কলায় নেই শুধু উপকারিতা, আছে কিছু সাবধানতা!
বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাস আতঙ্ক। সংকটময় এই মুহূর্তে ভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ ফলমূলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে রমজানের রোজা পালন করছেন অনেকেই। সমস্ত দিনের ক্লান্তি ভুলতেও দিন শেষ ইফতারের প্লেটে নিচ্ছেন ফলমূল। তবে লকডাউনের কারণে অনেক ফল এখন দুষ্প্রাপ্য। তাই হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন ফল বেশি বেশি খাচ্ছেন। আর একই রকম ফল বার বার খাওয়ার কারণে কখনও হিতে বিপরীত হতে পরে। বিশেষ করে যাদের জন্য ফলটি জরুরী না তারা যখন অতিরিক্ত ফল খাবেন, কখনও কখনও উপকারের থেকে বেশি ক্ষতি হতে পারে।
বছরের সব সময় হাতের নাগালে পাওয়া যায় এমন ফল কলা। তবে এই কলাতেও উপকারের সঙ্গে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব আছে। বেশি বেশি কলা খেলে বিশেষ কিছু মানুষের সীমাহীন ক্ষতিও হতে পারে।
কলা:
- বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এমন একটি ফল যেটি সারা বছরেই পাওয়া যায়।
- প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম,আয়রন,ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সে সহ মোট ক্যালরি পাওয়া যায় ১১৬ কিলোক্যালরি ।
- কলা সহজে হজমযোগ্য শর্করা এটি পরিপাক তন্ত্রকে খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে
- কলায় প্রায় ৫০০মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০মিলিগ্রাম পটাশিয়াম যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের বড় ধরণের ঝুঁকি কমায়।
উপকারের মতো বেশি কলা খেলে ক্ষতির সম্ভাবনাও কিন্তু থাকে।
- মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ১০৫ ক্যালোরি শক্তি থাকে। তাই বেশি কলা খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল।
- মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কলা এড়িয়ে চলাই ভালো। কলায় টাইরামাইন নামক এক উপাদান থাকে যা মাইগ্রেনের কারণ।
- রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হাইপারক্যালেমিয়া হয়। তাই এই রোগে কলা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
- পাকা কলাতে ট্রিপটোফ্যান আমাইনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। দেহে ক্লান্তি আসে এবং সব সময় ঘুম পায়।
- সুগারের পরিমাণ বেশি থাকায় অত্যধিক মাত্রায় কলা খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে।
- কলাতে থাকা ফ্রুক্টোজ এবং ফাইবার এক সঙ্গে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। বেশি কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও দেখা দিতে পারে।
লেখা- হাবিবা নাজলীন লীনা; শিক্ষানবিস, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান।
জিএ
মন্তব্য করুন