• ঢাকা রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
logo

যেসব কারণে শরিকে কোরবানি আদায় হয় না

আরটিভি নিউজ

  ১২ জুন ২০২৪, ২০:৪৬
ফাইল ছবি

কোরবানি শব্দটি আরবি। এর অর্থ ত্যাগ, আত্মোত্সর্গ; নৈকট্য লাভ এবং জবাই করা ইত্যাদি। আর ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় কোরবানির অর্থ হলো, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।

প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর পশু কোরবানি ওয়াজিব। একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেবেন- কেউ উট, কেউ গরু আর কেউ ছাগল। অনেকে সামর্থ্যের অভাবে একা কোরবানি দিতে পারেন না; প্রয়োজন হয় শরিকে কোরবানি দেয়ার। আর শরিকে কোরবানি দিলে মানতে হয় বেশ কিছু নিয়ম।

শরিকের নিয়ত অশুদ্ধ হওয়া

ইসলামি শরিয়তের বিধান হলো- শরিকের মধ্যে শুধু একজনের নিয়তে গন্ডগোল থাকলে কারো কোরবানিই শুদ্ধ হবে না। এ বিষয়ে ফতোয়ার কিতাবগুলোতে বলা হয়েছে, যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে কোরবানি করে, তাহলে তার কোরবানি সহিহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরিকদের কারো কোরবানি হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরিক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮, কাজিখান: ৩/৩৪৯)

এক্ষেত্রে নিয়ত অশুদ্ধের বিষয়টি অন্য শরিকদের অজানা থাকলে তাদের কোরবানি হবে, শুধু তার কোরবানি হবে না। (সুরা বাকারা ২৮৬)

শরিকের কোরবানির অর্থ হারাম হওয়া

জেনেশুনে হারাম উপার্জনকারীকে কোরবানির অংশীদার করলে অন্য শরিকদের কোরবানিও সহিহ হবে না। (সুরা বাকারা ৪২, মুসলিম ১০১৫) তবে, বিষয়টি অন্য শরিকদের অজানা থাকলে তাদের কোরবানি হবে, শুধু হারাম টাকার অংশীদারের কোরবানি হবে না। (সুরা বাকারা: ২৮৬)

শরিকের সংখ্যা নির্ধারণে ভুল

একটি উট অথবা গরু-মহিষে সর্বোচ্চ সাত ব্যক্তি কোরবানির জন্য শরিক হতে পারে। (মুসলিম: ১৩১৮) ইমাম শাওকানি (রহ) বলেন, ‘হজের কোরবানিতে দশ এবং সাধারণ কোরবানিতে সাত ব্যক্তি শরিক হওয়াটাই সঠিক। (নাইলুল আওতার: ৮/১২৬) কিন্তু মেষ বা ছাগলে ভাগাভাগি বৈধ নয়। আবার বড় পশুতে সাতের কমে যেকোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগেও কোরবানি জায়েজ। কিন্তু সাতের অধিক লোকের শরিকে কোরবানি শুদ্ধ নয়। (মুসলিম: ১৩১৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)

ভাগ-বণ্টন ঠিক না হওয়া

কোরবানির পশুতে প্রত্যেক অংশীদারের অংশ সমান হতে হবে। কারো অংশ অন্যের অংশ থেকে কম হতে পারবে না। যেমন কারো আধা ভাগ, কারো দেড় ভাগ। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানি শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭)

অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নেই। পা ও মাথার ক্ষেত্রেও একই বিধান। তবে কেউ যদি নিজের ভাগের অংশ অন্যজনকে দিয়ে দেয়, তাতে সমস্যা নেই (আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৭)

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনের সংকট শুধু মুসলমানদের নয়, সর্বজনীন সমস্যা: ড. ইউনূস
ভারতে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের ঘর-বাড়ি
ভারতে মুসলমানরা নির্যাতিত হলে প্রতিবাদ জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান
হিজবুল্লাহ ও লেবাননকে সাহায্য করা মুসলমানদের জন্য ফরজ: খামেনি