একঘেয়েমি কাটাতে আচার খান
করোনাভাইরাসের এই সময় মানুষ লকডাউনে আছেন। বাসায় বসে বসে জীবনে একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই প্রয়োজন জীবনের গতি পাল্টানো। খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। এই সময় আচার কাটাবে কিছুটা একঘেয়েমি।
পুষ্টিবিদরা বলেন, বাড়িতে বানানো আচার ডায়েটে থাকা খুব দরকার। প্রতিদিনের জীবনে ফাস্টফুডের ওপর এতই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি, যে দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করছিনা।
আচার শুধু যে পেট ভরায় তা নয়, আচারে কিন্তু একসঙ্গে সবরকম পুষ্টি মিলবে। টক ঝাল মিষ্টি আচারের স্বাদে জিভে পানি আনে, আচার স্বাস্থ্যকরও বটে। আগেকার দিনে নানী-দাদীরা ঘরে যে আচার বানাতেন, তাতে লবণ, চিনি, মশলা সব পরিমাণ মতো থাকত। তারপর সূর্যের আলোয় শুকোনো হতো। ফলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকত আচার। এই আচারে একসঙ্গে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে। এসব আচার খাওয়ার জন্য বাড়ির পিচ্চিদের মধ্যে কাড়াকাড়ি লেগে যেত। এখন অবশ্য সেই ধরণের ঐতিহ্য কমে গেছে। অনেক কোম্পানি আচার তৈরি করছে। সহজে কিনে খেতে পারবেন আচার।
কেন আচার খাবেন?
- স্বাদে বদল আনতে এর তুলনা নেই
- হজমশক্তি বাড়াবে
- শরীর চাঙ্গা করে, একঘেয়েমি দূর করে
- প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে
- দেহের পক্ষে ভালো, এমন ব্যাকটেরিয়া থাকে
- আচার বানানোর সময় কী কী খেয়াল রাখতে হবে?
- আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়েবেটিস থাকে, আচারে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া আপনার জন্য ভালো। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার। আচার কিন্তু আচারের পরিমাণের মতোই খাবেন, ভাতের পাতে, অল্প করে।
জিএ
মন্তব্য করুন