ঢাকাশনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

মুম্বাই হামলার প্রতিবাদে সাইকেল শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ সভা

আরটিভি নিউজ ডেস্ক

রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১ , ০৭:৪৪ পিএম


loading/img
মুম্বাই হামলার প্রতিবাদে সাইকেল শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ সভা, ছবি : সংগৃহীত

মুম্বাইয়ের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাইকেল শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানের নিকুঞ্জ (পুলিশ প্লাজা) থেকে গুলশান ২ ও পাকিস্তান হাইকমিশন হয়ে এই কর্মসূচি পুলিশ প্লাজায় এসে শেষ হয়। 

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে সংগঠনের মহাসচিব মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা এমদাদুল হক ছালেক, নারী নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জাসদের নগর সভাপতি মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ সবসময়ই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান ও জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মতো মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে পারলে মাদক ও দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকেও দেশে যুব সমাজকে রক্ষা করা সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। অন্যদিকে আজকের দিনে আমাদের প্রতিবেশী ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলার নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, বাংলাদেশে মূলত সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সূত্রপাত হয় পাকিস্তানি দোসরদের দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটেছে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট এর গ্রেনেড হামলা, গুলশানের হলি আর্টিজানের ভয়াবহ জঙ্গি হামলাসহ সরাদেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলার মতো বর্বরোচিত ঘটনা।

তিনি বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা এসব হামলা চালিয়ে দেশের অসংখ্য মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এসব হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং যথাযথ বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি আজকের দিনে আমাদের প্রতিবেশি ভারতের মুম্বাই নগরীতে যে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল তার তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি। 

বিজ্ঞাপন

সমাপনী বক্তব্যে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইএস-সহ নানা ভীতিকর নামধারী জঙ্গিগোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেমন সারাবিশ্বকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে তেমনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীরা আজকের দিনে বর্বরোচিত মুম্বাই হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে অসংখ্য নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে ভারতসহ পুরো উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০০৮ সালের আজকের দিনে ২৬ নভেম্বর সংঘটিত সেই হামলায় ১৭০ জন নিরীহ মানুষ পাকিস্তানি জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারায়। এই হামলার ১৩তম বর্ষপূর্তিতে আমরা নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

তিনি বলেন, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব যে কোন মূল্যে এসব সন্ত্রাসী-কর্মকাণ্ডের মূলোৎপাটন হোক। আমরা চাই উপমহাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে জীবন-যাপন করুক।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হয়।
পি
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |