লটকনের যত উপকারিতা
চলছে লটকনের মৌসুম। এ সময়টায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে লটকন পাওয়া যায়। এই ফলটি আকারে ছোট হলেও গুণাগুণ অনেক। দেখে নিন লটকন খেলে কী উপকার পাবেন-
- লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এই ফল খেলে শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণ হয়।
- লটকনে বিভিন্ন খনিজ উপাদান থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে।
- লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এই ফল বমি বমি ভাব দূর করে। পাশাপাশি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে ফলটি।
ডি/
মন্তব্য করুন
বিবাহিত দম্পতিদের ভালো রাখবে যে বিষয়গুলো
যে কোনো ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বিয়ে। বিয়ে এমন একটি ধাপ যেখানে একে অপরের ভালো সময় এবং খারাপ সময়ের মধ্যে ভালবাসার আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ে সফল করতে এবং সারাজীবন এটিকে স্থায়ী করার জন্য, দম্পতিকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হয়। যেমন প্রতিটি বিবাহিত দম্পতির মধ্যে মতবিরোধ থাকাটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। এই সম্পর্ক কখনো প্রেম আবার কখনো দ্বন্দ্বে ভরা। তবে ফাটল খুব বেশি বেড়ে গেলে সম্পর্কে থাকা দুই জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। অনেক সময় পারস্পরিক মতপার্থক্য দুই ব্যক্তির মধ্যে এত বড় ব্যবধান তৈরি করে যে তা থেকে সম্পর্ক ভেঙে যায়। ফলে দম্পতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বিবাদ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায়, কয়েকটি জিনিস বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত।
সঙ্গীকে সময় দিন: প্রতিটি সম্পর্ককে মজবুত রাখতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আজকের ব্যস্ত জীবনে, একজন কর্মরত স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের জন্য সময় বের করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এটাই আপনার সম্পর্ককে ভালো রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বামী-স্ত্রীর দূরত্ব একটা ফাটল সৃষ্টি করে যা ভবিষ্যতে সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। অতএব, আপনার সঙ্গীর জন্য সময় বের করার চেষ্টা করুণ।
কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে যুদ্ধের চেয়ে সংঘাত সমাধানের জন্য আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে কিছু খারাপ মনে করেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। যেকোন সম্পর্ককে দুর্বল করার জন্য ইগো বা যোগাযোগের অভাবই যথেষ্ট। আপনি বুঝতেও পারবেন না যে এই ছোট্ট ভুলটি আপনার সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।
ভুল স্বীকার করা: সাধারণত এমন হয় যে আমরা জেনে বা না জেনে এমন ভুল করি যা অন্যের হৃদয়ে আঘাত করে, কিন্তু রাগের বশে আমরা আমাদের সেই ভুলটি দেখতে পারি না। এটা করা মোটেও ঠিক নয়। যখনই আপনার সাথে এমন কিছু ঘটবে বা আপনার সঙ্গী আপনার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হবেন, তখন একটি ছোট সরি বলতে দেরি করবেন না। আপনার ছোট ক্ষমা আপনার মধ্যে দূরত্ব তৈরির ঝুঁকি হ্রাস করে।
মানসিক সামঞ্জস্য: প্রতিটি সম্পর্কতেই মানসিক সামঞ্জস্য অত্যাবশ্যক। জীবনে উত্থান পতনের প্রতিটি মুহূর্তেই একে অপরের পাশে থাকা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন একটি কঠিন সময় পার করতে থাকেন, তবে অপরজনকে মানসিক সমর্থন দিয়ে পাশে থাকা উচিত।
আরটিভি/এফআই/এআর
পুনরায় ফুটিয়ে চা পান, হতে পারে একাধিক রোগ
এক কাপ গরম চা একটা খারাপ দিনকেও ভালো করে দিতে পারে। গরম এক কাপ চায়ের চেয়ে আরামদায়ক আর কী আছে, শুধু একটি চুমুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মুহূর্তেই সতেজ করে তোলে। আড্ডা জমে যায় ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। কারও কারও কাছে চা হলো মন খারাপের ওষুধের মতো। খেলেই মুখে চওড়া হাসি ফুটে ওঠে। আবার কারও কাছে চা নেশার দ্রব্য। সারাদিনে ৫-৬ কাপ চা না হলে মন ভরে না। তারা দিনে একবারই চা বানিয়ে নেন। তারপর সেটা ভরে রাখেন ফ্লাস্কে। গরম থাকলে ভালো, না হলে বারবার ফুটিয়ে গরম করে পান করেন। চা পানের অভ্যাস যে খুব ভালো, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে, এভাবে বারবার চা গরম বা ফুটিয়ে পানের অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। এই বদভ্যাসের জেরে আপনি একাধিক রোগ ডেকে আনতে পারেন।
জেনে নিন চা পুনরায় গরম করলে তা কীভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে—
বেশি সময় ধরে চা গরম করা হলে চায়ে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন দু’টিই নষ্ট হয়ে যায়। চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায় এবং শরীরের পক্ষেও ভালো নয়। বারবার গরম করা চা পান করলে খাদ্যনালিতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
চায়ের পাতায় এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক থাকে, যা গরম করলে সংখ্যায় বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ব্যাক্টেরিয়া-যুক্ত চা পানে চোখের গ্লুকোমায়, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। এতে স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
চা পুনরায় গরম করলে অ্যাসিডিটি এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে। বিশষেজ্ঞদের মতে, যখন আমরা চা পাতা বেশি সময় রান্না করি, তখন সেগুলো অম্লীয় প্রকৃতির হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন দুধের সাথে মেশানো হয়। এই অম্লীয় যৌগ পেটে অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং জ্বলন্ত সংবেদন হতে পারে। এটি সারাদিন প্রচুর অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এটি এড়াতে পুনরায় গরম করা এড়ানোর পাশাপাশি দুধ ছাড়া চা তৈরি করার চেষ্টা করুন।
আপনি কি জানেন চা পুনরায় গরম করলে তা পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। কারণ চায়ে ক্যাফেইন থাকে এবং যখন আপনি এটি অতিরিক্ত রান্না করেন, তখন ক্যাফেইনের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ক্যাফেইন ছাড়াও একটি হালকা মূত্রবর্ধক। সুতরাং এই চা পানে আপনাকে বারবার বাথরুমে ছুটে যেতে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হতে পারে। এছাড়াও, এটি আপনাকে ডিহাইড্রেটেড বোধ করাতে পারে।
চায়ের মধ্যে থাকে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যাথেচিন। দুধে থাকে কেসিন জাতীয় প্রোটিন। দুধ মিশিয়ে চা বারবার গরম করলে ক্যাথেচিন ও কেসিন মিশে গিয়ে চায়ের উপকারিতা নষ্ট করে দেয়। হজমশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। ডায়ারিয়া, পেটের সমস্যাও হতে পারে।
আরটিভি/এফআই/এআর
হঠাৎ মৌমাছি কামড়ালে যা করবেন
মৌমাছির কামড় অত্যন্ত বিষাক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক। তাই মৌমাছি দেখা মাত্রেই আমরা সতর্ক হয়ে যাই। সে সময় এমন কোনও কাজ করি না, যে কারণে মৌমাছির হুলে নাজেহাল হতে হয় আমাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময় মাঠে-ঘাটে চলতে গিয়ে মৌমাছির হুল বিঁধেছে অনেকের গায়ে। যারা এদের হুলের খোঁচা খেয়েছেন, তারা ভালো ব্যথাও টের পেয়েছেন। কারণ এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হুল ফোটানো বিপজ্জনক না-হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে এগুলো থেকে অ্যালার্জি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু মৌমাছির বিষ বিপজ্জনক। বড়দের তুলনায় শিশুদের মৌমাছি কামড়ালে প্রতিক্রিয়া হয় বেশি। তবে হঠাৎ মৌমাছি কামড়ালে দিশাহারা হয়ে যাবেন না। তাৎক্ষনিক জ্বলুনি কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান। মৌমাছির হুল খুবই বিষাক্ত, তাই ব্যথা ও জ্বলুনি কমার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
জেনে নিন মৌমাছি কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কী করবেন-
মৌমাছির হুল ফুটিয়ে বসে থাকলে তা তুলে ফেলুন। এরা সাধারণত ত্বকের সঙ্গে একই সমতলে আঁকড়ে ধরে থাকে। তাই সরানোর জন্য ধীরে ধীরে এদের ওপরে এবং পাশে আঙুল বোলান, তারপর আচমকা ঠেলে ফেলে দিন।
খামচে বা চিমটি কেটে মৌমাছিকে তোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এর ফলে বিষের থলি থেকে সমস্ত বিষ বেরিয়ে পড়বে এবং হুলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। তাই খামচে তোলার পরিবর্তে ঠেলে ফেলে দিন।
মৌমাছির কামড়ে জ্বালার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হলে আক্রান্ত স্থানে বরফ চেপে ধরুন। এতে রক্ত বন্ধ হবে ও ব্যথা কমবে।
কিছুক্ষণ ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পর সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগান।
এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারে যদি আপনার ত্বকে ফুসকুড়ি না ওঠে তবে আক্রান্ত স্থানে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন এটি।
মৌমাছির কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। আক্রান্ত স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। জ্বলুনি কমার পাশাপাশি মৌমাছির বিষও দূর করবে এটি।
মৌমাছি কামড়ালে তুলসি পাতার রস, ইউক্যালিপটাস তেল লাগালে স্বস্তি পাবেন। আবার অ্যালোভেরা জেলও শীতলতা প্রদান করতে পারে। অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্যথা, চুলকানি, ফোলা ও জ্বালা ভাব কম করে।
বেকিং সোডার পেস্ট ও ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের যেখানে মৌমাছি কামড়েছে সেখানে লাগান। আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। মৌমাছির হুলের বিষ দূর করবে এটি। এই ভিনিগার বিষের অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় ভিজিয়ে এই ভিনিগার ক্ষত স্থানে লাগাতে পারেন।
বাগানে কাজ করছেন এমন সময় মৌমাছি আক্রমণ করেছে? সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা মাটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে নিন আক্রান্ত স্থানে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
তুলার বল মধুতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরুন। ধীরে ধীরে ব্যথা ও জ্বালা কমে যাবে।
মৌমাছি কামড়ালে কয়েকটি রসুন ছেঁচে আক্রান্ত স্থানে লাগান। একটি টাওয়েল পেঁচিয়ে নিন ওপরে। আধা ঘণ্টার মধ্যে কমে যাবে জ্বালা।
মৌমাছি কামড়ালে ওই জায়গায় মধু লাগান। মধু বিষকে তরল করে দেয়। মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান সংক্রমণের ঝুঁকি কম করে। সামান্য মধু লাগিয়ে তা শুকোতে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। হলুদ ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়েও লাগানো যেতে পারে।
চন্দন ও হলুদ গুড়োও মৌমাছির কামড়ের কার্যকরী উপায়। চন্দন জ্বালা ভাব শান্ত করে, আবার হলুদ চুলকানো ও ফোলা ভাব কমায়। চন্দন ও হলুদের পেস্ট প্রভাবিত স্থানে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
হুল ফোটানোর কারণে অনেকের মাথা ব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয়। আবার প্রভাবিত স্থান চুলকাতে পারে, চাকা হয়ে ফুলে যেতেও পারে। এমনকি শরীর ফুলে যাওয়া ও পেটে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরটিভি/এফআই/এআর
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভূতের সিনেমা!
সিনেমা দেখতে কে না ভালোবাসে। অনেকের কাছেই আবার ভূতের সিনেমা প্রিয়। অনেকে আবার সহ্য করতে পারেন না বলে দেখেন না। তারা মনে করেন, অতিরিক্ত ভয়ের সিনেমা মানসিক অত্যাচার। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, ভূতের সিনেমা আসলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
লকডাউনের উদ্বিগ্ন আর একাকী দিনগুলোতে মানুষের হরর বা ভৌতিক সিনেমা দেখার প্রবণতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত ২০১১ সালের প্যান্ডেমিক থ্রিলার ছবি ‘কনটাজিয়ন’ ছিল ২০২০ সালের সবচেয়ে বেশি দেখা মুভিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটা নিয়ে বেশ কিছু সংবাদও দেখা গেছে। মানুষ যখন ইতোমধ্যে এক ভীতিকর দুঃস্বপ্নের মধ্যে বাস করছে, তখন কেনই বা তারা আবার সেই ভয়ের বিষয়গুলোই ঘাটছে?
সম্প্রতি একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছে। তাদের মতে, টেনশন আর ভয় থেকে মুক্ত হতে হলে ভূতের সিনেমা দেখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি-
ভূতের সিনেমা দেখলে মানুষের মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা রিল লাইফের প্রেতাত্মার চিৎকারে আপনিও হয়তো বার বার সোফা কিংবা বিছানায় লাফিয়ে ওঠেন। এতে কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়।
গবেষকদের দাবি, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান। ভয়ের সিনেমা আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সিনেমার ভয়ে আপনি এতটাই মশগুল হয়ে যান যে তখন বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলি ছোট মনে হয়।
ধরুন ‘রাগিনী এমএমএস’ কিংবা ‘এভিল ডেড’ দেখতে বসেছেন। এই সময় আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। আপনার মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
গবেষণায় দেখা যায়, ভয়ের সিনেমা দেখার সময় নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই প্রচুর পরিমাণে অ্যাড্রিনালিন রাশ হয়। এর ফলে রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, স্বেচ্ছায় হরর বিনোদন বেছে নিলে ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে পালানোর প্রবণতা কমে। নিরাপদ পরিবেশে কৃত্রিম ভয় তৈরির মাধ্যমে হরর ফিকশন দর্শকদের আবেগ ও মানসিক স্থিতি নিয়ন্ত্রণ চর্চার সুযোগ করে দেয়। ফলস্বরূপ মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়তে দেখা যায়।
অন্যভাবে বললে, হরর ছবি ভয় তৈরি করে না, বরং ভয় প্রশমিত করে।
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ার শক্তি থাকে। তবে দৈনন্দিন জীবনে তা সূপ্ত অবস্থাতেই থেকে যায়। ভৌতিক সিনেমা এই প্রতিভাকে জাগ্রত করে।
ব্যক্তিগত জীবনে সুখ নেই, অফিসে শান্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ের সিনেমা দেখার চাইতে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ভয় এতটাই তীব্র অনুভূতি যে তা অন্যান্য ভালো-মন্দ গুলোকে জীবনে গৌণ করে দেয়।
আরটিভি/এফআই
শীতকালে বারান্দার বাগানে যে ফুল গাছগুলো লাগাতে পারেন
শহরজুড়ে এখন শীতের মৌসুম। শীতে ফোটে বাহারি সব ফুল। উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে যাওয়ার আগে বাড়ির বারান্দা রঙিন হওয়া চাই। বারান্দায় অনেকেই ফুলের বাগান তৈরি করেছেন। তবে শীতে সে বাগান রঙিন ফুলে ভরে উঠুক, সেটাই চাইছেন মনে মনে। তবে কোন ফুলগাছের চারা লাগাবেন বুঝতে পারছেন না? ঘরের বারান্দায়ই শীতকালীন ফুলের হাসি ছড়াতে রইল কয়েকটির হদিস।
