বীজসহ পেয়ারা কেন খাবেন?
সুপার ফুড হিসেবে বরাবরই পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিকর ফল হিসেবে কাঁচা ও পাকা পেয়ারা খাওয়ার গুণ অনেক, এই ফলে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বেশি বলে তা চর্বি ঝড়াতে সাহায্য করে। সবুজ বা হলুদ রঙের ফলটিকে ঘিরে ছোট এবং ছোট নরম বীজের যে স্তর থাকে তাও কিন্তু সমান উপকারে আসে।
অনেকেই অবশ্য বীজ পছন্দ করেন না এবং সাধারণত মসৃণ শাঁস টুকু খেয়ে বীজ ফেলে দেন। কিন্তু, জানেন কী যে বীজ ফেলে দিচ্ছেন সেগুলোই পুষ্টির আকর! খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেন, পেয়ারা বীজসহই খাওয়া উচিৎ।
পেয়ারা বীজ খাওয়া উচিত কেন?
রক্তচাপ কমায়
উচ্চ রক্তচাপের সাথে মোকাবিলা করা জন্য ডাক্তাররা অবশ্যই এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। পেয়ারার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম (কলার থেকে ৬০% বেশি) থাকে যা শরীরে রক্তের প্রবাহ এবং চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ওজন কমায়
পেয়ারাতে ফাইবার বেশি এবং কোলেস্টেরল শূন্য। ফলের বীজের সেরা গুণ হল তা শরীরের কার্বোহাইড্রেটগুলো হ্রাস করে যা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ঘটায়। ভিটামিন এবং খনিজের সঠিক মিশ্রণ দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি
পেয়ারার বীজে ফাইবার বেশি থাকায় তা হজমের সহায়ক হয় ও পেট পরিষ্কার করে। বীজগুলো যদি সরাসরি গিলে খাওয়া যায় তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে
পেয়ারার বীজে থাকে প্রোটিন প্রচুর। এই বীজ চিনি এবং চিনি যৌগের একটি প্রধান অংশ ভাঙতে, মিষ্টি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ বীজ শরীরের ইনসুলিন মাত্রা কমে যেতে বাধা দেয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে পেয়ারা এবং এর বীজ একটি চমৎকার খাদ্য বিকল্প।
কিভাবে পেয়ারার বীজ খাবেন?
ফলের বীজ চূর্ণ করতে পারেন এবং পেয়ারার রস বা স্মুদিতে মেশাতে পারেন। পেয়ারার বীজ খাওয়ার আরেকটি আকর্ষণীয় উপায় হল আইসক্রিম বা ফলের সালাদে মিশিয়ে খেতে পারেন।
পেয়ারাতে প্রচুর ভিটামিন 'সি' ও 'এ' রয়েছে। ফলটি ঠাণ্ডা কাশির পথ্য। তাছাড়া শ্বাসতন্ত্র, গলা ও ফুসফুসকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা করে। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে তাই হৃদরোগীদের জন্য ভালো। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে পেয়ারা।
আরো পড়ুন
এস/ এমকে
মন্তব্য করুন