রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, দাবি আদায়ে সবার ধৈর্য ধরা দরকার: মুশফিকুল ফজল আনসারী
শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ করেছেন গত ৮ আগস্ট। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যখন তিনি কাঁধে নিয়েছিলেন, তখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্থিরতা।
বিশেষত, পুলিশ বাহিনীতে ভয়াবহ আতঙ্ক ও পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করার অপরাধবোধ নিয়ে অনুশোচনায় ভুগছিলেন তারা। পরবর্তীতে ১২ আগস্ট থেকে অন্তবর্তী সরকারের কঠোর নির্দেশনা ও দেশপ্রেমের জায়গা থেকে কর্মে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা।
নতুন সরকার যখন দেশবিরোধী শক্তির আন্তর্জাতিক নানান ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ব্যস্ত, তখন কিছু মানুষ নানান দাবি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাজপথ দখলে নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় চাকরিরত আউটসোর্সিং কর্মচারী, গ্রাম পুলিশ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবীরা তাদের বিবিধ দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
এর ফলে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। সেইসাথে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
এমন চ্যালেঞ্জিং সময়ে আন্দোলনের বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন হোয়াইট ও পেন্টাগনে প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক, জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা, ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভসের নির্বাহী সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনাসারী।
সকালে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘পলাতক গোষ্ঠী পেয়ে হারানোর বেদনা নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অনেকে আবার না পাওয়ার বেদনায় রুষ্ট। কেউ আবার ঘরে আগুন লেগেছে অথচ সেই আগুনে আলু পোড়া দিয়ে খাওয়ায় মত্ত। আবার অনেক ব্যস্ত গণিমতের মাল সংগ্রহে, কিংবা আপস রফা করে টু-পাইস কামাইয়ে।’
ইতোমধ্যে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের উদ্দেশে এই সাংবাদিক বলেন, ‘একদল দাবিদাওয়া নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন।’
প্রশ্ন রেখে তিনি লিখেছেন, ‘কোথায় ছিল এরা এতদিন? গর্ত থেকে বেরিয়ে হঠাৎ অতি বিপ্লবী! কেবল নিজেদের সুবিধা আদায়ের জন্য? বুঝলাম, বঞ্চনার শিকার। সময় দিন, ধৈর্য ধরুন। সময়তো আর চলে যাচ্ছে না! মাসুম বাচ্চাদের রক্তের দাগ শুকায়নি আর আপনারা নেমে পড়েছেন হিস্যা আদায়ে? ছাত্ররা এখনও লক্ষ্যে স্থির এবং সংকল্পে অটুট। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ তাদের দিয়েই সম্ভব। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনো কিছুই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না যায়।’
মন্তব্য করুন