অর্কিড: অর্কিড ফুলপ্রেমী মানুষের কাছে বিশেষ আকর্ষণের। এবং শীতকালে রংবেরঙের অর্কিড আপনার বাগানকে উজ্জ্বল করে রাখতে পারে। শুধু দরকার অল্প একটু দেখাশোনার। শীতের মাসগুলোতে বেশির ভাগ অর্কিডই তাদের বৃদ্ধিকে শ্লথ করে দেয়, এমনকি সুপ্ত অবস্থায়ও চলে যায়। তাই প্রতি সপ্তাহে পানি দেওয়ার পরিবর্তে শীতকালে প্রতি ১০ দিন অন্তর অর্কিডগুলোকে পানি দেওয়াই ভালো।
পিটুনিয়া: শীতের দেশের ফুল হলেও পিটুনিয়া এখন উপযুক্ত তদারকিতে এ দেশের আবহাওয়াতেও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। নানা রঙের এক ঝাঁক পেটুনিয়া শুধু যে আপনার বারান্দা বা ছাদের ধারকে আকর্ষণীয় করে তুলবে, তা ই নয়, মন ভালো রাখতেও এই ফুলের জুড়ি মেলা ভার।
গাঁদাফুল: এই গাঁদাফুল বাগানে রাখা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। তবে শহরে যারা ফুলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং ফুলগাছের যত্ন করতে পারেন, নিজের ছাদবাগানে বা বারান্দায় তারা লাগিয়ে ফেলতেই পারেন হলুদ, কমলা, সাদা বিভিন্ন রঙের গাঁদা ফুল।
আরও যত ফুল: চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেরা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস এমনকি গোলাপকেও শীতের ফুলের সঙ্গী করতে পারেন।
গ্রিলের জন্য: বারান্দা সাধারণত ছোটই হয়। তাই একটু বেশি ফুলের সান্নিধ্য পেতে চাইলে গ্রিলে বা ওয়ালে কিছু গাছ ঝুলিয়ে দিতে পারেন। পিটুনিয়া, ন্যাস্টারশিয়াস, অ্যাস্টার, ভারবেনা ফুল ঝোলানোর জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। বারান্দার গ্রিলে এ সময় কিছু গাছ লতিয়ে দিতে পারেন। এ জন্য নীলমণি লতা, মর্নিং গ্লোরি, রেল লতা, সুইট পি বেছে নিতে পারেন।
টবের জন্য: টবের জন্য বেশি সুবিধাজনক ফুলগাছের মধ্যে রয়েছে গাদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, কারনেশান, ক্যালেন্ডুলা, অ্যাস্টার ইত্যাদি। গাছ তো চেনা হলো, এবার ইচ্ছামতো এসব গাছ টব, গ্রিল বা ঝুলন্ত টবে লাগিয়ে বারান্দায় সাজিয়ে নিন। টবে গাছ লাগানোর সুবিধাও আছে। এতে ইচ্ছামতো অদলবদল ঘটিয়ে বাগানটা সাজিয়ে নেওয়া যায়। গাছের জন্য মাটির পাত্রের টব সবচেয়ে ভালো। কারণ এগুলো অতিরিক্ত পানি শোষণ করতে পারে, প্রয়োজনে সেই পানি শিকড়ের কাজে লাগে। তবে প্লাস্টিক, সিরামিক কিংবা অন্যান্য পাত্রও ব্যবহার করতে পারেন।
যত্ন নেবেন যেভাবে:
বারান্দায় রোদ কম পড়লে সপ্তাহে দুদিন গাছগুলোকে ছাদে বা বাইরে রোদে দিন। রোদ পেলে দ্রুত গাছে ফুল আসে। পুষ্টির জন্য সরিষার খৈল কয়েক দিন একটি পাত্রে ভিজিয়ে রেখে তা গুলে মাসে দুবার গাছের গোড়ায় দিন।
গাছের গোড়া ভেজা থাকলে পানি দেওয়ার দরকার নেই। দুই সপ্তাহ পর পর গাছের গোড়ার মাটি হালকা নিংড়িয়ে দিন। নিয়মিত গাছে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি স্প্রে করুন। এতে গাছে পিঁপড়া, মিলিবাগ ও অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে।
আরটিভি/এফআই
উৎসবে সহজে ঘর সাজানোর টিপস
উৎসব মানেই বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা। এ সময় বন্ধু-বান্ধব থেকে আত্মীয়দের ঠিকমতো আপ্যায়ন করতে প্রয়োজন হয় অনেকখানি জায়গার। আর একদিন পরেই কালীপূজা। উৎসবের সময় শেষ মুহূর্তে তাই কম খরচে অন্দরমহলকে অন্য রকমভাবে সাজিয়ে তুলতে রইল কিছু নজরকাড়া টিপস।
ঘর রং: এখন বাজারে বা অনলাইনে রংবাহারি জিনিসপত্র রয়রছে। যা দিয়ে খুব সহজে আপনি নিজের ঘর নিজেই রং করে ফেলতে পারবেন। যে কোনও হাল্কা শেড যেমন প্যাস্টেল হলুদ বা গোলাপি রঙ করে নিতে পারেন ঘরে। এতে ঘর উজ্জ্বল, বড় ও খোলামেলা দেখাবে, পাল্টে যাবে তার আমেজও।
