লন্ডনে সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
লন্ডনে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টায় পূর্ব লন্ডনের রয়েল বেঙ্গল রেস্টুরেন্ট হলরুমে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) ও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাসির আহমদ শাহীনের সভাপতিত্বে ও সেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শিমুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন। এই দিন ১৯৭৫ সালের এইদিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে।
এ সময় সিপাহি-জনতা ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার দেয়। বাংলাদেশ জাতি এই দিবসটি পালন করে আসছে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথ গ্রহণ এবং সামরিক বাহিনী ও জনগণের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। এই ইতিহাস বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস, বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ইতিহাস।
বিগত প্রায় ১৫ বছরের স্বৈরশাসক আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার পালিত নেতাদের ধারা দেশের জনগনের জান-মাল ও দেশের সম্পদ নষ্ট করে এবং দেশের সাধারণ জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে সব নিয়ে গেছে।
দেশের সর্বত্রই ছিল গুম-খুন, হত্যা-লুণ্ঠন আর রাহাজানি। আয়না ঘর সৃষ্টি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সমাজের ভিন্নমতের মানুষের জীবনকে করে তুলেছিল দুর্বিষহ। তবে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে । বর্তমানে দেশ ও জাতির জন্য আরেকটি ক্রান্তিকাল চলছে। তাই আমরা সকলে মিলে এই অন্তবর্তী সরকারকে রাষ্ট্রের সংস্কার কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াই যাবে সংস্কারের পাশাপাশি একটি সুষ্টু নির্বানের মাধ্যম্যে জনগন তার নির্বাচিত দলকে বেছে নিতে পারে সেই সমাজ আমরা তৈরি করি।
বর্তামানে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরা আজও সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এদেরকেও প্রতিহত করতে হবে। সেজন্য আমাদের সকলের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের কো-অর্ডিনেটর কামাল উদ্দিন, সহ সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আহমেদ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম ফেরদাউস আহমেদ, অর্থ সম্পাদক সালেহ আহমেদ জিলান,সুজাত আহমেদ,সেলিম আহমেদ,যুক্তরাজ্য যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ জে লিমন, শরিফুল ইসলাম,যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বাবর চৌধুরী।সাংগটনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক মো. সরফরাজ আহমেদ সরফু ময়নুল ইসলাম সোহাগ যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের মুস্তাফিজুর রহমান ফেরদাউস,আতাউররহমান মিফতা,শহীদুল ইসলাম স্বপন,নুরুল আমিন আকমল, তাজুল আলম কোরেশী রানা,হারুন অররশীদ,শেখ সাদেক আহমেদ,আলীফ মিয়া,শামীম আহমেদ কামাল হোসাইন, জামাল মিয়া প্রমুখ।
সভার শেষে বক্তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিহত সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
মন্তব্য করুন