আশুরা কবে, জানা যাবে শনিবার
১৪৪৬ হিজরির পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং আশুরার তারিখ নির্ধারণে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭, ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
আজ পৃথিবী থেকে দেখা যাবে দুটি চাঁদ
মহাকাশে ঘটতে চলেছে এক বিরল ঘটনা। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণশক্তির টানে অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছে চাঁদের মতোই আরও এক উপগ্রহ। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিনি মুন’। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে এই ‘মিনি মুন’। এটি আদতে একটি ছোট গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটির নাম দিয়েছেন ‘২০২৪ পিটি৫’। এটি চাঁদের মতো একেবারে স্থায়ী উপগ্রহ নয়, বরং এটি কিছুদিনের পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আটকে থাকবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত নতুন এই চাঁদকে দেখা যাবে। তবে ‘মিনি মুন’ এতই ছোট এবং আবছা যে খালি চোখে একে দেখা যাবে না। এটি দেখার জন্য পেশাদার সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে। দুরবিন বা হোম টেলিস্কোপেও চোখে ধরা দেবে না এই চাঁদ। কমপক্ষে ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যাবে।
পৃথিবীর আকাশে দ্বিতীয় চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্লোস মার্কোস বলেন, অর্জুন গ্রহাণু বেল্টে থাকা গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে সর্বনিম্ন ২৮ লাখ মাইল দূরত্বে আসতে পারে। এ অবস্থায় ভূকেন্দ্রিক শক্তি দুর্বল হয়ে গ্রহাণুটি পৃথিবীর একটি অস্থায়ী চাঁদে পরিণত হতে পারে। যদিও গ্রহাণুটি পৃথিবীর চারপাশে একটি সম্পূর্ণ কক্ষপথ অনুসরণ করবে না। অনেকটা জানালায় উঁকি দেওয়ার মতো করে চলে যাবে গ্রহাণুটি।
নতুন এই ক্ষুদ্র চাঁদকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিনি-মুন ইভেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, ‘স্বল্প সময়ের জন্য এ ধরনের গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীকে আবর্তন করতে পারে। যেকোনো গ্রহাণুকে মিনি-মুন হওয়ার জন্য পৃথিবীর প্রায় ২৮ লাখ মাইলের কাছাকাছি আসতে হবে। এ অবস্থায় বস্তুটি অস্থায়ীভাবে পৃথিবীর আকর্ষণে আবদ্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছরের ৭ আগস্ট গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এটি পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়ে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হবে। কক্ষপথে ঢুকে প্রদক্ষিণও করবে দুই মাস ধরে। অর্থাৎ পৃথিবীর দুই নম্বর উপগ্রহ সাময়িকভাবে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে। ২৫ নভেম্বরের পরে, এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসবে এবং তারপরে আবার নিজেই কক্ষপথে চলে যাবে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দুই মাসের জন্য এই গ্রহাণু যে শুধু পৃথিবীর উপগ্রহ হয়েই ঘুরবে তা কিন্তু নয়, বিজ্ঞানীদের গবেষণায় বিশেষ সাহায্য করবে এটি। এর দ্বারা তৈরি চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে অনেক নতুন নতুন তথ্যও জানতে পারা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম
আরটিভি/এফআই
মনিটাইজেশন আরও সহজ করছে ফেসবুক
ফেসবুক হলো মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।
এ ছাড়া ফেসবুকে পেজ খুলে অনেকেই ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। আবার অনেকেই ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।
সম্প্রতি দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে, তিন পদ্ধতিতে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। সেগুলো হচ্ছে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস। তবে এসব ব্যবস্থার পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে এ পরিবর্তন।
জানা গেছে, নতুন ব্যবস্থায় ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।
২০২৫ সালে সবার জন্য নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরটিভি/এসএপি
এইচএসসির ফল প্রকাশে নতুন পদ্ধতি
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে। তবে আগের নিয়মে নয়, নতুন পদ্ধতিতে এ ফল প্রকাশ করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষার্থীরা তাদের ফল জানতে পারবেন। তবে অন্যান্য বারের মতো এবার কোনো কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক শিক্ষাবোর্ড থেকে আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, এবার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে না। স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড ফল প্রকাশ করবে। তবে, প্রতিবছরের মতো শিক্ষার্থীরা এবারও এসএমএস, ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে পারবেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় ২২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবলিক পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর হয়ে আসছিল। বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতেন। সেখানে উপস্থিত থাকতেন শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা সংবাদ সম্মেলন করার পর পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারতেন।
আরটিভি/আইএম
বিশ্বের দরিদ্রতম ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ
মাথাপিছু জিডিপির (পিপিপি) ভিত্তিতে ফোর্বস ইন্ডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম ১০টি দেশের তালিকা দিয়েছে। যার বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশের।
ফোর্বস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের হিসাব থেকে এ তালিকা তৈরি করেছে।
এ তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সুদানের নাম। সুদানের মাথাপিছু জিডিপি ৪৫৫ দশমিক ১৬ মার্কিন ডলার।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। এই দেশের মাথাপিছু জিডিপি ৯১৫ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার।
তৃতীয় দরিদ্রতম দেশটি হচ্ছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার।
আর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৫০ মার্কিন ডলার।
এর পরের অবস্থানটি নাইজারের। আফ্রিকার এই দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৭০ মার্কিন ডলার।
তালিতায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মালাউই। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৭১০ মার্কিন ডলার।
আর অষ্টম অবস্থানে রয়েছে লাইবেরিয়া। আফ্রিকার এই দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার।
নবম অবস্থানে রয়েছে মাদাগাস্কার। এই দেশটিও আফ্রিকার। এর মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯৮০ মার্কিন ডলার।
আর দশম অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেন। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরটিভি/এফআই
খাটাশ বিড়াল ও হাতির মল থেকে যেভাবে তৈরি হয় বিশ্বের দামি কফি
আপনি কি জানেন, যে কফি খেয়ে আপনি ক্লান্তি দূর করেন, সেই কফি আসলে বিড়াল কিংবা হাতির মল থেকে তৈরি হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কফির জগতে এমন দুটি অসাধারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি কফি রয়েছে, যা শুধু স্বাদে নয় বরং এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ই লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত পদ্ধতি। এমন দুটি কফি হলো কপি লুয়াক ও ব্ল্যাক আিইভোরি কফি; যা বিশ্বের অন্যতম দামি ও অনন্য কফি হিসেবেও বিবেচিত।
প্রথমে আসি কপি লুয়াকের কথায়। এই কফি ইন্দোনেশিয়ার সিভেট ক্যাট বা খাটাশ বিড়ালের মল থেকে তৈরি হয়। কিন্তু ভাবছেন তা আবার কীভাবে? ইন্দোনেশিয়ার মুসাঙ্গ বা খাটাশ জাতের এই বিড়ালরা মূলত বাগানে পাকা কফি খায়। এই কফি চেরির গায়ে থাকে মিষ্টি মাংসল অংশ, যা বিড়ালদের খুব প্রিয় খাবার। চেরি বীজ, যা আমরা কফি বীজ হিসেবে জানি। তা কিন্তু খাটাশ জাতের বিড়ালের পেটে হজম হতে পারে না। তাই সেটি পেটের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে অক্ষত থাকে এবং মল আকারে বেরিয়ে আসে।
এই বীজ খাটাশের পেটের হজম প্রক্রিয়া কফির তিক্ততা কমিয়ে তৈরি করে এক মোলায়েম স্বাদ। আর যখন এই প্রাণি মলত্যাগ করে, তখন সেই মলের মধ্যে থাকা কফি বীজগুলো সংগ্রহ করে একত্র করা হয়। এসব বীজ পরিষ্কার করে সূক্ষ্মভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই ধাপের পর কফি বীজগুলো শুকিয়ে ভাজা হয়, যা কফির স্বাদকে আরও উন্নত করে। আর এভাবে তৈরি হয় কপি লুয়াক, যা কফিপ্রেমীদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
প্রায় একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় ব্ল্যাক আিইভোরি কফি। তবে এটি বিড়াল নয়, মূলত থাইল্যান্ডে হাতির মল থেকে তৈরি হয়। হাতিরা যখন পাকা কফি চেরি খায়, তখন সেই চেরিগুলোও তাদের হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। হাতির হজম প্রক্রিয়া কফির প্রোটিন ভেঙে দেয়, যার ফলে কফির তিক্ততা কমে স্বাদ হয় আরও মোলায়েম।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাণীদের মল থেকে তৈরি এসব কফির দাম এত বেশি কেন? কারণ এই প্রক্রিয়াগুলো অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। কস্তুরি বিড়াল ও হাতির হজম প্রক্রিয়া কফির স্বাদকে এমনভাবে পরিবর্তন করে, যা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। এ ছাড়া,বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সীমিত পরিমাণে এই কফিগুলো তৈরি করা যায়, যার ফলে এর দাম অত্যন্ত বেশি।
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও কপি লুয়াক এর উৎপাদন হচ্ছে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে। আর ব্ল্যাক আিইভোরি কফি শুধুমাত্র থাইল্যান্ডে তৈরি হয়। যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির একটি হিসেবে স্বীকৃত। এ কফিগুলো শুধু কফি নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। কস্তুরি বিড়াল ও হাতির হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া প্রতিটি কফির কাপ যেন একেকটি গল্প বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত ও মূল্যবান কফির মধ্যে এই দুইটি কফি নিশ্চিতভাবেই আপনার কফি অভিজ্ঞতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে।
মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে জেরার মুখে মিজানুর রহমান আজহারী
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে আটকে দিয়েছে সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশনে তাকে জেরা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিজানুর রহমান আজহারীর নামে অভিযোগ থাকায় তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলেম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
মাওলানা মিজানুর রহমান লিখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা। তবে, কয়েকদিনের মাথায় শুক্রবার ফের দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ার পথে যাত্রা করেন তিনি।
আরটিভি/এসএইচএম
বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর
ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
এরমধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’। বার্তাসংস্থাটি বলেছে, এ বছরের শুরুতে শুরু হওয়া সহিংস আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’ বিবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, ‘হাসিনা সরকার ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার করতে এই আদালত প্রতিষ্ঠা করে। যদিও এটির বিচারকার্য নিয়ে জাতিসংঘসহ অন্যান্যরা প্রশ্ন তুলেছিল। অভিযোগ ছিল, বিরোধী দলীয় সদস্যদের হত্যায় এই আদালত ব্যবহার করা হয়েছে।’
এছাড়া পাকিস্তানের দ্য ডন, মধ্যপ্রাচ্যের গালফ নিউজ, খালিজ টাইমসেও হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারত। যা দিয়ে তিনি চাইলে অন্য দেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ভারতে থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত দিতে হবে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। সেই ট্রাইব্যুনালেই এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন এই আদালতে তারও বিচার হবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন আনা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ১৫ অক্টোবর বিচারিককাজে যোগ দেন। ইতোমধ্যে এই ট্রাইব্যুনালে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে।