ঢাকাশনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কাবার চাবি রক্ষকের ইন্তেকালে যা বললেন আজহারী

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ , ০৮:৪২ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবাঘরের চাবি রক্ষক ড. সালেহ বিন জাইন আল আবিদিন আল শাইবি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইাহি রাজিউন)। তার ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২২ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি শোক প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন।

পোস্টে আজহারি বলেন, ‘শায়খ সালেহ আল শাইবা আল্লাহ‌র জিম্মায়। তিনি ছিলেন সাহাবি উসমান ইবনে তালহা (রা.)-এর ১০৯তম বংশধর। মক্কা বিজয়ের পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহর চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব যে বংশের ওপর বহাল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ওই গোত্রেরই উত্তরাধিকারী।’ 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আর কিয়ামত পর্যন্ত এই গোত্রের বংশধরদের হাতেই বাইতুল্লাহ‌র চাবি উত্তরাধিকার সূত্রে সংরক্ষিত থাকবে, ইনশা আল্লাহ‌। আল্লাহ‌ ওনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।’

প্রসঙ্গত, রাসুল (সা.) মক্কার ক্ষমতায় আসার আগে জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শায়বা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহার (রা.) কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন। আর বলে দেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’

সেই ধারা এখনো চলমান। উসমান ইবনে তালহা (রা.)-এর বংশধররা পর্যায়ক্রমে চাবি বহন করে আসছেন। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবা ঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।

বিজ্ঞাপন

এ পর্যন্ত অসংখ্যবার কাবার তালা-চাবি পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর সর্বশেষ কাবাঘরের চাবি পরিবর্তন করা হয়। এখনো ওই তালা-চাবি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে আব্বাসী, আইয়ুবী, মামলুক ও ওসমানিয়া যুগে কয়েকবার কাবাঘর মেরামত করা হয়েছে। তখন প্রয়োজনমতো নতুন তালা-চাবিও বানানো হয়েছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |