• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo

রায় উপেক্ষিত, সাত বছরেও গেজেটভুক্ত হতে পারেননি ২২৫ প্রধান শিক্ষক

আরটিভি নিউজ

  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৯
ছবি: সংগৃহীত

উচ্চ আদালতের রায়ের পরও গেজেটেড কর্মকর্তা হতে পারেননি পিএসসির সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২৫ প্রধান শিক্ষক।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলির কারণে গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা গেজেটভুক্ত হতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অনেকেই আশ্বাস দিলেও এখনও তারা অধিকার থেকে ‘বঞ্চিত’। তারা দ্রুত এ অবস্থার অবসান চান।

এসব শিক্ষক ৩৪তম বিসিএসের নন-ক্যাডার হিসেবে ২০১৭ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন। গত সাত বছর ধরে তারা গেজেটভুক্ত হতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে ঘুরছেন।

শিক্ষকরা বলছেন, ক্যাডার পদের স্বল্পতার কারণে ৩৪তম বিসিএস থেকে ২০১৬ সালে নন-ক্যাডার পদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। এ ক্ষেত্রে নিয়োগবিধি ২০১০ (সংশোধিত ২০১৪) অনুযায়ী, প্রথম অথবা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদে পদায়নের সুপারিশ করার কথা ছিল। কিন্তু নিয়ম ভেঙে সরাসরি তৃতীয় শ্রেণি ও নন-গেজেটেড পদে প্রধান শিক্ষকদের পদায়নের সুপারিশ করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

জানা গেছে, ৩৪তম বিসিএস থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (১০ গ্রেডের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ) এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কেমিস্ট ও পরিদর্শক (১০ গ্রেডের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তরা প্রধান শিক্ষকদের পরের মেধা তালিকায় ছিলেন। নিয়োগ পরে হলেও তারা ৯ বছরের মধ্যে নবম গ্রেডের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হবেন। বিপরীতে নামে দ্বিতীয় শ্রেণি হলেও, প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন এবং পরে তাদের সরাসরি পদোন্নতির আর কোনো সুযোগ নেই।

৩৪তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রধান শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নওগাঁ সদরের খাস নওগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাউল হক বলেন, এ বৈষম্যটি পিএসসি, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর স্বীকার করলেও সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না। বরং দায়িত্ব এক প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। সর্বশেষ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ বৈষম্য নিরসনে একটি নির্দেশনা দেন। তবুও তা দীর্ঘদিন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।

তিনি বলেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও আমরা নন-ক্যাডার ২০১৪ নিয়োগবিধি অনুযায়ী শুধু সাংবিধানিক প্রাপ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ চেয়েছি, এর বেশি কিছু নয়। এটা সুস্পষ্ট, আমরা যারা কর্মরত, তার চেয়ে প্রায় চার গুণ দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ শূন্য রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ‌ফরিদ আহাম্মদ বলেন, নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা হাইকোর্টে যে আবেদন করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে পিএসসির চেয়ারম্যানকে তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পিএসসি অর্থ বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাতে পারে। আমরাও চাই, এই প্রধান শিক্ষকরা যেন দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দশম গ্রেড পান।

ভুক্তভোগী আরেক প্রধান শিক্ষক মো. সজিবুল হাসান বলেন, উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায় থাকা সত্ত্বেও বৈষম্য নিরসন করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের-বিপিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষকরা যে রিট করেছেন, সেটি এখানে (দপ্তরে) এসে পৌঁছেছে। এটা নিয়ে কার্যক্রম চলমান আছে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট, শিক্ষকসহ ৩ জন হাসপাতালে
হাতিয়ায় অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
আবু সাঈদ হত্যা: হঠাৎ আলোচনায় বেরোবি শিক্ষকের ফেসবুক পোস্ট
মারা গেছেন ইবি শিক্ষক ড. মুঈদ