ফের মালয়েশিয়ায় শতাধিক বাংলাদেশি আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। খবর নিউ স্ট্রেইট টাইমস।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মেলাকার ইমিগ্রেশনের পরিচালক অনির্বান ফৌজি মোহম্মদ আইনি এক বিবৃতিতে বলেন, একজন নারীসহ আটকদের মধ্যে ১০১ জন বাংলাদেশি, ২৬ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৬ জন মিয়ানমারের এবং একজন নেপালি নাগরিক রয়েছেন। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে। ইমিগ্রেশন পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আটক হওয়া ব্যক্তিদের মাচাপ উম্বু ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের মধ্যে পরিচয়পত্রহীন, মেয়াদ অতিবাহিত হওয়া, জাল নথিপত্র বা পাসপোর্ট রাখা এবং ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫)/ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এবং অ্যান্টি-ট্রাফিকিং ইন পার্সন এবং অ্যান্টি স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্টস (অটিপসম) ২০০৭ আইনের অধীনে অন্যান্য অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে।
এদিকে একই সময়ে সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং-এর জালান আমান পেরদানার একটি অ্যাপার্টমেন্টে, অপ খাস আমান নামের অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে তারা। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন। তবে এ অভিযানে আটকদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটিতে থাকা ৪৯০ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছেন।
মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটে বুকিত আমান আন্ডারকভার এলাকায় অপরাধ বিভাগের (ডি-সেভেন) নেতৃত্বে জেনারেল অপারেশন টিম (পিজিএ) এবং সেলাঙ্গরের মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জিম) সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও নেপাল, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক রয়েছেন।
অভিবাসন বিভাগ বলছে, অভিযানের আগে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ ও তথ্য নেওয়া হয়। পরে বুকিত আমান আন্ডারকভার এলাকায় প্রায় এক মাস ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চালায় দেশটির পুলিশ।
জানা গেছে, আটকদের মধ্যে কয়েকজন অভিবাসী খুচরা পণ্যের দোকান চালাত এবং ওই এলাকার অ্যাপার্টমেন্টে থাকা বিদেশি গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে নিজ দেশ থেকে পণ্য এনে বিক্রি করত।
প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয়েছে, আটক অভিবাসীদের বৈধ ভ্রমণ নথি ছিল না। ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর আটক অভিবাসীদের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সেমুনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে রাখা হয়েছে।