লাইটস: উৎসব মানেই কিন্তু আলোর রোশনাই। কালীপূজা বলে কথা, লাইটস ছাড়া তো কোনও কথাই হবে না। এখন বাজার-হাটে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের লাইটস পাওয়া যায়। বেডরুমে বিভিন্ন ধরণের টুনি বা ল্যাম্পশেড রাখতেই পারেন। এছাড়াও ব্যালকনিতে নানা রকমের লাইটস দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস: অপ্রয়োজনীয় ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, আসবাব ইত্যাদি ঘরে থাকলে অযথা জায়গার অপচয় হয়। পূজার আগে বসার ঘরে জায়গা বাড়াতে সরিয়ে ফেলতে পারেন ভারী কাঠের আসবাব কিম্বা জমকালো কাজের একাধিক ঘর সাজানোর জিনিস। পরিবর্তে ব্যবহার করে দেখতে পারেন হাল্কা রঙের চাদর, কুশন কভার। টানা বড় দেওয়ালে টাঙাতে পারেন একটি মাত্র বড় পেন্টিং কিংবা হাতের করা কোনও ওয়াল হ্যাঙ্গিং।
আরটিভি/এফআই
আজ ‘ভূত দিবস’
হ্যালোইন ডে’র কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। আজ সেই দিন। অল সোলস ডে। ভূতেদের দিন। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বর্তমানে পালিত হয় দিবসটি। তবে পশ্চিমা বিশ্বে জাঁকজমকতার সঙ্গে পালন করা হয় হ্যালোইন। অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই আসলে কী এই হ্যালোইন!
জানলে অবাক হবেন, এই ভুতুড়ে উৎসবের ইতিহাস ২০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। অনেকেই ভাবেন, এ দিনটি হয়তো ভূতের মতো সাজতেই পালন করা হয়। আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণে পালন করা হয় দিনটি। হ্যালোইন ডে’র ইতিহাস জানলে আপনি চমকে উঠবেন!
হ্যালোইন শব্দের উৎপত্তি ১৭৪৫ সালের দিকে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে এর উৎপত্তি। হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’ শব্দটি এসেছে স্কটিশ ভাষার শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে। হ্যালোইন শব্দের অর্থ ‘শোধিত সন্ধ্যা বা পবিত্র সন্ধ্যা’।
সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে ‘হ্যালোজ’ ও ‘ইভ’ শব্দটি এক সময় ‘হ্যালোইন’এ রূপান্তরিত হয়। হ্যালোইন উৎসবের মূল থিম হলো, ‘হাস্যরস ও উপহাসের মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতার মুখমুখি হওয়া’।
প্রায় ২০০০ বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করতো কেল্টিক জাতি। নভেম্বরের প্রথম দিনটি তারা নববর্ষ বা ‘সাহ-উইন’ হিসেবে পালন করতো। গ্রীষ্মের শেষ ও অন্ধকার বা শীতের শুরু বলে মনে করতো তারা।
অবাক করা বিষয় হলো, কেল্টিক জাতির ধারণা ছিলো অক্টোবরের শেষ দিনের রাত সবচেয়ে খারাপ। যে রাতে সব প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মারা মানুষের ক্ষতি করতে পারে। আর তাই কেল্টিক জাতির সদস্যরা এই রাতে বিভিন্ন ধরনের ভূতের মুখোশ ও কাপড় পরতো।
তারা নির্ঘুম রাত কাটাতে আগুন জ্বালিয়ে মুখোশ পরে বৃত্তাকারে একসঙ্গে ঘুরতেন ও মন্ত্র যপতেন। আর সময়ের পরিক্রমায় কেল্টিক জাতির ‘সাহ-উইন’ উৎসবই বর্তমানে ‘হ্যালোইন’ উৎসব হিসেবে পালিত হচ্ছে। হ্যালোইনের রাত নিয়ে অনেক ধরনের মিথ আছে।
তেমনই এক প্রচলিত মিথ হলো, এই রাতে দেবতা সামান সব মৃত আত্মাদের পৃথিবীতে আহ্বান জানান। উড়ন্ত ঝাড়ুতে করে হ্যালোইন ডাইনি উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে। কখনো বা তিনি কড়া নাড়েন বিভিন্ন বাড়ির দরজায়।
কবে থেকে শুরু হয়েছে হ্যালোইন?
