ঢাকারোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

রাগ দমনে করণীয়

ধর্ম ডেস্ক

মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ , ১১:১৪ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

রাগ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণ ও চিন্তায় খারাপ প্রভাব দেখা দেয়। তাই ইসলাম মানুষকে রাগ সংযত করার নির্দেশ দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাগ দমনে করণীয়

আউজুবিল্লাহ পাঠ করা

বিজ্ঞাপন

সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) বলেন, দুই ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। 

বাক্যটি হলো- বাংলা উচ্চারণ: আউজু বিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রজিম।

বাংলা অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১২) 

বিজ্ঞাপন

শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন

বিজ্ঞাপন

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কারও রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৪)

চুপ থাকা

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো, যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)

রাসুল (সা.) বলেছেন, সে প্রকৃত বীর নয় যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সে-ই প্রকৃত বীর যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। (বুখারি)

অজু করা

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয়, সে যেন তখন অজু করে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৬)

ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের অনেক ফজিলত রয়েছে। যেমন- হাদিসে বলা হয়েছে, সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তার রাগ দমন করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গোটা সৃষ্টির সামনে তাকে ডাকবেন এবং তাকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী হুর নির্বাচন করতে দেবেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৭৭)

আরটিভি/এফএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |