বন্ধু মিডিয়া ফেলোশিপ পেলেন আবদুল্লাহ মজুমদার
বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের বার্তাকক্ষ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির (বন্ধু) মিডিয়া উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমে মিডিয়া ফেলোশিপ ২০২৪-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ৩০ আগস্ট আবদুল্লাহকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কথা জানানো হয়।
আবদুল্লাহ মজুমদার ইতোপূর্বে বিভিন্ন বিভিন্ন বাংলা দৈনিক, অনলাইন ও ইলোক্ট্রনিক গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। গবেষণা সহযোগী হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুর গ্রামের মৌলভী বেলাল মজুমদার ও জোসনা আক্তারের প্রথম সন্তান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার।
মন্তব্য করুন
বজ্রসহ ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী তিনদিন দেশের অধিকাংশ স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরদিন রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি এই সময়েও সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যদিকে আগামী সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়েও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এ ছাড়া বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারাদেশে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ঘোষণা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘোষণা দেন তারা।
চিকিৎসকরা জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ দুটি দাবিই মানতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। দুই দফা দাবি না মানায় এর সঙ্গে আরও ৬ দফা দাবি যুক্ত করেন তারা।
কর্মসূচি নিয়ে দুপুর ২টার পর ব্রিফ করা হবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
এর আগে, সকাল থেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে ও হামলার বিচার চেয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গতকাল (৩১ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধর করে অজ্ঞাত কিছু তরুণ। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
তবে আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকরা।
চাঁদ দেখা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের আকাশে রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে। এজন্য বৃহস্পতিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত হবে। বাংলাদেশে এদিন সাধারণ ছুটি।
মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হয়রত মুহম্মদ (স.) এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। কারণ, এ দিনে বিশ্বনবী ইন্তেকালও করেন।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন মহানবী। তার আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালই মহানবী (স.) মৃত্যুবরণ করেন।
ফের বন্যার শঙ্কা, প্লাবিত হতে পারে যেসব জেলা
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মাত্রই কয়েকদিন আগে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে পূর্বাঞ্চল; বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ ১১টি জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ। এই বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নতুন করে শঙ্কা জাগাচ্ছে আরেকটি বন্যা।
চলতি মাসের শেষদিকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি আকস্মিক বন্যার কবলে পড়তে পারে উত্তরাঞ্চল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১০-১৫ দিনের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও সেপ্টেম্বরের শেষদিকে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাশাপাশি এ বন্যা গ্রাস করতে পারে উত্তরাঞ্চলকে। এর মধ্যে অন্যতম লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, নওগাঁ ও দিনাজপুর জেলা।
তবে, এবারের বন্যাটি হতে পারে স্বল্পমেয়াদি। আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে বন্যা হতে পারে কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলেও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষদিকে নদ-নদীগুলোর পানি বাড়তে পারে। তবে এ মুহূর্তে বলতে পারি, বন্যার তেমন ঝুঁকি নেই। আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস তিন দিন আগে দেওয়া যেতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে এটি কম-বেশিও হতে পারে।
পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, দিন হবে ২৫ ঘণ্টায়
কয়েক দশক আগেই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছিলেন পৃথিবী থেকে চাঁদ ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ফের জানালেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বাড়ছে এবং তা এভাবে বাড়তে থাকলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়বে। তবে তা কয়েক মিনিট নয়, পুরো ১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা থেকে বেড়ে হবে ২৫ ঘণ্টা। যদিও সেই দীর্ঘ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ২০ কোটি বছর।
