• ঢাকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
logo

ঔপন্যাসিক আলাউদ্দিন আল আজাদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক

  ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৯


আজ ৩ জুলাই, বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি, নাট্যকার, গবেষক ও অধ্যাপক আলাউদ্দিন আল আজাদের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৩২ সালের ৬ মে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গাজী আব্দুস সোবহান ও মাতা আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৪৭ সালে নারায়ণপুর শরাফতউল্লাহ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৪৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষে অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত হন। তিনি নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজ (১৯৫৫), ঢাকা জগন্নাথ কলেজ (১৯৫৬-৬১), সিলেট এমসি কলেজ (১৯৬২-৬৮) এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ (১৯৬৪-৬৭)-এ অধ্যাপনা করেন। তিনি ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন এক বছর (১৯৭৪-৭৫) এবং পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

আশাবাদী সংগ্রামী মনোভাব তার রচনার বৈশিষ্ট্য। বর্তমান নাগরিক জীবনের বিকার উপস্থাপনেও তিনি বেশ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। তিনি ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। তার প্রথম উপন্যাস তেইশ নম্বর তৈলচিত্র ১৯৬০ সালে ছাপা হয়।

আলাউদ্দিন আল আজাদ একজন শাণিত ভাষার লেখক ছিলেন। তিনি ছিলেন বাস্তব জীবনের রূপকার। বাস্তবতার রূপ পরিগ্রহ করেছে তার ভাষা নির্মাণে। সংস্কৃতাশ্রয়ী শব্দ তিনি পরিহার করেছেন বলা চলে। তিনি প্রধানত মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারের রূপকার। তার গল্প নাতিদীর্ঘ।

তার লেখা উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে, তেইশ নম্বর তৈলচিত্র (১৯৬০), শীতের শেষরাত বসন্তের প্রথম দিন (১৯৬২), কর্ণফুলী (১৯৬২), ক্ষুধা ও আশা (১৯৬৪), খসড়া কাগজ (১৯৮৬), শ্যাম ছায়ার সংবাদ (১৯৮৬), জ্যোৎস্নার অজানা জীবন (১৯৮৬), যেখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৮৬), স্বাগতম ভালোবাসা (১৯৯০), অপর যোদ্ধারা (১৯৯২), পুরানা পল্টন (১৯৯২), অন্তরীক্ষে বৃক্ষরাজি (১৯৯২), প্রিয় প্রিন্স (১৯৯৫), ক্যাম্পাস (১৯৯৪), অনূদিত অন্ধকার (১৯৯১), স্বপ্নশীলা (১৯৯২), কালো জ্যোৎস্নায় চন্দ্রমল্লিকা (১৯৯৬) ও বিশৃঙ্খলা (১৯৯৭)।

গল্পও লিখেছেন বেশ কিছু। ‘জেগে আছি’ তার লেখা প্রথম গল্প। এ ছাড়াও ‘ধানকন্যা’, ‘মৃগণাভি’, ‘অন্ধকার সিঁড়ি’, ‘উজান তরঙ্গে’, ‘যখন সৈকত’, ‘আমার রক্ত স্বপ্ন আমার’, ‘কবিতা’, ‘মানচিত্র’ বাংলা সাহিত্যে তুমুল পাঠকপ্রিয়।

আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, ইউনেস্কো পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আবুল কালাম শামসুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার, আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ স্বর্ণ পদক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কবি ও কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমানের জন্মদিন আজ
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন জাকির তালুকদার