ভিয়েতনামে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
ভিয়েতনামে আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ উপলক্ষে ভিয়েতনামে বসবাসরত বিভিন্ন পেশা শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে উৎসবের প্রাঙ্গণ-ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনটি।
ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণের প্রথম পর্ব। এতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা, ভিয়েতনামে অবস্থিত প্রবাসি বাংলাদেশিরা এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রদূতের বাসভবন বাংলাদেশ হাউসে এক আনন্দমেলার আয়োজন করা হয়। পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিভিন্ন আলপনা ও রঙে সাজিয়ে তোলা হয় উৎসব প্রাঙ্গন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবারের সমন্বয়ে স্থাপন করা হয় বেশ কয়েকটি স্টল।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমাদের হাজার বছরের গৌরবময় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল পহেলা বৈশাখ। এটা আমাদের প্রাণের উৎসব। আমাদের সংস্কৃতির শেকড়ের সন্ধান দেয় বাংলা নববর্ষ। ফেলে আসা বছরের সুখ-দুখ ভুলে মানুষ নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। এ দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে উৎসবে মেতে ওঠে। এই উৎসব দেশ ও দেশের মানুষকে সারা বিশ্বে তুলে ধরে। তাই জাতীয় জীবনে এ দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বের গভীরতায় উৎসবটি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা আমাদের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও গৌরব । আসুন আমরা সবাই এই দিবসের শিক্ষা নিয়ে সকল অশুভ ও অসুন্দরকে জয় করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় উৎসবের। বাংলাদেশ দূতাবাসের এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিশুদের যৌথ অংশগ্রহণে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের দূতালয় প্রধান নাসির উদ্দীন।
মন্তব্য করুন