হতাশায় শিশুদের শৈশব, খোঁজ নিন
করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে কমবেশি সবার জীবনে হতাশা নেমে এসেছে। করোনা আমাদের জীবনকে বদলে দিয়েছে অনেকটা। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঘুরতে যাওয়া, হলে যেয়ে সিনেমা দেখা, ফুটপাতের ফুচকা খাওয়া- এই সবই দীর্ঘদিন বন্ধ আমাদের জীবনে। এর প্রভাব কিন্তু সবচেয়ে বেশি পড়ছে ছোটদের মনে। তাদের জীবনেও নেমে এসেছে হতাশা।
শিশুদের হতাশ জীবনের কারণ- দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, অনলাইনে ক্লাস হলেও বন্ধুর সঙ্গে গল্প বা টিফিন ভাগাভাগি করা হয় না। অনলাইন ক্লাসে সেই দুষ্টামি হচ্ছে না। বাড়ির চার দেওয়ালে বন্দি থেকে হাঁপিয়ে উঠছে তারা। লকডাউন ও করোনা সতর্কতার কারণে শৈশব অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বড়রা যেখানে আর্থিক সংকট আর চাকরি বজায় রাখা নিয়েই চিন্তায়, সেখানে ছোটদের দিকে মন দেওয়ার সময় নেই অনেকের। কিন্তু এখনই সাবধান না হলে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে- এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলেছে, সারা বিশ্বের ১০ থেকে ২০ শতাংশ শিশু অবসাদের শিকার। এই কারণেই ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সন্তান অবসাদের শিকার কিনা যেভাবে বুঝবেন-
- খেলাধুলোয় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কিনা দেখুন
- উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন কমে কিনা খেয়াল করুন,
- মনঃসংযোগে সমস্যা, ক্ষিদে কমে যাওয়া, সব সময় বিরক্তি, সব সময় মন খারাপ থাকলে খোঁজ নিন।
- অতিরিক্ত ঘুমে বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়াও অবসাদের কারণ হতে পারে।
- মেলামেশায় অনীহা, সব সময় অধৈর্য্য হয়ে পড়াও হতাশার লক্ষণ।
- সব সময় হতাশামূলক কথাবার্তা বলতে শুনলে খেয়াল করুন।
- সবসময় ক্লান্তি, একটা ঝিমিয়ে থাকা অবসন্ন ভাব।
- মৃত্যু অথবা আত্মহত্যা নিয়ে কথাবার্তা বললে যত্ন নিন।
- মাঝে মাঝে রেগে যাওয়া, উত্তেজিত হয়ে পড়া, জিনিসপত্র ভাঙচুর করা
এই সব লক্ষণ আপনার সন্তানের মধ্যে দেখা দিলে এখনই সাবধান হোন। সন্তানকে সময় দিন। নিজে অথবা প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে নিয়ে কাউন্সেলিং করান।
সূত্র- এই সময়।
জিএ
মন্তব্য করুন