ফের করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, চার দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ
দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে। ধীরগতিতে হলেও দেশে এর সংক্রামণ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন উপধরনই সংক্রমণ বাড়ার কারণ। শীত কমলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা সংক্রমণ আরো কয়েক গুণ বাড়তে পারে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এসময় করো মৃত্যু হয়নি। দেশে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৮১ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন ও জুলাই মাসের পর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের কয়েকদিন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে। ফলে মাস্ক পরার পরামর্শসহ চার দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
তারা বলছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা, ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা, বৈশ্বিক সংক্রমণ পর্যালোচনা করে দেশে নজরদারি বাড়ানোসহ আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সব প্রস্তুতি রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেছেন, আশঙ্কা না থাকলেও আমাদেরকে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। কারণ, দুই তিন মাস পরে হয়তো বাংলাদেশে করোনার মূল সিজন শুরু হবে। তখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্তমান প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন এ বিষয়ে আমাদের সার্ভিলেন্স বাড়াতে হবে। কোন ধরনে কারা আক্রান্ত হচ্ছেন তা চিহ্নিত করতে হবে। যারা ডোজ পননি কিংবা এক ডোজ নিয়েছেন তাদেরকে বাকি ডোজগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ চিকিৎসার গাইডলাইন আপডেট করতে হবে। সেই সঙ্গে হাসপাতাল, বেড, অক্সিজেন এসব বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে হবে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, করোনা পরিস্থিতি ফের ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের ৫ জনের শরীরে নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে। সবাই সচেতন না হলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যেতে পারেন।
মন্তব্য করুন