রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বুধবার (১০ অক্টোবর)। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে আলোচিত এ মামলায় মোট ৩১ জন আসামিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। রায় পড়ার শুরু করার আগে তাদেরকে নাজিমুদ্দিন রোডের অস্থায়ী বিশেষ আদালতে নেয়া হবে। তাদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুও রয়েছেন।
পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদেরকে আদালতে আনা হয়।
আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকাসহ রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। রায় ঘিরে আজ সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তবে প্রাণ হারায় দলের ২৪ জন নেতাকর্মী।
নজীরবিহীন এ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা পৃথক মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর। যুক্তিতর্ক শেষে রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি এবং আসামিপক্ষ সব আসামির বেকসুর খালাস দাবি করেন। সেদিনই এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১০ অক্টোবর) তারিখ ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলাটি প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষ ৫১১ জনের মধ্যে ২২৫ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এই মামলার বিচার চলাকালে আসামি জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় এবং হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে হিসেবে বর্তমানে মামলা দুটিতে আসামির সংখ্যা ৪৯ জন।
এই মামলায় মোট ৩১জন আসামি কারাগারে থাকলেও বাকি ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে ৮ জন জামিনে থাকলেও রায়ের দিন নির্ধারণ করার আগে ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন :
পি