বাহরাইনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনন্দমুখর পরিবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বিদেশি অতিথি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, উন্মুক্ত আলোচনা এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের এই লাল সবুজের পতাকা খুব সহজেই অর্জিত হয়নি বরং লাখ লাখ শহিদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই স্বাধীনতার পেছনে ছিল বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, দূরদর্শী নেতৃত্ব, অপরিসীম সাহস এবং সঠিক দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট রাষ্ট্রে রুপান্তর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মহিউদ্দিন কায়েস বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যের শেষে প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে দল ও মতের বিবেদ ভূলে একযোগে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা প্রধানমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য আহ্ববান জানান।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় বাহরাইনের বহুল প্রচারিত ইংরেজী Gulf Daily News (GDN) পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের বাণী রয়েছে।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তার বাণীতে বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত নিয়ে আলোকপাত করেন।
এছাড়া বাহরাইনের মহামহিম বাদশা এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী আমাদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বাণী প্রেরণ করেছেন।
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের যারা শাহাদাত বরণ করেছে এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন