মাউথওয়াশে আটকানো যাবে করোনা সংক্রমণ
মাউথওয়াশ ব্যবহারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বিজ্ঞানীদের একটি দল। বিজ্ঞান সাময়িকী Function (‘ফাংশন’) জার্নালে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানব কোষে আক্রমণ চালানোর সুযোগ পাওয়ার আগেই করোনাভাইরাসকে মাউথওয়াশ হয়তো ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তাই বাজারে চলতি মাউথওয়াশের এ ক্ষমতা সত্যি আছে কিনা, তা জরুরি ভিত্তিতে পরীক্ষা করা দরকার।
করোনাভাইরাস আবরণযুক্ত ভাইরাসের শ্রেণিভুক্ত। চর্বির একটি আবরণে এটি ঢাকা থাকে। কিছু রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি ঘটলে এই আবরণটি ধসে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাউথওয়াশেও এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা হয়তো ভাইরাসটির ওই আবরণ ধ্বংস করে মুখের ভেতর
ও গলায় এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা ঠেকাতে পারে। তারা মনে করেন, দন্তচিকিৎসায় মুখ পরিস্কারক হিসেবে ব্যবহৃত বাজারে চলতি মাউথওয়াশের এ ক্ষমতা সত্যিই রয়েছে কিনা তা এখনই পরীক্ষা করে দেখা জরুরি। কারণ মাউথওয়াশ করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম কিনা, এর পক্ষে এখনও কোনো ক্লিনিক্যাল প্রমাণ নেই।
সাধারণত মাউথওয়াশে পোভিডোন-আয়োডিন, ইথানল এবং সেটিলপাইরিডিনিয়াম থাকে। তবে বিজ্ঞানীরা এও বলেছেন, ঠিক কতক্ষণ পর্যন্ত মাউথওয়াশের এই সব উপকরণ মুখের ভিতরের বায়োমেমব্রেনের সঙ্গে লড়াই চালাতে পারবে তা আরও গবেষণার পরই নিশ্চিত করে বলা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরইমধ্যে জানিয়েছে, মাউথওয়াশ ব্যবহারের মাধ্যমে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার কোনো তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে নেই। যদিও কিছু কিছু মাউথওয়াশ ব্যবহারে মুখের লালায় মজুত মাইক্রোব অল্পক্ষণের জন্যে মেরে ফেলা যায়।
নতুন গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ, লিপিড বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। তাদের সহযোগিতা করেছেন নটিংহাম, কলোরাডো, ওটোয়া, বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্রাহাম ইনস্টিটিউটের বিশেজ্ঞরা।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেইলি মেইল
এস
মন্তব্য করুন