নিউইয়র্কের স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস-বাফা’র নতুন নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মারজিয়া স্মৃতি। যুক্তরাষ্ট্রে বাঙালি সংস্কৃতির কর্মকাণ্ড নিয়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান বাফা। নগরের বাংলাদেশি বহুল ব্রংকস এলাকায় পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালা দিয়ে তাদের অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস নামে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে। এ সময় ফরিদা ইয়াসমিন অন্য কয়েকজন নারীকে নিয়ে কাজ শুরু করেন।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সংস্কৃতির নগর নিউইয়র্কে বাংলাদেশি একটি সংগঠনটি দাপটের সাথে এগিয়ে চলছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে নানা নাগরিক ও সামাজিক বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মিলে কাজ করছে সংগঠনটি। ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই গড়ে উঠেছে নতুন নেতৃত্ব।
সংগঠনের নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রজন্মের যোগ্য প্রতিনিধি মারজিয়া স্মৃতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিউইয়র্কে বাংলা সংবাদমাধ্যমের লোকজনের উপস্থিতিতে ১৩ ফেব্রুয়ারি রোববার ব্রংকসের স্টার্লিং এভিনিউয়ে বাফা কার্যালয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হয়ে গেল। দায়িত্ব গ্রহণ করে মারজিয়া স্মৃতি তার ওপর সংগঠন আস্থা রাখায় ধন্যবাদ জানান। সংবাদমাধ্যমের সামনে দেওয়া বক্তৃতায় মারজিয়া বলেন, বাংলাদেশি জনসমাজের মধ্যে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি করা এবং খোলামেলা সংলাপ চালু করাটা খুব জরুরি। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি করে বহুজাতির এ সমাজে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করাকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশি জনসমাজকে বিভিন্ন কাজে সক্রিয় হওয়া এবং রাজনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মারজিয়া স্মৃতির হাতে ফুলের তোড়া উঠিয়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মতলুব আলী। তিনি বলেন, প্রবাসে আমাদের নতুন প্রজন্ম দায়িত্ব গ্রহণের জন্য কতটা প্রস্তুত, তার উজ্জ্বল উদাহরণ মারজিয়া স্মৃতি। বাফার মতো সংগঠনে কাজ করতে করতেই মারজিয়া স্মৃতি সংগঠনটির নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ফরিদা ইয়াসমিন তার বক্তব্যে সংগঠনের শুরু থেকে নানা পর্যায়ে যারা সাহায্য সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও তিনি আগের মতোই বাফার কাজকর্মে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মারজিয়া স্মৃতির অভিষেককে অভিনন্দন জানান কৌশিক আহমেদ, নাজমুল আহসান, আবু তাহের, ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, লাভলু আনসার, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, আবদুস শহীদ, আবদুর রহমান বাদশাহ, হাবিব রহমান, রাশেদ আহমেদ, শাহাব উদ্দিন সাগর, শিবলী চৌধুরী কায়েস, মশিউর রহমান, শামীম আল আমিন, মনিজা রহমান, এমবি তুষার, আবু চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, আখতার আহমেদ রাশা, মনিরা নূর, শম্পা রহমান, শরীফ হোসেন, আফতাবুজ্জামান স্পন্দন, শামীম আরা বেগম, ফারজানা ইয়াসমিন, সোনিয়া কাদির, বেনজির শিকদার, আইরিশ ক্রেশ কৈলো।