দেশের ৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, হুঁশিয়ারি সংকেত
দেশের চার অঞ্চলে সকালের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যশোর, ঢাকা, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চল সমূহের অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন
মানুষের ভাগ্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে
ভাগ্যে বিশ্বাস করা ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না। আর ভাগ্যে বিশ্বাস করার অর্থ হলো, এটা বিশ্বাস করা যে জীবনের ভালো ও মন্দ, আনন্দ ও দুঃখ, জীবিকা ও সম্পদ, জীবন ও মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। ভাগ্য আল্লাহর এক রহস্যময় জগৎ। এই জগৎ সম্পর্কে আল্লাহ কাউকে অবগত করেননি।
তাফসিরবিদরা বলেন, ভাগ্য সেসব বিষয়ের একটি যেগুলোর ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, অদৃশ্য সম্পর্কে তোমাদেরকে আল্লাহ অবহিত করার নয়; তবে আল্লাহ তাঁর রাসুলদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৯)
কোরআনের বর্ণনায় ভাগ্য:
ভাগ্য সম্পর্কে মানুষ ততটুকু জানে, যতটুকু আল্লাহ কোরআন ও তাঁর নবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন। নিম্নে ভাগ্য বিষয়ে কোরআনের বর্ণনা তুলে ধরা হলো—
১. আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত : মানুষের ভাগ্যের ভালো ও মন্দ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আল্লাহ বলেন, আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে, আমার আদেশ তো একটি কথায় নিষ্পন্ন, চোখের পলকের মতো। (সুরা : কামার, আয়াত : ৪৯-৫০)
২. ভাগ্য অনিবার্য : আল্লাহ মানুষের জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই; আল্লাহ সব কিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা। (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩)
৩. ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত : মানুষের ভাগ্যে যা ঘটে তা পূর্ব থেকেই আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন। ইরশাদ হয়েছে, পৃথিবীতে অথবা ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের ওপর যে বিপর্যয় আসে আমি তা সংঘটিত করার আগেই তা লিপিবদ্ধ থাকে। আল্লাহর পক্ষে এটা খুবই সহজ। (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২২)
৪. ভাগ্য জীবনে সংযম আনে : ভাগ্য মানুষের জীবনকে সংযত করে। আল্লাহ বলেন, এটা (ভাগ্য নির্ধারণ) এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার জন্য হর্ষোত্ফুল্ল না হও। আল্লাহ পছন্দ করেন না উদ্ধত ও অহংকারীদের। (সুরা : হাদিদ, আয়াত : ২৩)
৫. ভাগ্য অনুসারেই সব হয় : আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব কিছু সংঘটিত হয়। আর আল্লাহ তা পূর্ব থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত, তাঁর অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে (ভূগর্ভের অন্ধকার স্তরে) এমন কোনো শস্যকণাও অংকুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোনো বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নাই। (সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৯)
মুমিনের ভাগ্যে বিশ্বাস যেমন হবে:
আবু আবদুল্লাহ ইবনে দায়লামি (রহ.) বলেন, আমি উবাই বিন কাব (রা.)-এর কাছে এসে তাকে বললাম, তাকদির সম্পর্কে আমার মনে একটা দ্বিধার উদ্রেক হয়েছে। তাই আপনি আমাকে এমন কিছু বলুন যাতে মহান আল্লাহ আমার মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করবেন।
তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তার আসমান ও পৃথিবীবাসী সবাইকে শাস্তি দিতে পারেন। তার পরও তিনি তাদের প্রতি অন্যায়কারী হবেন না। পক্ষান্তরে তিনি যদি তাদের সবাইকে দয়া করেন তাহলে তার এই দয়া তাদের জন্য তাদের নেক আমল হতে উত্তম হবে। সুতরাং যদি তুমি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে দান করো আর তাকদিরে বিশ্বাস না রাখো, তবে তা গ্রহণ করা হবে না যতক্ষণ না তুমি পুনরায় তাকদিরে বিশ্বাস করবে এবং উপলব্ধি করবে যে, যা তোমার ঘটেছে তা ভুলেও তোমাকে এড়িয়ে যাওয়ার ছিল না। আর যা এড়িয়ে গেছে তা কখনো ভুলেও তোমার বেলায় ঘটার ছিল না। আর এ বিশ্বাস ছাড়া তুমি মারা গেলে জাহান্নামে যাবে। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৬৯৯)
মুমিন ভাগ্যে সন্তুষ্ট থাকে:
ভাগ্যের ভালো ও মন্দের ব্যাপারে মুমিন সন্তুষ্ট থাকে। কখনো তাকে অপছন্দের কোনো বিষয় স্পর্শ করলেও সে তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে না। কেননা আল্লাহর নির্দেশ হলো, ‘তিনি (আল্লাহ) যা করেন সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা যাবে না, বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২৩)
আরটিভি/একে
২০২৫ সালে ‘শনিবারও স্কুল খোলা’ প্রসঙ্গে যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘২০২৫ সাল থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকবে’ এমন একটি তথ্য ভাইরাল হয়েছে। তবে তথ্যটি সঠিক নয়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান বলেন, শনিবার স্কুল খোলা থাকবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। এখনো সেটি বহাল আছে। আগামী বছর থেকে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে, এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে গুজবটির তথ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকা জরুরি। সরকারি অফিসে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন হলে স্কুলেও সেটা থাকতে হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি
মৃত মানুষকে জীবিত করতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা!
তাহলে কি সত্যিই দাজ্জালের আবির্ভাব হয়ে গেছে ! সত্যিই কি সেই সময় চলে এসেছে যখন মৃত মানুষকে জীবিত করে দেখাবে দাজ্জাল! সহিহ মুসলিমের বলা আছে, দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করতে পারবে এবং তাকে অলৌকিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। যা হবে কেয়ামতের সবচেয়ে বড় আলামতগুলোর একটি।
কয়েক বছর আগেও এমন কিছু শোনা ছিল অসম্ভব! মৃতদেহ জীবিত করার কথা ভাবলেই মনে হয় গল্পের বইয়ের কল্পনা। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন। বিজ্ঞানীরা এমন এক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে পাল্টে দিতে পারে।
আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এমন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা দিয়ে তারা দাবি করছেন মৃত দেহকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হতে পারে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বাস্তবেই এমন কিছু গবেষণা চলছে। ক্রায়োনিক্স (Cryonics) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ বা মস্তিষ্ককে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে সেই দেহকে জীবিত করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত Alcor Life Extension Foundation ও মিশিগানের Cryonics Institute এরা এই পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল।
এরমধ্যে Alcor Foundation প্রতিষ্ঠিত ১৯৭২ সালে, আর Cryonics Institute গড়ে ওঠে ১৯৭৬ সালে। এরা শতাধিক মৃতদেহ এবং মস্তিষ্ককে সংরক্ষণ করছে, সেসব দেহের ভবিষ্যতের পুনরুজ্জীবনের আশায়। এই গবেষণা প্রচেষ্টা যতই এগিয়ে চলেছে, ততই প্রশ্ন উঠছে—এটা কি আদৌ সম্ভব?
এই গবেষণা প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদিন এমন প্রযুক্তি তৈরি করা, যা দেহের সমস্ত কোষকে পুনরায় কার্যক্ষম করতে পারবে। কিন্তু এখানে এক বড় প্রশ্ন থেকেই যায় এই গবেষণা কতটা সফল হবে?
বিজ্ঞানীরা যতই দাবি করুন না কেন, অনেকেই মনে করেন, এটি দাজ্জালের প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। সহিহ মুসলিমের হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, দাজ্জাল মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করবে এবং বিভ্রান্তিকর কৌশল ব্যবহার করে তাদের আকৃষ্ট করবে। তার মধ্যে একটি বড় পরীক্ষা হবে মৃত মানুষকে জীবিত করার মতো অলৌকিক ক্ষমতা দেখানো। এমন ক্ষমতা যে শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে, ইসলামি বিশ্বাসে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তাই কোনও ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করাই শ্রেয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে কেবলমাত্র মহান আল্লাহই জীবনের স্রষ্টা এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানের ক্ষমতাধারী। আল্লাহ তার রাসূলদের মধ্যে কিছু বিশেষ মুজিজা প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঈসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন। কিন্তু তা ছিল আল্লাহরই এক বিশেষ অনুগ্রহ। কোরআনে সূরা আলে ইমরান আয়াত ৪৯ এবং সূরা মায়িদা আয়াত নং ১১০এ এই মুজিজার বর্ণনা পাওয়া যায়।
ভিসা নিয়ে ইতালির বড় সুখবর, বাংলাদেশিদের জন্য কঠিন শর্ত
নতুন আইন করে তিন বছর মেয়াদি স্পন্সর ভিসায় ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক নিচ্ছে ইতালি। চলতি বছরের এই ভিসায় দ্বিতীয়বারের মতো আরও ১ লাখ ১০ হাজার শ্রমিকের কোটা বাড়িয়েছে দেশটি। তবে বাংলাদেশসহ ৩ দেশের ক্ষেত্রে কঠিন যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ আইনটির অনুমোদন দিয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদন পেলেই প্রকাশ করা হবে গেজেট।
জানা গেছে, এই আইনে নতুন করে ১ লাখ ১০ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৪৭ হাজার কৃষি কাজে এবং বাকিরা পর্যটন ও হোটেল ব্যবসা খাতে আসতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের ইতালিতে আসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ ও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের আলবেনিয়ায় পাঠাচ্ছে ইতালি সরকার।
দেশটির নতুন আইনে পারিবারিক ভিসায় আসার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্পন্সর ভিসা কোনও কারণে বাতিল করা হলে তা মালিক পক্ষকে জানানো হবে না।
তাই বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।
আরটিভি/এসএপি
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সুসংবাদ
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। অনেকেই এর পাসওয়ার্ড ভুলে যায়। তার ওপর রিকভারির জন্য রেজিস্টার্ড মোবাইল বা ই-মেইল অ্যাকাউন্টেও অ্যাক্সেস নেই। এমন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। কারণ, সহজেই পেতে পারেন সমাধান।
এর জন্য আগেই আপনি লগ-ইন করেছেন এবং এখনো তাতে লগ-ইন করা আছে এমন একটি ডিভাইস প্রয়োজন। সেটি নিজের ফোন বা কম্পিউটার, এমনকি কোনো আত্মীয়-বন্ধুর ফোন-কম্পিউটার হলেও চলবে। এরপর ব্রাউজারে facebook.com/login/identify টাইপ করুন। আর সেখানে কোনো একটা ই-মেইল অ্যাড্রেস কিংবা মোবাইল নম্বর লিখুন। যদি এতে কাজ না হয়, আপনার অ্যাকাউন্টের নাম অথবা ইউজার নেম লিখুন। এবার অ্যাকাউন্টটি হাতে পেয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই ‘নো লঙ্গার হ্যাভ অ্যাক্সেস টু দিস?’-এ ক্লিক করুন। সেখানে যা যা তথ্য চাওয়া হচ্ছে সেগুলো এবং নতুন একটি কনট্যাক্ট ডিটেইল দিন। খেয়াল রাখবেন, এই কনট্যাক্ট ইনফরমেশন যেন এর আগে কখনো এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত না হয়। এবার যদি সব সিকিউরিটি চেক পাস করে যান, তাহলেই সুযোগ আসবে পাসওয়ার্ড রিসেট করার। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টটি আপনি ফের ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে যদি এ পদ্ধতিতে কাজ না হয়, আপনি গ্রিবেন্স অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এই অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের দুটি উপায় রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটি হলো একটি অনলাইন ফরম পূরণ করা। এতে আপনাকে কিছু বিকল্প বেছে নিতে হবে, যেখানে অ্যাকাউন্ট লক করার কারণ পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্য ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ ফরমে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরও নেওয়া হয়। এ ছাড়াও ই-মেইল বা পোস্টের মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
আরটিভি/এএ
পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় জাতীয় সংগীত-পতাকা, যা জানা গেল
প্রাথমিকের সব বাংলা পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় স্থান পেয়েছে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমার বাংলা বইয়ের এই বিষয়টি নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় রেখে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার অমর্যাদা করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন ছাপা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’ এর শেষে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ছবি। প্রথম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় জাতীয় ফুল শাপলা ও গ্রাম বাংলার ইলাস্ট্রেশন রয়েছে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় সম্পাদনা পর্ষদের তথ্য প্রসঙ্গ কথা ও সূচিপত্রের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এরপর সপ্তম পৃষ্ঠা থেকে বইয়ের মূল পাঠ শুরু। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বই এভাবে সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডর (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘বাংলা বইয়ে এ পরিবর্তন সম্পর্কে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সমন্বয়ক কমিটির সদস্য লেখক ও শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা।’
সমন্বয়ক কমিটির সদস্য রাখাল রাহা বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ের পরিমার্জন এবং পরিবর্তনের জন্য আলাদা কমিটি কাজ করেছে। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। তবে এর জন্য শিশুদের দেশাত্মবোধ কিংবা আত্মপরিচয়ে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’
আরটিভি/এসএপি
তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে নামার সম্ভাবনা
আগামী জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা কমে ৩ ডিগ্রিতে নামার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে ১৯ বা ২০ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। বর্তমানে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না পড়লেও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা কাছাকাছি নেমে আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো এ বছরও কুয়াশার প্রকোপ থাকতে পারে। জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রিতে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়াবে।’
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আরটিভি/এসএপি/এআর