রাসুল (সা.) বজ্রপাতের সময় যে দোয়া পড়তেন
সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে বজ্রপাতের মৌলিক কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের কৃতকর্মই বজ্রপাতের মৌলিক কারণ। অত্যাচার, নির্যাতন, সুদ, ঘুস, জিনা, ব্যভিচার দুর্নীতি, অশ্লীলতা হেন অপরাধ নেই যা আজ সমাজময় ছড়িয়ে পড়ছে না। পাপের সমুদ্রে আকণ্ঠ ডুবে আছি আমরা। আমাদের কৃতকর্মের কারণেই আজ সর্বত্র বিপর্যয়। বজ্র হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একটি শক্তিশালী নিদর্শন। এর মাধ্যমে তিনি পৃথিবীবাসীকে ধমক দেন। সতর্ক করেন। আল্লাহ তাআলা ‘রাদ’ নামে পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাযিল করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, বজ্র তাঁরই (আল্লাহর) তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তাঁর ভয়ে ফেরেশতারাও (তাসবিহরত আছেন)। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান তারপর যার ওপর ইচ্ছা তাকে বিপদরূপে পতিত করেন। আর তাদের (কাফেরদের) অবস্থা এই যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধেই তর্কবিতর্ক করছে, অথচ তাঁর শক্তি অতি প্রচণ্ড;। (সূরা রাদ : ১৩)।
ইরশাদ হয়েছে, মানুষ নিজ হাতে যা কামায়, তার ফলে স্থলে ও জলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কতক কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন সে জন্য : হয়তো (এর ফলে) তারা ফিরে আসবে। (সূরা রুম, আয়াত : ৪১)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতকে বজ্রপাত থেকে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছেন দোয়া। যারা এ দোয়া পড়বেন, আল্লাহ তাআলা তাদের বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন বা বিদ্যুতের চমক দেখতেন; তখন সঙ্গে সঙ্গে বলতেন- আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা।’ (তিরমিজি)
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না। আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। এর আগেই আমাদের ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করো।
‘মুসান্নাফে আবি শায়বা’য় বজ্রের আক্রমণে মৃত্যু থেকে বাঁচতে ছোট্ট একটি তাসবিহ পড়ার কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ তাসবিহ পড়বেন; তিনি বজ্রপাতের আঘাত থেকে মুক্ত থাকবেন।
তাসবিহটি হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।
মন্তব্য করুন