• ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
logo

রমজানের প্রস্তুতি নিতে যেসব আমল করবেন

আরটিভি নিউজ

  ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৩
ফাইল ছবি

রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান।

হিজরি বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)।

প্রস্তুতি কেন নেব?
রমজান মাসকে অধিক ফলপ্রসূ করতে রমজানের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণ হলো—নিজেকে ইবাদত-বন্দেগি ও সাধনার জন্য প্রস্তুত করা। যেন রমজানের আগেই আলস্য দূর হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য আল্লাহর তাওফিক লাভ করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে চেষ্টা-সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬৯)

চাঁদের হিসাব রাখা
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে শাবান মাসের চাঁদের হিসাব রাখতেন এবং অন্যদের উৎসাহিত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মাসের এত হিসাব করতেন না। এরপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩২৫)

কাজ গুছিয়ে রাখা
রমজান ইবাদতের মাস। তাই রমজানের আগেই যদি পারিবারিক, ব্যাবসায়িক ও পেশাগত কাজগুলো গুছিয়ে রাখা যায়, তবে রমজানে অধিক সময় ইবাদতে মগ্ন থাকা যাবে। বিশেষত নারীরা সাংসারিক কাজ গুছিয়ে রাখলে তাঁরা ইবাদতে বেশি সময় দিতে পারবেন।

বেশি বেশি রোজা রাখা
শাবান মাসে মহানবী (সা.) অধিক পরিমাণ রোজা রাখতেন। সুতরাং মুমিন ব্যক্তি রোজা রেখে রমজানের প্রস্তুতি নিতে পারেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা পালন করতে দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮)

বিশেষ করে কারো যদি বিগত রমজানে কোনো রোজা কাজা হয়ে থাকে তা আদায় করে নেওয়া উত্তম। তবে মনে রাখতে হবে, নবীজি (সা.) রমজানের এক বা দুই দিন আগে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮১৫)

কোরআন পাঠ ও তাহাজ্জুদ
রমজানে মহানবী (সা.)-এর দুটি প্রিয় আমল ছিল কোরআন তিলাওয়াত ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। রমজানে নবীজি (সা.) তার পরিবারকে তাহাজ্জুদের জন্য ঢেকে দিতেন। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁরা পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬)

জাকাত ও দানের প্রস্তুতি
মহানবী (সা.) রমজানে বেশি বেশি দান করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ০৬)

তাই রমজানে দানের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। যদিও জাকাত প্রদানের নির্ধারিত কোনো মাস নেই। তবু আলেমরা বলেন, রমজানে জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ব্যক্তি অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন।

আল্লাহ সবাইকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দিন। আমিন।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডিকে সরিয়ে দেওয়া হলো
সংবাদের মাধ্যমে ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলা করব: মাহমুদুর রহমান
মিলার ব্যস্ততা
তদবিরমুক্ত মন্ত্রণালয় গড়তে চাই: সচিব কবিরুল ইসলাম