যেভাবে তৈরি হয় বিশ্বের প্রথম হ্যান্ড স্যানিটাইজার
করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরেছেন দোকানে একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আশায়। তবুও দেখা মেলেনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার! যদিও বা মিলেছে, তার দাম আকাশ ছোঁয়া। অথচ এমন এক জটিল পরিস্থিতিতে ঘরে স্যানিটাইজার রাখা খুবই প্রয়োজন। চেষ্টা করলেই বাসায় বসে তৈরি করা যায় মূল্যবান এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
এখন অবশ্য বাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানোর উপায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে অনেকেই জেনেছেন। কিন্তু আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। ঘটনাচক্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছিলেন লুপি হার্নান্দেজ নামের এক মার্কিন তরুণী।
আজ থেকে প্রায় বছর পঞ্চাশ আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন লুপি প্রত্যক্ষ করেন, অ্যালকোহল বা স্পিরিটের সঙ্গে জেল অথবা গ্লিসারিন ব্যবহার করলে যে তরলের সৃষ্টি হয় তা দিয়ে অতি সহজে জীবাণু নাশ করা যায়। পাশাপাশি তা সাবানের মতই কাজ করে। মেডিকেলের ভাষায় নাম দেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এখান থেকেই পথ চলা শুরু বর্তমানের মূল্যবান এই তরলটির।
স্যানিটাইজার তৈরির যাত্রাপথ এতটাও মসৃণ ছিল না। লুপির এই আদর্শ ফর্মুলা ব্যবহারের গণ্ডি ছিল সীমিত। ১৯৬৬ সালে আবিষ্কারের পর থেকে শুধুমাত্র হাসপাতালেই ব্যবহার করা হতো লুপি হার্নান্দেজের ফর্মুলায় তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সাধারণ মানুষ এই সম্পর্কে খুব বেশি জানতেন না। এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন লুপি হার্নান্ডেজ।
এই ফর্মুলাকে কাজে লাগায় আমেরিকার ওষুধ কোম্পানিগুলো বাজারে নিয়ে আসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বর্তমানে এর চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। ভাবতেও অবাক লাগে সাধারণ এক নার্সের অসাধারণ এই আবিষ্কার আজ সারা বিশ্ব জুড়ে রুখছে করোনা নামক মারণ সংক্রমণ।
জিএ
মন্তব্য করুন