সম্প্রতি নতুন এই গবেষণার প্রতিবেদন জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাওয়ায় মহাকর্ষীয় প্রভাবের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি কমে যাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর দিনের সময় ধীরে ধীরে বাড়ছে। দিনের সময় বাড়ার এই হার সেকেন্ডের ভগ্নাংশতম হওয়ায় সাধারণভাবে বোঝা যায় না। এভাবে চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে দিন ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন মেয়ার্স বলেন, ‘চাঁদ প্রতিবছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ, আমাদের গ্রহের চারপাশ অতিক্রম করতে চাঁদের বেশি সময় লাগছে। চাঁদ দূরে সরে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিও কমে যাচ্ছে। এমন এক সময় আসবে, যখন চাঁদ একটি স্থিতিশীল দূরত্বে পৌঁছে যাবে। তখন শুধু আমাদের গ্রহের এক দিক থেকে চাঁদ দেখা যাবে।’
গবেষকরা বলছেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের বর্তমান দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। এখন চাঁদ প্রতি বছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। চাঁদের এই দূরে চলে যাওয়াই পৃথিবীতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ১৪০ কোটি বছর বছর আগে চাঁদ কাছাকাছি থাকার কারণে পৃথিবীতে ১৮ ঘণ্টায় এক দিন হতো। চাঁদ ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে। চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, তখন এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমুদ্রের পানির ওপর টান তৈরি করে, যা আংশিকভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে ধীর করে দিচ্ছে। পৃথিবীর জড়তা চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ থেকে শক্তিশালী। পৃথিবী ও চাঁদের টানাটানিতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। আবার পৃথিবী তার অক্ষের ওপর চাঁদের কক্ষপথের চেয়ে অনেক দ্রুত ঘোরে। এসব কারণে পৃথিবীর গতি ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে।
জলবায়ুপরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণও পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিতে প্রভাব ফেলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরু বরফ আগের চেয়ে দ্রুত গলে যাচ্ছে। পৃথিবীর মহাসাগরে পানির পরিমাণ বাড়ছে। সব গলে যাওয়া পানি পৃথিবীর মেরু থেকে ধীরে ধীরে বিষুবরেখার দিকে চলে যায়। যেখানে মহাসাগরের ওপরে চাঁদের আকর্ষণ বেশি। এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন আরও ধীরগতির হচ্ছে। এসব পরিবর্তন কোটি কোটি বছর ধরে চললে পৃথিবীর দিনের সময়ে বাড়তি এক ঘণ্টা যোগ হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ৯ কোটি বছরের পুরোনো একটি পাথরের ভূতাত্ত্বিক গঠনের ওপর বেশ কয়েক বছর ধরে গবেষণা চালানো হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে চাঁদের ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ার প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর ওপর। এই ফলাফলই গাণিতিক হিসাব কষে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই থিওরি এখনো পুরোটাই গবেষণার স্তরে এবং সেটিও একটি ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
যেসব কারণে ফেসবুক পোস্টের রিচ কমিয়ে দেয়, বাড়াবেন যেভাবে
ফেসবুক পোস্টের রিচ কমে যাওয়া মানে কোনো ছবি, ভিডিও বা স্ট্যাটাস ফ্রেন্ড ও ফলোয়ারদের ফিডে না পৌঁছানোকেই বোঝানো হয়। এর ফলে লাইক, কমেন্ট আগের তুলনায় কমে যায়। ২০২৩ সাল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এমন অভিযোগ করছেন। তবে জেনে অবাক হবেন যে, ফেসবুক নিজেই রিচ কমিয়ে দেয়।
যেসব কারণে ফেসবুক রিচ কমিয়ে দেয়
ফেসবুক প্রতিনিয়ত অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে আসে। আর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির এসব পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবহারকারীরা জানতেই পারেন না। এখানে দুটি প্রশ্ন সামনে আসে। প্রথমটি, ফেসবুক অ্যালগরিদম কী? দ্বিতীয়টি, কোন পোস্ট কত রিচ হবে, তা এই অ্যালগরিদম কীভাবে নির্ধারণ করে?
ফ্রেন্ড-ফলোয়ারদের ফিডে একটি পোস্ট কতটুকু রিচ করবে তা ফেসবুক ৪টি প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করে। যাকে কনটেন্ট বা পোস্ট র্যাংকিং বলে। সেগুলো হলো-
১. কনটেন্টের উৎস: পোস্ট করা কনটেন্টটি ব্যবহারকারীর নিজের তৈরি কি না এবং কনটেন্টটির প্রকৃত উৎস কী? এসব দেখে ফেসবুক। ব্যবহারকারীর ফিডে ফেসবুক সেসব পোস্টই দেখায়, যেসব পোস্ট ব্যবহারকারীর ফেসবুক ফ্রেন্ড কিংবা তারা যাদের ফলো করে তাদের। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারী যেসব পেজ ফলো করে, সাধারণত সেসব কনটেন্টই তার ফিডে বেশি দেখতে পায়।
২. কনটেন্টের ধরন: কনটেন্টটি লাইভ, ভিডিও, ছবি নাকি স্ট্যাটাস? ব্যবহারকারী যে ধরনের কনটেন্ট বেশি দেখে বা ইন্টার্যাক্ট করে (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার), ওই ধরনের পোস্ট তার ফিডে বেশি দেখায় ফেসবুক। ব্যবহারকারী যদি ভিডিও বেশি দেখে, ফেসবুক তার ফিডে বেশি বেশি ভিডিও দেখাবে, যদি ছবি বেশি দেখে, তাহলে ছবি দেখাবে।
৩. কনটেন্ট এনগেজমেন্ট: বন্ধুতালিকায় বা পেজে বেশি এনগেজমেন্ট হওয়া পোস্টগুলোই ব্যবহারকারীর ফিডে বেশি দেখায়। যেমন বন্ধুতালিকায় থাকা বন্ধুদের যেসব পোস্টে এনগেজমেন্ট বেশি, সেসবই ব্যবহারকারীর ফিডে বেশি দেখাবে।
