ঘুম ভালো যার দিন ভালো তার
মানুষ আর মেশিনের মধ্যে পার্থক্য আছে কী নেই তা সবারই জানা। চাইলেই মানুষের যন্ত্রের মতো হওয়া সম্ভব না। তাই সারাদিন-সারাবেলা যত কাজই করি না কেন দিনশেষে একটু শান্তির ঘুম আমাদের যে কতটা প্রশান্তি দিতে পারে তা বলে শেষ করা যাবে না।
যদি ঘুম ভালো হয়, দিনটাও ভালো যায়। একটু ভালো ঘুম পুরো দিনটাকেই রঙিন করে দিতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে ভালো রাখে, মনকে রাখে প্রফুল্ল। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মস্তিষ্ককে আরও কার্যকরী রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
অসুস্থ হলে চিকিৎসকরা সবসময়ই পরামর্শ দেন নিয়মমতো ঘুম, বিশ্রাম, পরিশ্রম, ব্যায়াম করতে। কথা হয়েছিল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আক্তার রানা চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মেডিটেশন করলে ভালো ঘুম হয়। প্রতিদিনের জীবনযাপনে নিয়মনীতি আনতে হবে। পরিশ্রম যেমন করতে হবে তেমনি সঙ্গে বিশ্রামও নিতে হবে।
একটু শান্তির ঘুম দেবে প্রশান্তি
সারাদিনের ঝক্কি ঝামেলার পর রাতে শান্তির ঘুম দিতে পারে আরামদায়ক অনুভূতি। ঠিকমতো ঘুম হলে শরীরের যে ক্লান্ত ভাব থাকে তা দূর হয়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন সতেজ আর প্রাণবন্ত। মন থাকবে চাঙ্গা আর যেকোনও কাজে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবেন। উৎফুল্ল থাকবেন সবসময়। তখন পারফরমেন্সও ভালো হবে।
ঘুম ভালো তো শরীর ভালো
বাঁচার জন্যে খাওয়া নাকি খাওয়ার জন্যে বাঁচা, এ নিয়ে তর্ক থাকতে পারে কিন্তু খাবার ছাড়া থাকবো এ কথা চিন্তাও করতে পারি না। সাধারণত খাবার পর শরীরে একটু চাঙ্গাভাব হয়। কেননা খাবারের যে পুষ্টিগুণ থাকে তা শরীরের বিভিন্ন টিস্যু ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ভালো এবং কার্যক্ষম রাখে। তবে এই কার্যকারিতা বেশি থাকে যখন শরীরটা একটু বিশ্রাম পায়। আর ঘুমই হচ্ছে শরীরকে বিশ্রাম দেবার সবচেয়ে ভালো পন্থা।
মাথা থাকুক ঠাণ্ডা
পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে মাথা ঠাণ্ডা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, সারাদিনের বিভিন্ন এলোমেলো ঘটনাগুলোকে মস্তিষ্ক ঘুমানোর সময় সুন্দর সাজানো স্মৃতিতে পরিণত হয় ঘুমের সময়। এছাড়া পুরো দিনজুড়েই যখন সবাই কাজে ডুবে থাকি, অনেক তথ্য মনে রাখতে চাই, নতুন অনেক কিছু শিখি, পরে দেখা যায় তা ভুলে যাই। কিন্তু ঘুম ঠিকমতো হলে সেই স্মৃতিগুলো ‘সেভ’করে রাখতে সুবিধা হয়।
ঘুমটাই হোক রোগ প্রতিরোধক
শুধু ভালো ঘুম দিয়ে সব অসুখ-অসুস্থতাকে ছুটি দিতে পারলে বেশ হতো না? অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে যেমন অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে, তেমনি নিয়মিত আরামের ঘুম বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে দিতে পারে। স্লিপ এপ্নিয়া, হতাশা, হৃৎপিণ্ডের ঝুঁকি, স্ট্রেস ইত্যাদি দূরে রাখতে ঘুম খুব দারুণ কাজ করে। এছাড়া সারাদিন হাঁটাহাঁটি, ছুটোছুটির ফলে পায়ের ওপর অনেক চাপ যায়। একটু আরামের ঘুম পাকে দিতে পারে আরও ছুটোছুটির শক্তি।
এস/সি
মন্তব্য করুন