কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রাকিব উল্লাহ
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) মো. রাকিব উল্লাহ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
নিয়োগের শর্তে বলা হয়, তিনি সরকার অনুমোদিত বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য ভাতা প্রাপ্য হবেন।
অন্যদিকে, অপর আদেশে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মামুন-উল হককে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অবমুক্ত করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
এমন শীত আরও যতদিন থাকতে পারে
রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার দাপটে নেই সূর্যের দেখা। তারমধ্যে বইছে হিমেল বাতাস। এতে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আরও কয়েক দিন এমন অবস্থা থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, আগামী দুই থেকে তিনদিন এমন শীত ও কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর কিছুটা কমে আবার বাড়তে পারে।
আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ অবস্থায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়ার মাসব্যাপী (জানুয়ারি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
এ ছাড়া চলতি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, জানুয়ারিতে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি এবং দেশের অন্যত্র দুটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আরটিভি/আরএ/এস
শৈত্যপ্রবাহ কবে শুরু, জানালেন আবহাওয়াবিদ
জানুয়ারির শুরুতেই হিমেল বাতাসে শীতে জবুথবু রাজধানীসহ সারাদেশ। চলতি মাসে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে চলতি মাসের দশ তারিখের দিকে বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের মুখোমুখি হতে পারে দেশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ।
তিনি জানান, দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় রাজধানীর তাপমাত্রা বেশি হলেও হিমেল বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও সামান্য পরিমাণ কমতে পারে। এদিকে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে তাতে শীতের অনুভূতি কমবে না। একই থাকার সম্ভাবনা আছে। এরপর শনিবার কনকনে এ বাতাস কমে আসলে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমতে পারে। এই মাসের দশ তারিখের দিকে বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের মুখোমুখি হতে পারে দেশ।
এদিকে আবহাওয়ার মাসব্যাপী (জানুয়ারি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, জানুয়ারিতে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি এবং দেশের অন্যত্র দুটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আরটিভি/এসএপি/এস
সূর্যের দেখা মিলতে পারে যেদিন
রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশায় দিনভর মেঘাচ্ছন্ন থাকছে আকাশ। সন্ধ্যা নামতেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এমন পরিস্থিতে সুখবর দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, চলমান শীতের প্রকোপ শনিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে কমে আসবে। একইসঙ্গে এদিন সূর্যের দেখাও মিলতে পারে। দিন-রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আরও বলেন, রাজাধানীতে কবে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (৮ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া এ সময়ে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে। একইসঙ্গে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আরটিভি/আরএ/এআর
চলতি বছর গরম নিয়ে দুঃসংবাদ
২০২৪ সালের রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন আরও বাড়িয়ে দেবে।
সম্প্রতি আবহাওয়ার পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্কতা জারি করে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউওমও)। খবর ডয়েছে ভেলের।
ডব্লিউওমও জানিয়েছে, ২০২৪ সালে সবচেয়ে উষ্ণ বছরের সাক্ষী হয়েছিল বিশ্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে ২০২৫ সালটিও ইতিহাসের তিনটি উষ্ণতম বছরের একটি হতে চলেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো ২০২৫ সালেও প্রচণ্ড গরম পড়তে হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা এক দশক ধরে মারাত্মক তাপ অনুভব করেছি। ২০২৪ সহ গত দশ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী থেকেছি। ২০২৫ সালে পরবর্তীতে কী হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে সমস্ত মানুষের জন্য আরও শান্তিপূর্ণ, সমান, স্থিতিশীল এবং সুস্থ ভবিষ্যৎ তৈরি করার প্রয়াস চলতেই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ধ্বংসের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের হারানোর সময় নেই। ২০২৫ সালে, অনেক দেশের নির্গমন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের নিরাপদ পথে যেতে হবে।’
ডব্লিউএমও সেক্রেটারি-জেনারেল সেলেস্তে সাওলো বলেন, ‘তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধিও চরম আবহাওয়াকে আরও সাধারণ এবং বিপজ্জনক করে তুলেছে। সেক্রেটারি-জেনারেল হওয়ার প্রথম বছরেই আমি জলবায়ু সংক্রান্ত রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। ২০২৫ সালে ডব্লিউএমও-এর ৭৫ তম বার্ষিকী। এমন পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে সুরক্ষিত রাখতে নিজেকেই পদক্ষেপ করতে হবে, এটা সবার দায়িত্ব, এটা বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব।’
প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন এবং ক্লাইমেট সেন্ট্রালের একটি নতুন রিপোর্টে ২০২৪ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের ২৯টি চরম আবহাওয়ার ঘটনার মধ্যে ২৬টিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। এসব ঘটনায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৩৭০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
টানা দুই দিন বৃষ্টির আশঙ্কা
শনিবার উঁকি দেয় সূর্য, আজও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রোদের দেখা মেলায় বেড়েছে তাপমাত্রা। সোমবারও দেশের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে পরের দুদিন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া অফিসের দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে তবে, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের উত্তারাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, রাত এবং দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ববঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
রিলস, শর্টস কিংবা টিকটকে আসক্তদের জন্য দুঃসংবাদ!
অনেকেই ইন্সটাগ্রামের রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে দেখতে পার করে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যা আপনার কোনো কাজেই লাগবে না, তাও এই রিলস দেখার নেশা যেনো ছাড়তেই পারছেন না। কিন্তু জানেন কি, এ আসক্তি কখনো কখনো ভয়ংকর হতে পারে? সোশ্যাল মিডিয়ার এমন নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখতে দেখতে নিজের মস্তিষ্কের ১২টা( hook) বাজিয়ে দিচ্ছেন। আর এমন আসক্তিকে বলা হয় ব্রেইন রট প্রবণতা (give hook text)। চলুন আরও ভালো করে জেনে নেওয়া যাক।
'ব্রেইন রট' বলতে মূলত অত্যধিক নিম্নমানের অনলাইন কন্টেন্ট দেখার উদ্বেগজনক প্রভাবকে বোঝায়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘ব্রেইন রট’ কীভাবে আমাদের জীবনে এতো প্রভাব ফেলছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার কমিউনিটিতে ছড়ায়। একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ ইনস্টাগ্রাম রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখা শুরু করলে, মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা (hook text) কমে যেতে থাকে। এটি শুধু মানসিক চাপই বাড়ায় না, বরং অবচেতনভাবে ব্যক্তির আচরণেও পরিবর্তন আনে।
সম্প্রতি ‘ব্রেইন রট’ শব্দটি উঠে এসেছে অক্সফোর্ড ডিকশনারির ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ (hook text) হিসেবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় শব্দটির ব্যবহার ২৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই শব্দের জনপ্রিয়তা সময়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এটি দেখায় কীভাবে মানুষ তাদের সময় কাটায়? আর কীভাবে ভার্চুয়াল জীবন মানুষকে প্রভাবিত করে।
তবে জেনারেশন জেড এবং জেনারেশন আলফার মধ্যে এই শব্দটির ব্যবহারে বিশাল বৃদ্ধি দেখা গেছে।
তবে ব্রেইন রট শব্দটির ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৫৪ সালে হেনরি ডেভিড তার বই ‘ওয়ালডেন’-এ প্রথম এটি ব্যবহার করেন। তখনও শব্দটির অর্থ ছিল—মানুষের মানসিক দক্ষতার অবনতি। তবে এখনকার যুগে এটি মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার নিম্নমানের কন্টেন্টের প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, কলিন্স ডিকশনারি ২০২৪ সালের তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ‘ব্র্যাট’ শব্দটি নির্বাচন করেছে। যার মানে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন মনোভাব। এই দুটি শব্দই আধুনিক সমাজের অনলাইন জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রতিফলিত করে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
আরটিভি/এফআই
ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে যতদিন
আবারও আসছে হাড়কাঁপানো শীত। আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ফলে কয়েকদিন বিরতি থাকার পর দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। যা সপ্তাহজুড়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার থেকে রাজধানীতে আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিনের তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে। এ সময় কুয়াশা বেশি থাকায় দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা পাওয়া যাবে না। ফলে শীতের অনুভূতিও বাড়বে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। দেশের অন্যান্য জেলায়ও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।
আবহাওয়াবিদেরা জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাসের প্রবাহ ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো পেরিয়ে পূর্ব দিকে আসছে। বুধবার সকাল থেকে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে। ফলে এদিন সকাল থেকে আবারও দেশের ওপর দিয়ে কুয়াশাযুক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু করবে।
তারা জানান, আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়াও যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
আরটিভি/এফএ/এআর