৪. কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড: পোস্ট শেয়ারের ক্ষেত্রে ফেসবুকের একটি সুর্নির্দিষ্ট ও লিখিত নির্দেশিকা আছে (ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস)। এমন কোনো পোস্ট, যেটি এই নির্দেশিকা অমান্য করে, সেসব পোস্ট ফিডে কম দেখাবে। ফেসবুকের ভাষায় যেটিকে বলে ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস ভায়োলেশন’। নির্দেশিকাটি ফেসবুকের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
অ্যালগরিদম অনুযায়ী, চলতি বছর ফেসবুক রিচের ক্ষেত্রে লাইভ ভিডিও, রিলস, ভিডিও, ছবিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। অর্থাৎ এ ধরনের কনটেন্টের চাহিদা বেশি এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে বেশি বেশি পৌঁছাবে। এছাড়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ফেসবুক সব সময় চায়, ব্যবহারকারীরা প্রকৃত, নির্ভরযোগ্য ও তথ্যপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করুক।
ফেসবুক পোস্টের রিচ বাড়াতে করণীয়
কনটেন্টের মান ও যাচাই: প্রোফাইল বা পেজে কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছেন, তা খেয়াল রাখুন। বন্ধুতালিকা ও ফলোয়ারের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট শেয়ার করুন। যেকোনো তথ্য, ছবি, ভিডিও শেয়ার করার আগে সেটির সত্যতা যাচাই করা জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভ্যস্ত হওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে অনেককেই ‘ফোমো’ বা ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ সমস্যায় পেয়ে বসেছে। অর্থাৎ আমরা অনেকেই কিছুক্ষণ ফেসবুকে না থাকলে মনে করি, ‘আরে, আমি তো ফেসবুকে নাই, এখন কী না কী হয়ে যাচ্ছে! মানুষ না জানি কত কিছু শেয়ার করে কত লাইক-কেমন্ট-শেয়ার পাচ্ছে!’ অর্থাৎ এই ফোমোর কারণে অনেকেই যাচাই–বাছাই না করেই কিছু একটা পোস্ট করে বসেন। এ ধরনের পোস্ট চিহ্নিত করার জন্য ফেসবুক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বও দিয়েছে, যাদের বলা হয় ‘ফ্যাক্ট চেকার’। তাই কিছু পোস্ট করার আগে তথ্য যাচাই অত্যন্ত জরুরি। তথ্য যাচাইয়ের জন্য গুগল, কোনো সংবাদমাধমের খবর হলে সেই প্রতিষ্ঠানের ভ্যারিফায়েড পেজ বা ওয়েবসাইট, ছবির ক্ষেত্রে গুগল লেন্স, রিভার্স ইমেজ সার্চ ইত্যাদি ব্যবহার করা।
প্রোফাইল বা পেজ হেলথ: পোস্ট রিচ ও এনগেজমেন্ট বেশি হওয়ার জন্য ব্যক্তির প্রোফাইল বা পেজের ‘স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা’ বজায় রাখা জরুরি। কিছু অসাধু ব্যক্তি বা সংগঠন ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়ায়। এ ধরনের পোস্ট শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ভুয়া প্রোফাইলকে বন্ধুতালিকায় যুক্ত করা যাবে না। ফেসবুক অ্যালগরিদম এ ধরনের ভুয়া তথ্য বা বন্ধুতালিকায় থাকা ভুয়া প্রোফাইল নিয়মিত চিহ্নিত করে এবং সেসব প্রোফাইল বা পেজের রিচ কমিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে বাংলা প্রবাদ ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সর্বনাশ’ কিংবা ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’ একেবারে জুতসই।
যা থাকছে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো-সিলেবাসে
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন কারিকুলামের বই পড়ানো হচ্ছে। তবে অভিভাবকদের দাবির মুখে এ কারিকুলাম বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন কারিকুলামে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে এর আগের কারিকুলামের নিয়মে। তবে পাঠ্যবই থাকবে নতুন কারিকুলামেই।
দুই কারিকুলামের সমন্বয়ে ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো ও সিলেবাস কেমন হবে, তা প্রস্তুত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। খসড়া এ প্রশ্নকাঠামো এবং সিলেবাস সম্পর্কে মতামত ও অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর দু-এক দিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এনসিটিবি চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো সিলেবাস প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠিয়েছে। মতামত পেলে আশা করি দু-এক দিনের মধ্যেই সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো প্রকাশ করা হবে।
এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পর্যায়ে তা ছিল অভিজ্ঞতানির্ভর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগের শিক্ষাক্রমের আদলের শিক্ষায় ফিরে গিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অভিজ্ঞতানির্ভর শিক্ষার বইয়ের কোন কোন অংশ থেকে প্রচলিত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা খুঁজে বের করে আমরা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস প্রস্তুত করেছি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আদলে। প্রতিটি বিষয়ে ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্নের সমন্বয়ে প্রশ্নকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষক ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার করে সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামোর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এএ/এসএ