• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

ইরান নাকি ইসরায়েল, সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

আরটিভি নিউজ

  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪১
ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রক্সি সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে লেবাননে স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েল। এরপরই ইসরায়েলে মিসাইল হামলা করে ইরান। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েলর দিকে।

ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েলের পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকেই ইরান ও ইসরায়েলের সামরিক শক্তি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।

সামরিক দিক থেকে কোন দেশ কতটা শক্তিশালী, তা নিয়ে প্রতিবছর একটি তালিকা প্রকাশ করে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার।

তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে। তবে দু’দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশের শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে অবস্থান করছে।

সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম।

সামরিক শক্তির তুলনা

প্রতিরক্ষা খাত

ইরান

প্রতিরক্ষা খাতে ইরান প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। ইরানের প্রতিরক্ষা বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। এই র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে।

ইসরায়েল

ইসরায়েলও প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। এই র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৪৫ দেশের মধ্যে ইসরায়েল ১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

নিয়মিত সৈন্য

ইরান

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে আছে ইরান।

ইরানের নিয়মিত সেনা আছে ১১ লাখ ৮০ হাজার।এরমধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ।

ইসরায়েল

ইসরায়েলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।

যুদ্ধ বিমান

ইরান

ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি। যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি। অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি।পরিবহন বিমান আছে ৮৬টি। প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি।হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।

ইসরায়েল

ইসরায়েলের সামরিক বিমানের সংখ্যা আছে ৬১২টি। যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ৩৯টি। পরিবহন বিমান আছে ১২টি। প্রশিক্ষণ বিমান আছে ১৫৫টি। হেলিকপ্টার আছে ১৪৬টি। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ৪৮টি।

ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র তথ্য অনুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে আছে ইরান।

ইরান

ইরানের ট্যাংক আছে ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি।

এ ছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি।

ইসরায়েল

ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি। সাঁজোয়া যান আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।

ইসরায়েলের এ দিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।

নৌ শক্তি

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে এগিয়ে আছে ইরান।

ইরান

ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ রয়েছে। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি।

ইসরায়েল

ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি। এর মধ্যে টহল জাহাজ আছে ৪৫টি এবং ইসরায়েলের কোনো ফ্রিগেট নেই। সাবমেরিন আছে ৫টি।

পারমাণবিক শক্তি

সুইডেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে।

দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল।

এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।

সূত্র: বিবিসি

আরটিভি/এসএ

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের উচিত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা: ট্রাম্প
ভারতে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে ফিফা
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় ফখরুলের বিবৃতি