এই সময় কেন খাবেন আলুর রস?
প্রায় সব তরকারির সঙ্গে আলু রান্না করা যায়। এজন্য বেশি মিশুক বন্ধুদের অনেকেই বলেন, তুই তো আলু। আসলেই আলু সবার সঙ্গে মিশে থাকে। আর আলু খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছেন।
আলু রান্না করে খাওয়া ছাড়াও কাঁচা আলুর রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আলুর রস ফাইটোকেমিক্যালস, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, বি ভিটামিনের খুব ভালো উৎস। আলু অন্যান্য ফল এবং উদ্ভিজ্জ রসের মতো খেতে সুস্বাদু না। তবে অন্যান্য অনেক ফল বা উদ্ভিজ্জের থেকে বেশি উপকারী।
আলুর রসের যা যা উপকারিতা আছে
- আলুর রসে থাকা ক্ষার পাচনতন্ত্রকে উন্নত করতে সহায় করে। আলুর রস অ্যাসিড রিফ্লেক্স হ্রাস করতে পারে, গ্যাস্ট্রাইটিস থেকে মুক্তি দেয় এবং পেটের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
- পেটের আলসারের চিকিৎসায় আলুর রস খেতে পারেন। এজন্য খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে আধা কাপ আলুর রস প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খান।
- আলুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা সংক্রমণ এবং সাধারণ সর্দি-কাশি বা ফ্লুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত আলুর রস খেতে পারেন।
- লিভারের কার্যকারিতা উন্নতি করতে আলুর রস খুবই ভালো। আলুর রস শরীরে একটি ডিটক্সাইফাইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।
- বাতজনিত রোগের চিকিৎসায় আলুর রস দুর্দান্ত প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা হাত এবং পায়ের জয়েন্টের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমাতে আলুর রস খুবই কার্যকরী। এজন্য খাওয়ার আগে এক থেকে দুই চামচ কাঁচা আলুর রস খেতে পারেন।
- আলুর রস শরীরের শক্তি স্তর বৃদ্ধি করে। এতে প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা শরীরে শক্তি উৎপাদন করে। এছাড়াও আলুর রসে বি ভিটামিনের উপস্থিতি শরীরের শর্করাগুলোকে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করে। যা আপনার দেহের শক্তির মাত্রা বাড়ায়।
- কিডনির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে পারে আলুর রসে থাকা পটাসিয়াম। এটি হলো একটি ইলেক্ট্রোলাইট। যা দেহের তরলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে পেশীর কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
- কাঁচা আলুর রস ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা দ্রুত খাবার হজম করতে সহায়তা করে। খাওয়ার পরে আলুর রস খেলে খিদে কম পাবে। যা আপনাকে অত্যধিক খাওয়া থেকে বিরত রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
জিএ
মন্তব্য করুন
স্ট্রেস কমানোসহ গরম পানির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা
সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে গরম পানি পান করেন অনেকেই। ঋতু পরিবর্তনের সময় এই অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী হয়ে ওঠে। অনেকেই আবার সকালবেলায় খালি পেটেও গরম পানি পান করেন। এছাড়াও নিয়মিত গরম পানি পানের অভ্যাস থাকলে একাধিক উপকার পেতে পারেন আপনি। তবে একটা বিষয় অতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। খুব বেশি গরম পানি এবং অনেকটা পরিমাণে গরম পানি পান করা কখনই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো অভ্যাস নয়। তাই একটু সতর্ক থাকা জরুরি।
গরম পানি পানে কী কী উপকার মিলবে তা জেনে নিন:
আমাদের শরীরের জন্য গরম পানি পানের অভ্যাস খুবই উপকারী একটি জিনিস। অনেক সময় স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। তবে কখনই খুব বেশি গরম পানি পান করবেন না। হালকা গরম পানি পান করতে হবে।
বডি ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে গরম পানি। অর্থাৎ শরীরের মধ্যে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় গরম পানি পানে। তাই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি পান করতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য আমরা অনেক ধরনের পানীয়ই পান করি। এর মধ্যে অন্যতম হলো গরম পানি। তবে হালকা গরম পানি পান করতে হবে। এর সঙ্গে যদি পাতিলেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন দ্রুত। সকালবেলায় খালি পেটে এই পানীয় পান করুণ নিয়মিত। ওজন কমবে দ্রুত। তার পাশাপাশি দূর হবে অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের সমস্যাও।
গরম পানি পান করলে আপনার যাবতীয় বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাস কিংবা পেট ফেঁপে যাওয়ার মতো সমস্যা দূর হবে। অনেক সময় খুব ভারী খাবার খাওয়া হয়ে গেলে আইঢাই লাগে আমাদের। সেই সময় হালকা গরম পানি পান করলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
অনেকের সারাবছরই ঠান্ডা লাগার, সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা যায়। গলা ভেঙে থাকে। বুকে জমে থাকে কফ। এই জাতীয় সমস্যা এড়াতে চাইলে ভরসা রাখুন গরম পানিতে। হালকা গরম পানি পানে উপকার পাবেন নিঃসন্দেহে।
আরটিভি/ এফআই
স্বাদে তেতো হলেও গুণে অদ্বিতীয় যেসব খাবার
বাঙালির কাছে তেতো বলতে মূলত উচ্ছে, করলা, পাটশাক, নিমপাতা, সজনে ডাঁটা বা ফুল। এ ছাড়াও আছে মেথি, কালমেঘ বা থানকুনি। আছে ব্রাহ্মি আর হেলেংচাও। আর এদের নাম শুনলেই অনেকের চোখে, ঠোঁটে বিরক্তি আসে। মাছ-মাংস, মিষ্টি ছেড়ে কে-ই বা তেতো খেতে চায়। কিন্তু তেতোর অনেক গুণ। তা জানলে মন বদলাবে অনেকেরই।
প্রতিদিনের খাবারে না হলেও অন্তত সপ্তাহে চারদিন তেতো খাওয়া দরকার বলেই জানান চিকিৎসকেরা। তেতো খাবারের আরও কিছু গুণগুণ জানলে অবাক হবেন আপনিও।
জেনে নিন তেতো খাবারে কী কী উপকারিতা রয়েছে—
মেথি: রান্নায় নিয়মিত মেথি ব্যবহার করুন। মেথি ফোঁড়ন দিয়ে আলুর চচ্চড়ি যদি কোনও খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝবেন মেথির স্বাদ সামান্য তিতকুটে হলেও আলুর চচ্চড়ির স্বাদ বিশ্বের সেরা। পাঁচ ফোঁড়নেও মেথি থাকে। সুতরাং তা থেকেও খাওয়া যায়। আবার রাতে মেথি ভিজিয়ে সকালে সেই জল খেলে শরীর ভালো থাকে। মেথি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি মশলা বা বীজ। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং সলিউবল ডায়টারি ফাইবার। নিয়মিত মেথি খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর হয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক থাকে। কোলেস্টরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে এই মেথি।
করলা: করলা স্বাদে তেতো। কিন্তু এর গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। করলার রস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য আদর্শ। করলা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন একটি বা একাধিক করলা খেতে পারলে রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
পাট শাক: পাট গাছের কচি পাতাগুলোকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এই শাকের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাট, লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। লাইকোপিন শরীরের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। পাট শাকে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সহায়োক এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। পাট শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ব্রাহ্মী শাক: তিতা স্বাদের এই শাকের রয়েছে বিশেষ কিছু ওষধি গুণ। স্বরভঙ্গ, বসন্ত রোগ, শিশুদের ঠাণ্ডা-কাশিতে এ শাক খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। এই শাক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্রাহ্মী শাক খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে।
গ্রিন টি: বিজ্ঞাপনে নায়িকা যখন গ্রিন টি খেয়ে মিষ্টি মুখে হাসি হাসেন তখন মনে হয় যেন কতই সুস্বাদু এই চা। কিন্তু বাস্তবটা আলাদা। গ্রিন টি বেজায় তেতো আর কষালো স্বাদের হয়। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ওজন কমে। গ্রিন টি-তে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং পলিফেনোল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শাক: নিয়মিত পাতে রাখতে পারেন পালং শাক, সর্ষের শাক। পালং শাক সুস্বাদু। কিন্তু সর্ষে শাকে সামান্য তিতকুটে স্বাদ আছে। যদিও রান্নার পর খেতে ভালোই লাগে। এগুলি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং মিনারেলে পরিপূর্ণ। খেলে শরীর ফিট থাকে।
সজনে ফুল: সজনে ডাটার মতোই উপকারী সজনে ফুল। তবে সারাবছর এই ফুল পাওয়া যায়না। বসন্তকালে দেখা পাওয়া যায় সজনে ফুলের। তাই সে সময় এই ফুল খেতে হবে নিয়মিত। সজনে ফুল খেলে দূরে থাকে অনেক রকম অসুখ। সর্দি-জ্বর, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, বসন্ত ইত্যাদি রোগ দূরে রাখতে পারে এই ফুল। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম। প্রসূতি মায়ের শরীরের জন্য উপকারী এই ফুল।
ডার্ক চকোলেট: নামে চকোলেট থাকলেও এটি আদতে তিতকুটে স্বাদের হয়। কিন্তু সাধারণ সুস্বাদু চকোলেটের থেকে হাজার গুণ ভালো। যাঁরা চকোলেট খেতে ভালোবাসেন অথচ ডায়াবিটিসের কারণে খেতে পারেন না তাঁরা কিন্তু অনায়াসেই ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকোলেটে থাকে জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পলিফেনোল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। রক্ত চলাচলে এটি এগুলি সাহায্য করে। শরীরে প্রদাহ কমায়।
তেলকুচা পাতা: শাক হিসেবে খেতে পারেন তেলকুচা পাতা। এই পাতার রস আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতেও ব্যবহার করা হয়। তেলকুচা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই পাতা খেতে পারেন। তবে তেলকুচা পাতা তেলে ভেজে খেলে এর পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন ঝোল রান্না করে খেতে। বাড়ির আশেপাশে কিংবা বাজারে মিলবে এই উপকারী পাতা।
তেতো খাবার: ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতি দিন খাবারের পাতে রাখুন তেতো। হয় নিম পাতা, নয়তো উচ্ছে। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে ও এই সময় বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগজীবাণুর সঙ্গে্ লড়তে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই
আমড়া নাকি জাম্বুরা, কোনটি বেশি উপকারী
এখন রাস্তাঘাটে দেখা মিলছে দেশীয় ফল আমড়া ও জাম্বুরার। টক আর মিষ্টির স্বাদ পেতে ফল দুটো অনেকেরই বেশ পছন্দ। দুটো ফলই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমড়া, জাম্বুরা দুটোরই অনেক উপকারিতা। ভিটামিন সি বেশি থাকায় দুটো ফলই শরীরের জন্য বেশ ভালো। প্রতিদিন অন্তত এর একটি ফল খেতে পারেন। ফল দুটি মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
আমড়া—
১ আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। স্কার্ভি রোগের পাশাপাশি সর্দি-কাশি-জ্বরের উপশমেও আমড়া অত্যন্ত উপকারী।
২. শরীরের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ক্যালসিয়ামের। ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস আমড়া। আমড়া খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়। তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর আমড়া খেতে পারেন। এতে হজম প্রক্রিয়া ভালো হবে।
৩. আমড়ায় কিছু ভেষজ গুণ আছে। আমড়া পিত্তনাশক ও কফনাশক হিসেবে কাজ করে।
৪. আমড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে।
৫. আমড়া মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আমড়া খেলে অরুচি অনেকটাই কেটে যায় এবং খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।
৬. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
৭. ফলটিতে প্রচুর আঁশ থাকায় বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৮. এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯. আমড়া খেলে অরুচি দূর হয়ে যায়, ক্ষুধা বাড়ে।
১০. ত্বক, নখ, চুল সুন্দর করে।
জাম্বুরা—
১. জাম্বুরা ঠাণ্ডা, সর্দি-জ্বর অনেক উপকারি। জাম্বুরাতে থাকা ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
২. জাম্বুরা খেলে পেটের হজমজনিত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এ ছাড়া জাম্বুরা ডায়াবেটিস, নিদ্রাহীনতা, মুখের ভেতরে ঘা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩. জাম্বুরায় থাকা প্রোটিন এবং ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেটে থাকে। ফলে বাড়তি ক্ষুধাও লাগে না।
৪. খাবারের রুচি বাড়াতে জাম্বুরা বেশ কার্যকর। জাম্বুরায় প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন সি থাকে। ফলে নিয়মিত ফলটি খেলে ভালো থাকবে আপনার ত্বক।
৫. জাম্বুরা শরীরের বাড়তি চর্বিকে ভেঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা জাম্বুরা খেতে পারেন।
৬. জাম্বুরায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৭. এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্যানসারের জীবাণু প্রতিহত করে।
৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জাম্বুরার রস সাহায্য করে।
৯. জাম্বুরায় থাকা ভিটামিন সি ও বি হাড়, দাঁত, ত্বক, চুলে পুষ্টি জোগায়।
১০. রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরটিভি/এফআই/এআর
পূজায় কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে মাখুন এই ফেসমাস্ক
কয়েকদিন পরই ধুমধাম করে দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয়ে যাবে। পূজার ওই চারদিন ঝলমলে দেখাতে চান সকলেই। তাই শেষ মুহূর্তে পার্লারে ছুটছেন বেশিরভাগ মানুষ। সেখানেই সময় এবং টাকা ব্যয় করছেন। কিন্তু অনেকের সময় সল্পতার কারণে যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারেন তারা। চটজলদি কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পেতে একটি কোরিয়ান মাস্কের হদিশ রইল। ঝটপট জেনে নিন এর ব্যবহার।
এই ফেসমাস্ক বানানোর জন্য বেশি খরচ হবে না। ঘরে থাকা সামান্য কিছু উপকরণেই কাজ হবে। এর জন্য প্রয়োজন পড়বে তিনটি উপকরণ।
সেগুলি হলো-
১. পানি
২. তিসি বীজ
৩. চালের গুঁড়ো
যেভাবে বানাবেন:
প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ পানি ফোটাতে থাকুন।
তাতে ১ টেবিল চামচ তিসি বীজ দিয়ে দিন।
সঙ্গে দিন ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো।
এরপর সেই মিশ্রণ ভালোভাবে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ঘন পেস্ট তৈরি হয়।
পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা করতে দিন।
এরপর মুখে ভালোভাবে এই মিশ্রণ মেখে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই মাস্কের উপকারিতা:
তিসি বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিগন্যানের। এসব পুষ্টির কারণেই ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তিসি বীজের গুণেই ত্বক থাকে হাইড্রেটেড। প্রদাহ কমে ত্বকের। পাশাপাশি তিসি বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। বাড়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও। দেখা যায় না বলিরেখা ও রিঙ্কেলস। ফলে অকালে বুড়িয়ে যায় না ত্বক। এ সব মিলিয়ে তিসি বীজের ছোঁয়ায় ত্বকের উজ্বলতা বাড়ে দ্বিগুণ হারে।
এই দিকে চালের গুঁড়ো ত্বককে এক্সফলিয়েট করতে সাহায্য করে। এর জন্য ত্বকের ওপর থেকে মৃত কোষের স্তর দূর হয়। ত্বকের তৈলাক্তভাব কমে চালের গুঁড়োর জন্য। এছাড়া দাগছোপ মুছে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এই ঘরোয়া উপকরণের কোনও তুলনা হয় না। তাই পূজার আগে এই মাস্ক দুদিন ব্যবহার করলেই কাচের মতো ত্বক পাবেন আপনি।
আরটিভি/এফআই/এআর
ছোট কয়েকটি কৌশলে কমিয়ে নিন বিদ্যুৎ বিল
প্রচণ্ড গরমে দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। শীতের সময় বিলের পরিমাণ একটু কম হলেও বছরের বাকি সময়টা বিদ্যুতের বিল যেন লাগামছাড়া হয়ে যায়। মূল্যবৃদ্ধির এ বাজারে যদি বিদ্যুতের বিলও বেড়ে যায়, তাহলে খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে হবে এমন নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলেই এই বিল নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে।
বিদ্যুৎ খরচ কমাতে জেনে নিন কয়েকটি কৌশল—
মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করতে হবে। বেশিরভাগ সময় এসি রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।
যতটা পারবেন প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করবেন। সেজন্য ঘরে জানালা একটু বড় রাখতে হয়। দক্ষিণের জানালা দিয়ে সবচেয়ে বেশি আলো পাওয়া যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
ব্যবহার করুন সিএফএল বা এলইডি লাইট। এসব লাইটের আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে। যে কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিংয়ে ভরসা রাখুন।
কোনও যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক। পুরনো তার, পুরনো যন্ত্র ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। তাই দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার ব্যবহার না। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করুন।
অনেক ডিভাইস স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকা সত্ত্বেও কিংবা বন্ধ করলেও বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। তাই ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ডিভাইস যখন অব্যবহৃত থাকে, তখন সেগুলোর প্লাগ খুলে রাখা উচিত।
ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করাই নিয়ম। রোদ পড়ে এমন জায়গায় এসির আউটলেট রাখবেন না। অনেকে মাথার ওপরে একটি শেড করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। এসি মেশিন রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ঢেকে রাখলে তাতে মেশিন খারাপ হয় তাড়াতাড়ি।
এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না। তাতে বেশি ইউনিট খরচ হয়। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভালো থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে।
আরটিভি/এফআই
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল-ত্বক পাবেন সবজির এই পানীয়তেই
ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ঘরে থাকা কিছু সামান্য উপকরণ দিয়েই কিন্তু স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল ও ত্বক পাওয়া সহজ। আজ জেনে নিন ত্বক ও চুলের হাল ফেরাতে রান্নাঘরের এমনই এক সিক্রেট উপকরণের হদিশ।
ঢেঁড়সের গুণ:
প্রায় প্রত্যেক বাঙালি বাড়ির রান্নাঘরেই এই সবজি রয়েছে। স্বাদের পাশাপাশি গুণেও অতুলনীয় রান্নাঘরের এই সবজি। এতে ভরপুর ভিটামিন এ, সি এবং কে রয়েছে। এছাড়াও ঢেঁড়সে হদিশ মেলে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফোলেটের। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই সবজির। শরীরের খেয়াল রাখার পাশাপাশি ঢেঁড়স কিন্তু উজ্জ্বল ত্বক ও চুল পেতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যে জুড়ি মেলা ভার:
ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন সি এবং এ ত্বকে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। ফলে ত্বক ঝুলে পড়ে না। মুখে দেখা যায় না বলিরেখা ও রিঙ্কেলস। এর কারণে বয়সের ছাপও পড়ে না মুখে। পাশাপাশি ত্বকে পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করে ঢেঁড়স। এছাড়া এই সবজি খেলে ব্লাড সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাতে কোলাজেনের উৎপাদনে ঘাটতি হয় না। ফলে স্থিতিস্থাপকতা হারায় না ত্বক।
এই দিকে ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে ময়শ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে ঢেঁড়স। প্রতিদিন সকালে চুমুক দিন ঢেঁড়স পানিতে। প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ারের কাজ করে এই পানি। শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর করে ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ফেরায়।
চুলও ঝলমলে করে:
স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ঢেঁড়সে উপস্থিত ভিটামিন ও খনিজের গুণেই। এছাড়াও স্ক্যাল্পে পুষ্টি জুগিয়ে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এ সব উপাদান। এই দিকে নিয়মিত ঢেঁড়স পানিতে চুমুক দিলে বন্ধ হয় হেয়ার ফলও। রুক্ষ-শুষ্ক চুলে ফেরে শাইনও। এই দিকে ঢেঁড়সের রস কিন্তু প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও দুর্দান্ত। এই রস লাগিয়ে নিলে চুল ঝলমল করে উঠবে।
খাবেন যেভাবে:
ঢেঁড়স ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন প্রথমে। সেগুলো একটি জারের মধ্যে পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তাতেই ঢেঁড়সের ভিতর থেকে রস বের হয়ে পানিতে মিশবে। সকালে খালি পেটে এই পানি ছেঁকে পান করুন। নিয়মিত রুটিনে এই পানীয় থাকলে পার্থক্য দেখবেন নিজে চোখেই।
প্রতিদিন খাওয়া কি ভালো:
প্রতিদিন ঢেঁড়স পানি খেতেই পারেন। তবে পরিমাণে বেশি হয়ে গেলেই নানা সমস্যা বাঁধতে পারে। এর কারণে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সবজিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় ব্লোটিংও পিছু নিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ঢেঁড়স পানি খাওয়ায় তখন লাগাম টানতে হবে।
আরটিভি/এফআই
ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা দেবে ডিমের ফেসপ্যাক
রূপচর্চায় ডিম ব্যবহার নতুন নয়। তবে মূলত, চুলের যত্নেই ডিম ব্যবহার করতে দেখা যায় বেশি। ডিমের সাদা অংশটা যদি ত্বকের চর্চায় ব্যবহার করা যায়, তাহলে ত্বক হবে টানটান, উজ্জ্বল। ডিমে রয়েছে লুটিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও অ্যালবুমিন, যা ত্বক টানটান করে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়েই নেই আমাদের হাতে। তাই ঝটপট ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে কার্যকর ডিমের ফেসপ্যাক।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুম কিন্তু ত্বক ঝকঝকে করতে দারুণ কাজে লাগে।
জেনে নিন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম—
শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে একটি ডিম নিয়ে তার থেকে কুসুম আলাদা করে নিন। এবার এই কুসুমটির সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলে এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
মুখের অন্যান্য সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা হল ব্ল্যাকহেডেস। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমকে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তা ব্রাশে করে নাকের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এরপর একটি টিস্যু পেপার লাগিয়ে নিন নাকের ওপর। ডিমের প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে কাগজ গুলোকে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন কাগজের সঙ্গে ব্ল্যাকহেডসও উঠে আসবে।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ মধু এবং এক চামচ বাদাম তেল নিয়ে তা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ত্বক উজ্জ্বল রাখতে একটি ডিমের কুসুম, এক চামচ ঘন ক্রিম এবং এক চামচ গাজরের রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।
আরটিভি/এফআই-টি