জানা যায়, মধ্যযুগ থেকেই হ্যালোইন উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ডের উচ্চ ভূমি ও ফ্রান্সের উওর অংশ জুড়ে তখন কেল্টিক সভ্যতার বিস্তার ছিলো। প্রাচীন কেল্টদের পালিত ‘সাহ উইন’ উৎসব থেকেই মূলত হ্যালোইনের সূত্রপাত।
১৮০০ দশকের শেষের দিকে আমেরিকায় হ্যালোইন ছুটির দিনে পরিণত হয়। শতাব্দীর শুরুতেই শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সবাই ঘটা করে হ্যালোইন উদযাপন শুরু করে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, মৌসুমী খাবার ও উৎসবমুখর পোশাক পরা হতো।
কেল্টদের বছর শুরু হতো নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে। গ্রীষ্ম ও ফসলী মাসের শেষ ও শীতের শুরু। কেল্টদের বিশ্বাস ছিলো, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগের রাতে জীবিত ও মৃতের দুনিয়ার মধ্যকার ফারাক কেটে যায়। সেসময় মৃত আত্মা ও ভূত-প্রেত পৃথিবীতে আসে। তাই ৩১ রাতে অক্টোবর মৃত স্বজনদের অাত্মার সঙ্গে মিলনের কামনায় তারা সামহাইন উৎসব পালন করতো।
পরবর্তীতে এ ভূত উৎসবে খ্রিস্টান ধর্মেরও প্রভাব পড়ে। বিশ্বব্যাপী ১ নভেম্বরকে ‘অল সেইন্টস ডে’ ঘোষণা করা হয় ও এর আগের সন্ধ্যা মানে ৩১ অক্টোবরকে ‘অল-হ্যালোস-ইভ’ বা হ্যালোইন হিসেবে পালিত হয়।
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে আমেরিকায় জাতীয়ভাবে হ্যালোইন ডে পালিত হতে থাকে। ১৯২০ থেকে ১৯৫০ সালের ভেতর পুরো আমেরিকায় হ্যালোইন ডে’র আনুষ্ঠানিকতা বাড়তে থাকে। পরে দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিন সবাই ভূতের সাজে নিজেকে সাজায়। অনেকের মতে, এসময় সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায় বিদেহী আত্মারাও।
এ দিনটিকে ঘিরে পুরো অক্টোবর মাসব্যাপী চলে আয়োজনের ঘনঘটা। কুমড়োর লণ্ঠন তৈরি, বাড়িঘর-রাজপথ সাজানো ও চকলেট-পেস্ট্রি তৈরিতে ব্যস্ত থাকে আয়োজকরা। বর্তমানে আমেরিকায় হ্যালোইন ডে’র বাণিজ্যিক গুরুত্বও রয়েছে। দেশটি প্রতিবছর হ্যালোইন ডে উৎসবে খরচ করে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরটিভি/এফআই