• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

মিশরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

মিশর (কায়রো) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪১
মিশরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন
ছবি : প্রতিনিধি

স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার ৫৩ বছরপূর্তি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রত্যুষে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।

দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সংগীত সহকারে‌ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ।

এদিন দুপুরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির মূল কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানোর পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি প্রদর্শিত হয়।

আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তার বক্তব্যের শুরুতে ৭ মার্চের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংঙালি জাতির সকল শোষণ, নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠার এবং মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার এক গভীর ডাক। এ ডাক ছিল আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আহ্বান। যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুরো জাতি মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ পায়।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সারা বিশ্বে। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।

সামিনা নাজ বলেন, যুগে যুগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিপীড়িত, লাঞ্ছিত স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণা ও উদ্দীপনার উৎস হিসেবে কাজ করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগ্রত থাকবে।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে Memory of the World International Register এর অন্তর্ভুক্ত করায় রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ভাষণটি জাতিসংঘের ৬টি অফিশিয়াল ভাষায় অনুদৃত হওয়া ছাড়াও জাপানী ও ভিয়েতনামী ভাষায় অনুদৃত হয়।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৃঢ় পদক্ষেপে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে চালিত করছেন। গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম
যে দেশে ইসলাম প্রচার করলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড
স্বাধীনতার পর থেকে সব ধর্মের মানুষ বাড়াবাড়ির শিকার হয়েছে: জামায়াত আমির