শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে রাজি হয়েছে রাইদা পরিবহনের মালিকপক্ষ। ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে পরিবহনটির প্রায় ৫০টি বাস আটকে রাখা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মালিকপক্ষের দীর্ঘ আলোচনার পর অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ঢাকা শহরের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র দেখালে তাদের হাফ ভাড়া নিতে এবং নারীদের সংরক্ষিত আসনে পুরুষ বসতে না দেওয়ার দাবি মেনে নিয়েছে রাইদা পরিবহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সমঝোতা প্রায় শেষের দিকে। সমঝোতা শেষে আটকে থাকা বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে ঢাকার রামপুরায় রাইদা পরিবহনের একটি বাস থেকে এক শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামানোর অভিযোগে পরিবহনটির প্রায় ৫০টি বাস আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় ওই সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, রাইদা পরিবহনের একটি বাস বিটিভি ভবনের সামনে আসলে, তখন বাসে থাকা এক শিক্ষার্থী চেকারকে হাফ ভাড়া নেওয়ার কথা বলে। চেকার সেটি নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তাকে বাস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। তখন ওই শিক্ষার্থী তার আশপাশের বন্ধুদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে রাইদা পরিবহনের প্রায় ৫০টি বাস আটকে দেয়।
এনএইচ/এসকে