বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং দ্রুততম পাখি হামিংবার্ড। প্রায় একটি বড় আকারের মাছির আকৃতির এই রঙিন পাখিগুলো প্রতি সেকেন্ডে অন্তত সত্তরবার ডানা ঝাপটায়। স্বাভাবিকভাবে এত দ্রুত গতির কারণে পাখিটির অতিমাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে যাবার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে না। কিন্তু কেনো জানেন কি।
বিজ্ঞাপন
চলুন জেনে নেওয়া যাক হামিংবার্ড সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য-
- হামিংবার্ড কেবল আমেরিকার ট্রপিক্যাল অঞ্চলে পাওয়া যায়। আকৃতিতে ছোট হলেও পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির হামিংবার্ড রয়েছে।
- হামিংবার্ডের বাসা একটি আখরোটের সমান।
- হামিংবার্ড হাঁটতে পারে না। তবে এরাই একমাত্র পাখি যারা সামনে, পেছনে, ওপরে ও নিচে সবদিকেই পূর্ণগতিতে চলাচল করতে পারে।
- এদের মধ্যে ‘কিউবান বি’ প্রজাতির হামিংবার্ড সবচেয়ে ছোট। এদের দৈর্ঘ্য মাত্র ২ ইঞ্চি অর্থাৎ একটা মৌমাছির সমান।
- ‘কিউবান বি’ প্রজাতির হামিংবার্ড আকৃতিতে খুবই ছোট হলেও শরৎ এবং বসন্তকালীন পরিযাত্রার সময় এরা মেক্সিকো উপসাগর পাড়ি দেয়।
- ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি গতিতে এরা উড়তে পারে। এরা সেকেন্ডে ৭০ বারের মতো ডানা ঝাপটাতে সক্ষম।
- ওড়ার সময় এই খুদে পাখিরা ঘন ঘন ডানা ঝাঁপটায়। অনেকগুলো পাখি একসঙ্গে ডানা ঝাঁপটালে একধরনের তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। এজন্যই এদেরকে ‘হামিংবার্ড’ বলা হয়।
- এরা মিনিটে ২৫০ বার শ্বাস নেয় এবং ওড়ার সময় তা আরও বেড়ে যায়। আর এদের হৃদস্পন্দনের হার মিনিটে ১২০০ বিট।
- সাধারণত মধুপায়ী মনে করা হলেও ৮৫ শতাংশ হামিংবার্ডই ফুলের মধ্যে বাস করা ছোট ছোট পোকা খায়।
- একটি হামিংবার্ডের দেহে প্রায় ৯০০টি পালক থাকে।
- হামিংবার্ডের উত্তাপ বের করে দেবার 'জানালা' রয়েছে। এসব জানালা রয়েছে তার চোখের পাশে, কাঁধের সংযোগস্থলে, পায়ে এবং পায়ের পাতায়।
