গরমের পর বৃষ্টি নিয়েও দুঃসংবাদ
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ওপর দিয়েই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গ্রীষ্ম শেষে আসবে বৃষ্টির মৌসুম বর্ষা এতেও ভুগতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষকে। এ বছর এসব দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ফলে ঝড় ও বন্যা হওয়ার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দি ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা লা নিনার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে এ বছর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে। তবে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে ভিন্নতা দেখা যাবে। এসব অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে।
এদিকে জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বর্তমানে বিরাজমান। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা।
জানা গেছে, আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়ে। অপরদিকে ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন