আজ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২৩তম জন্মদিন। ক্ষণজন্মা প্রচারবিমুখ এই কবি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বামনকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনানন্দ দাশের বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক। মা কুসুমকুমারী দাশ গৃহিণীই ছিলেন। তবে সাংসারিক কাজের ফাঁকে তিনিও কবিতা রচনা করতেন। জীবনানন্দ মায়ের কাছ থেকেই সাহিত্যচর্চা ও কবিতা রচনার প্রেরণা লাভ করেন। জীবনানন্দ প্রায় ৮০০ কবিতা লিখলেও জীবদ্দশায় মাত্র ২৬২টি কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও কাব্যসংকলনে প্রকাশ করতে দিয়েছিলেন।
কবিতা রচনার শুরুটা কোন বছর থেকে, তা জানা যায়নি। তবে ১৯৫২ সাল থেকে তার কবিতা প্রবাসী, বঙ্গবাসী, কল্লোল, কালি-কলম, বিজলী, ধূপছায়া, প্রগতি প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশ হতে থাকে। কবির উল্লেখযোগ্য রচনাবলি হলো : কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন, ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা। গদ্যগ্রন্থ কবিতার কথা। মৃত্যুর পর তার প্রকাশিত উপন্যাস মাল্যবান, সতীর্থ।
নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলন ১৯৫২ খিস্টাব্দে পরিবর্তিত সিগনেট সংস্করণ বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ১৩৫৯-এর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ বিবেচনায় পুরস্কৃত করা হয়। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করে। ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মারা যান এই কবি।