড়া কিংবা রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। দোকান থেকে কিনে খেতে না চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন এরকম মুখরোচক স্ন্যাকস।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিন্নস্বাদের রকমারি মুখরোচক স্ন্যাকসের সব রেসিপি।
চিকেন চিজ পাকোড়া
উপকরণ: চিকেন (বোনলেস, ২০০ গ্রাম), গোলমরিচগুঁড়ো (আধ-চা চামচ), নুন (স্বাদ মতো), শুকনা মরিচ গুঁড়ো ( ১ চা-চামচ), কাচামরিচ (২ টি), আদা রসুন বাটা (২ চামচ), হলুদ গুঁড়ো (১/৪ চা-চামচ), পিৎজা চিজ (গ্রেটেড, ৫০ গ্রাম), সাদা তেল (ভাজার জন্য)।
প্রণালী: একটা ব্লেন্ডারে চিকেন, লবণ, কাঁচামরিচ, শুকনা মরিচ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা ও গোলমরিচ দিন। ভালো করে ব্লেন্ড করুন যাতে মিহি হয়। আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। একটা বাটিতে বেসন, লবণ, পানি, বেকিং সোডা মেশান। ভালো করে ফেটিয়ে নিন যাতে দলা না থাকে। চিকেনের মিশ্রণ ফ্রিজ থেকে বের করে নিন। একটা বড়ো পাত্রে তেল ব্রাশ করে মিশ্রণটা ছড়িয়ে রাখুন। তার ওপর গ্রেটেড চিজ বিছিয়ে দিন। সেখান থেকে অল্প মণ্ড তুলে মুড়ে ছোট বল তৈরি করুন। প্যানে তেল গরম করুন। চিকেন বলগুলো বেসনের গোলায় ডুবিয়ে লালচে করে ভেজে তুলুন। চাটনির সাথে পরিবেশন করুন।
ছানার কাটলেট
উপকরণ: ছানা (২৫০ গ্রাম), ভেজানো ছোলার ডাল বাটা (ছোট ৪ চামচ), আদা বাটা (২ চামচ), জিরে বাটা (আন্দাজমতো) বা জিরে গুঁড়ো (২ চামচ), কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ, চিনি, ভাজা গরম মশলার গুঁড়ো (জায়ফল, জয়ত্রি, সা-জিরে, সা-মরিচ, এলাচ, দারচিনি, জিরে ইত্যাদি ভেজে গুঁড়ো করা), সাদা তেল (ভাজার জন্য), অ্যারারুট, বিস্কুটের গুঁড়ো।
সালাদের উপকরণ: টমেটো, শসা, গাজর।
প্রণালী: ছানাকে ভালোভাবে ম্যাশ (চটকে নিন মিহি করে) করে নিয়ে তাতে ছোট চায়ের চামচের ৪ চামচ ছোলার ডাল বাটা মিশিয়ে নিন। ২ চামচ আদা বাটা , জিরে গুঁড়ো, কাঁচামরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, (ধনেপাতা না থাকলে পার্সলে পাতা কুচি), স্বাদমতো লবণ, চিনি, কাজুবাদাম বাটা দিয়ে ছানাটাকে ভালো করে মেখে নিন। এবার সমস্ত ভাজা মশলার গুঁড়ো মিশিয়ে কাটলেটের আকারে গড়ে অ্যারারুটে ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে সাদা তেলে ভেজে নিন। এবার প্লেটে সালাদ দিয়ে সাজিয়ে কাটলেট পরিবেশন করুন।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভূতের সিনেমা!
সিনেমা দেখতে কে না ভালোবাসে। অনেকের কাছেই আবার ভূতের সিনেমা প্রিয়। অনেকে আবার সহ্য করতে পারেন না বলে দেখেন না। তারা মনে করেন, অতিরিক্ত ভয়ের সিনেমা মানসিক অত্যাচার। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, ভূতের সিনেমা আসলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
লকডাউনের উদ্বিগ্ন আর একাকী দিনগুলোতে মানুষের হরর বা ভৌতিক সিনেমা দেখার প্রবণতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত ২০১১ সালের প্যান্ডেমিক থ্রিলার ছবি ‘কনটাজিয়ন’ ছিল ২০২০ সালের সবচেয়ে বেশি দেখা মুভিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটা নিয়ে বেশ কিছু সংবাদও দেখা গেছে। মানুষ যখন ইতোমধ্যে এক ভীতিকর দুঃস্বপ্নের মধ্যে বাস করছে, তখন কেনই বা তারা আবার সেই ভয়ের বিষয়গুলোই ঘাটছে?
সম্প্রতি একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছে। তাদের মতে, টেনশন আর ভয় থেকে মুক্ত হতে হলে ভূতের সিনেমা দেখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি-
ভূতের সিনেমা দেখলে মানুষের মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা রিল লাইফের প্রেতাত্মার চিৎকারে আপনিও হয়তো বার বার সোফা কিংবা বিছানায় লাফিয়ে ওঠেন। এতে কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়।
গবেষকদের দাবি, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান। ভয়ের সিনেমা আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সিনেমার ভয়ে আপনি এতটাই মশগুল হয়ে যান যে তখন বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলি ছোট মনে হয়।
ধরুন ‘রাগিনী এমএমএস’ কিংবা ‘এভিল ডেড’ দেখতে বসেছেন। এই সময় আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। আপনার মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
গবেষণায় দেখা যায়, ভয়ের সিনেমা দেখার সময় নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই প্রচুর পরিমাণে অ্যাড্রিনালিন রাশ হয়। এর ফলে রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, স্বেচ্ছায় হরর বিনোদন বেছে নিলে ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে পালানোর প্রবণতা কমে। নিরাপদ পরিবেশে কৃত্রিম ভয় তৈরির মাধ্যমে হরর ফিকশন দর্শকদের আবেগ ও মানসিক স্থিতি নিয়ন্ত্রণ চর্চার সুযোগ করে দেয়। ফলস্বরূপ মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়তে দেখা যায়।
অন্যভাবে বললে, হরর ছবি ভয় তৈরি করে না, বরং ভয় প্রশমিত করে।
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ার শক্তি থাকে। তবে দৈনন্দিন জীবনে তা সূপ্ত অবস্থাতেই থেকে যায়। ভৌতিক সিনেমা এই প্রতিভাকে জাগ্রত করে।
ব্যক্তিগত জীবনে সুখ নেই, অফিসে শান্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ের সিনেমা দেখার চাইতে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ভয় এতটাই তীব্র অনুভূতি যে তা অন্যান্য ভালো-মন্দ গুলোকে জীবনে গৌণ করে দেয়।
আরটিভি/এফআই